রসায়নে বিভিন্ন মৌলিক এবং যৌগিক পদার্থ সম্পর্কে আলোচনা করা হয়ে থাকে। প্রতীক সংকেত যোজনী ইত্যাদি নিয়েও আলোচনা করা হয় বিজ্ঞানের রসায়ন বিজ্ঞান শাখায়। সুদূর প্রাচীনকাল থেকে চলে এসেছে রসায়নের ব্যবহার অর্থাৎ পৃথিবীর শুরু থেকেই রসায়নের কাজকর্ম চলেছে পৃথিবীতে। আমরা বুঝি বা নাই বুঝি কিন্তু রসায়ন এগিয়ে চলেছে আমাদের মাঝে বা আমাদের কাজকর্মের মধ্যে দিয়ে। খ্রিস্টপূর্ব ৩৫০০ শব্দের দিকে কপার ও তিন ধাতুকে গুলিয়ে তরলের পরিণত করে এবং এই দুটি তরলকে একত্রে মিশিয়ে অতঃপর মিশ্রণকে ঠান্ডা করে কঠিন সংকর ধাতুতে পরিণত করা হয়। এই সংকর ধাতুর নাম ব্রোঞ্জ। এই ব্রোঞ্জ দিয়ে ভালো মানের অস্ত্র তৈরি করা হতো।
সেই সময়কার মানুষ অর্থাৎ গুহাবাসী মানুষ পশুর শিকার ফসল ফলানো জ্বালানি হিসেবে কার্ড সংগ্রহ সহ প্রয়োজনীয় অনেক কাজেই অস্ত্র ব্যবহার করত। তাই দেখা যাচ্ছে যে রসায়ন বিজ্ঞানটি সেই সুদূর প্রাচীনকাল থেকেই চলে আসছে বিজ্ঞানের এই শাখা। পরবর্তীতে যখন ১১৮টি মৌল আবিষ্কার করা হয় এ সকল মৌলের অবশ্যই নাম লিখতে হয় প্রতীক এবং সংকেতের মধ্যে দিয়ে। যদিও এক সময়ই এই ১১৮ টি মৌল আবিষ্কার হয়নি কারণ ধাপে ধাপে আবিষ্কৃত হয়েছে মৌল গুলি। এবং এদের নামও লিখতে হয় আমাদের। এই মৌল গুলির নাম সংক্ষিপ্ত আকারে লিখার প্রক্রিয়াকে প্রতীক বলা হয়ে থাকে।
অর্থাৎ রসায়নিক পদার্থের বা রাসায়নিক মৌল গুলির ইংরেজি বা ল্যাটিন নামের প্রথম অক্ষর অথবা প্রথম অক্ষরের সাথে উচ্চারিত আরেকটি অক্ষর মিলে যে সংক্ষিপ্ত নাম প্রচলন করে বিজ্ঞানীরা তাকে প্রতীক বলা হয় রসায়নে। তাই এসব রাসায়নিক পদার্থকে সংক্ষিপ্ত আকারে লেখার দাগ গুলোকে প্রতীক বলা হয়ে থাকে। এই প্রতিকগুলি বা রসায়নের এই মৌল গুলি আবিষ্কার করার ফলে পৃথিবী অনেক এগিয়ে গিয়েছে সভ্যতার দিকে। অর্থাৎ ব্রোঞ্জ এর আবিষ্কার মানব সভ্যতাকে অনেক দূর এগিয়ে নিয়ে এসেছে। এরপর এইসব ধাতু দিয়ে অনেক বড় বড় জান যন্ত্র তৈরি করা হয়েছে পৃথিবীতে। ফলে এখন পৃথিবীর এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে পৌঁছতে আমাদের আর অনেক সময় লাগে না মাসের পর মাস এক সময় যখন লাগতো এখন সেখানে মাত্র কয়েক ঘন্টা মধ্যে পৌঁছে যেতে পারি আমরা।
প্রাচীনকালের দার্শনিকেরা পদার্থের গঠন নিয়ে অনেক চিন্তাভাবনা করেছিলেন বা তারা করতেনও খ্রিস্টপূর্ব ৩৮০ আপডেট দিকে গ্রিক দার্শনিক ডেমোক্রিটাস ঘোষণা করেছিলেন যে প্রত্যেক পদার্থকে ভাঙতে থাকলে শেষ পর্যায়ে তার এমন একটি পর্যায়ে আসবে যে তাকে আর ভাগ করা যাবে না তখন তিনি এই অবিভাজ্য ক্ষুদ্রতম কণার নাম দিয়েছিলেন এটম। সেই এটম গুলি অর্থাৎ মৌলের ক্ষুদ্রতম কণা ছিল এক একটি পরমাণু। এই পরমাণু ক্ষুদ্রতম কণা বা পরমাণুগুলি প্রতীক দ্বারা চিহ্নিত করা হতো বা হয়। যেমন আমরা বলতে পারি যে অক্সিজেনের প্রতীক O হাইড্রোজেনের প্রতীক H , কার্বনের প্রতীক C, পটাশিয়ামের প্রতীক K ইত্যাদি এভাবে বর্তমানে আবিষ্কৃত ১১৮ টি মৌলের নামই আমরা এই প্রতীকের মাধ্যমে দিয়ে ফেলেছি অর্থাৎ বিজ্ঞানীরা দিয়ে দিয়েছেন।
এবং এই মৌলগুলিকে পর্যায় সারণিতে বিভিন্নভাবে তারা তুলে ধরেছেন বা সারনিবদ্ধ ভাবেও করে ফেলেছেন। রসায়নের অগ্রগতির কারণেই বর্তমান পৃথিবী অনেক এগিয়ে গিয়েছে। তাই পৃথিবীকে এই আধুনিক পর্যায়ে নিয়ে আসার ব্যাপারে রসায়নের গুরুত্ব অপরিসীম। আমরা সারাদিনের কাজকর্মে প্রত্যেক জায়গায় হয়তো রসায়নের ছোঁয়া পেয়ে থাকে। কারণ রসায়নের বিক্রিয়া বা অবদান ছাড়া আমরা আমাদের এই পৃথিবী এত সুন্দর ভাবে সাজাতে সাথে পারতাম না। তাই আমরা রসায়নের অস্তিত্ব প্রতিটা ক্ষেত্রেই দেখতে পাচ্ছি। আপনারা আমাদের ওয়েবসাইটটি ভিজিট করবেন কারণ আমাদের ওয়েবসাইটটিতে আপনাদের প্রয়োজনীয় সকল ধরনের তথ্য আমরা প্রকাশ করে থাকি। আমাদের ওয়েবসাইট থেকে আপনারা প্রশ্নের উত্তর গুলো ডাউনলোড করে নিতে পারবেন। তাহলে এখন আমরা দেখতে পারি প্রতীক কী?
প্রতীক: কোন মৌলের ইংরেজি বা ল্যাটিন নামের সংক্ষিপ্ত রূপকে প্রতীক বলা হয়।