ক্ষমতা কাকে বলে

আমরা জানি কোন কিছুর কাজ করার সামর্থ্য কে ক্ষমতা বলা হয়ে থাকে। ক্ষমতা বিভিন্ন ধরনের হতে পারে। এগুলি হতে পারে জনসংখ্যার শক্তি, সামরিক শক্তি, টাকার শক্তি, পেশি শক্তি ইত্যাদি । আমাদের যে কোন কাজ করার জন্য অবশ্যই ক্ষমতার প্রয়োজন হয়। যে ধরনের কাজ করি সে ধরনের ক্ষমতা অবশ্যই থাকতে হয় নইলে কাজ সুষ্ঠুভাবে করা সম্ভব হবে না। তবে অনেক ক্ষেত্রে আমরা এই ক্ষমতা খারাপ দিকেও প্রয়োগ করে থাকি। অর্থাৎ যাকে বলা হয় ক্ষমতার অপব্যবহার।

একজন রিকশাচালককে যদি রিক্সা চালিয়ে এক স্থান থেকে অন্য স্থানে যেতে হয় তাহলে তার অবশ্যই কাজ করার ক্ষমতা থাকতে হবে নইলে সে সেই স্থানে যেতে পারবে না। অর্থাৎ কাজ করার সেই ক্ষমতা না থাকলে কাজ করা যায় না। আবার আমরা একথা বলতে পারি দুইজন রিক্সাওয়ালা একইসঙ্গে এক স্থান থেকে রিকশা ছাড়ার পর দুইজন একই সময় গন্তব্যস্থানে পৌঁছাতে নাও পারে এক্ষেত্রে দুই জনের ক্ষমতা আলাদা আলাদা হয়ে থাকে। কারণ তাদের দুজনের মধ্যে শক্তি আছে তবে ক্ষমতাটা আলাদা আলাদা এজন্য তাদের পৌঁছাতেও আলাদা সময় লাগে।

তাই বলা যায় তাড়াতাড়ি কাজ করার সাথে ক্ষমতা ব্যাপারটি অবশ্যই জড়িত আছে। কোন কাজকে কত তাড়াতাড়ি করতে পারে তা দিয়ে ক্ষমতা বুঝা যায়। যে রিকশাচালক কোন জায়গায় যেতে কম সময় লাগে তার ক্ষমতা অবশ্যই বেশি সে কারণেই সে তাড়াতাড়ি পৌঁছাতে পারে। আবার অপরজন একই সময় বের হয়ে ও তাড়াতাড়ি পৌঁছাতে পারেনি অর্থাৎ তার সময় বেশি লেগেছে কারণ তার ক্ষমতা কম রয়েছে। অর্থাৎ আমরা বলতে পারি ক্ষমতা পাই, মোট কাজকে মোট সময় দিয়ে ভাগ করে। দুইজন শিক্ষার্থী সিদ্ধান্ত নিল যে তারা স্কুলের খেলার মাঠ কে মোট পাঁচবার প্রদক্ষিণ করবে। শুরু করার কিছুক্ষণ পর দেখা গেল একজন দুইবার প্রদক্ষিণ করে বসে পড়েছে আরেকজন পাঁচ বারই প্রদক্ষিণ করল। এখানে তাহলে আমরা কাজ করার সামর্থকে বিবেচনা করব। এদের মধ্যে যে দুইবার প্রদক্ষিণ করার পর বসে পড়েছে অর্থাৎ তার সামর্থ্য অবশ্যই ফুরিয়ে গেছে জন্য সে আর পারেনি। কিন্তু অপরজন পাঁচবার প্রদক্ষিণ করার অর্থই হলো তার ক্ষমতা অবশ্যই ছিল এই কারণে তার ক্ষমতায় বেশি বলে আমরা বিবেচনা করতে পারি।

তাই আমরা শক্তি এবং কাজকে একই রূপ বলে ধরে নিতে পারি। শক্তিকেই আমরা ক্ষমতা বলে থাকি। তাই শক্তি বা ক্ষমতা বিভিন্ন ধরনের হয়ে থাকে। অর্থাৎ আমরা শক্তির বিভিন্ন রূপ বলে থাকি। শক্তির বিভিন্ন রোগ গুলি হল-

যান্ত্রিক শক্তির রাসায়নিক শক্তি তাপ শক্তি চুম্বক শক্তি আলোক শক্তি শব্দ শক্তি বিদ্যুৎ শক্তি পারমাণবিক শক্তি ইত্যাদি। যান্ত্রিক শক্তি বলতে আমরা কোন যন্ত্রের কাজ করার শক্তিকে বুঝে থাকে। বর্তমান অত্যাধুনিক যুগে অনেক ধরনের যন্ত্রই আমরা ব্যবহার করে থাকি বিভিন্ন কাজের জন্য। যে যন্ত্রের শক্তি বেশি সে যন্ত্রটি অবশ্যই ভালো কাজ করে থাকে এবং যে যন্ত্রের যে ধরনের শক্তির প্রয়োজন সে ধরনের শক্তি দিয়েই তৈরি করা হয়ে থাকে। অর্থাৎ শক্তিকে যান্ত্রিক রূপে নিয়ন্ত্রিতভাবে ব্যবহার না করলে অবশ্যই সেখানেও বিপদ ঘটতে পারে। আবার এর আগে আমরা বলছিলাম যে ক্ষমতার অপব্যবহার করা। অর্থাৎ একথা বলা যেতে পারে যে যার যে কাজ করার ক্ষমতা আছে সে কাজটি করা উচিত। এবং যেটি ন্যায় সংগত কাজ ক্ষমতা দিয়ে সেই কাজটি করা উচিত। ক্ষমতা থাকার দরুন অসৎ কোন কাজ আমাদের অবশ্যই করতে হবে না।

যেমন হাতে বন্দুক থাকলেই যেকোনো সময় যে কোন মানুষকে বা পশু প্রাণী ইত্যাদিকে গুলি করে হত্যা করা যাবে না। এ ধরনের কাজই হচ্ছে ক্ষমতার অপব্যবহার করা। তাহলে চলুন আমরা এখন দেখে নিতে পারি ক্ষমতা কাকে বলে?

ক্ষমতা: কাজ করার সামর্থ্যকেই ক্ষমতা বা শক্তি বলা হয়ে থাকে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *