যেকোনো দেশের অর্থনীতি ওপর ওই দেশের ভিত্তি দাঁড়িয়ে থাকে। তাই অর্থনীতি কোন দেশের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। সমষ্টি অর্থনীতি হচ্ছে একটি দেশের সামগ্রিক অর্থনীতি কে বোঝায়। অর্থাৎ সামষ্টিক অর্থনীতি হচ্ছে অর্থনীতির একটি শাখা যা জাতীয় বা আঞ্চলিক অর্থনীতির সামগ্রিক কর্মদক্ষতা কাঠামো আচরণ নিয়ে আলোচনা করা হয়। ২৭ ঠিক অর্থনীতির তিনটি মুখ অর্থাৎ ত্রিমুখী চক্রাকার প্রবাহ চিত্র সমষ্টি অর্থনীতির দুইটি সাধারণ মূল ক্ষেত্রের একটি। কোন দেশের সামগ্রিক অর্থনীতি বুঝাতে সমষ্টিক অর্থনীতিকেই বুঝিয়ে থাকে। তাই এ কথা বলা যায় যে কোন দেশের অর্থনীতি কেমন এটি যদি আমরা বিবেচনা করি বা জানতে চাই তাহলে সামষ্টিক অর্থনীতির দিকেই নজর দিতে হবে। সমষ্টিক অর্থনীতিবিদগণ পূরণের অর্থনীতি কর্মকান্ড বোঝাতে বা বোঝার জন্য একটি দেশের জিডিপি বেকারত্বের হার ও মূল্য সূচকের মত সামগ্রিক নির্দেশক নিয়ে আলোচনা করে থাকে। অর্থাৎ এসব মূল্য সূচকের ওপর নির্ধারণ করেই দেশের অর্থনীতি কেমন সেটি বুঝিয়ে থাকে।
তাই আমরা যদি লক্ষ্য করি যে কোন দেশের অর্থনীতি এখন কোন দিকে যাচ্ছে সেটিকে যদি আমরা খেয়াল করতে চাই তাহলে আমাদের এই সকল মূল্য সূচকের দিকে তাকাতে হবে। সমষ্টিক অর্থনীতি বিজ্ঞান মডেল উন্নয়ন করে থাকে যা কিছু উৎপাদনের মধ্যে সম্পর্ক ব্যাখ্যা করে থাকে। ব্যাখ্যা করা যায় এভাবে যে জাতীয় আয় উৎপাদন ভোগ বেকারত্ব মুদ্রাস্ফীতি সঞ্চয় বিনিয়োগ আন্তর্জাতিক বাণিজ্য এবং আন্তর্জাতিক অর্থব্যবস্থার ওপর বিবেচনা করে বা এগুলোকে বিচার বিশ্লেষণ করে সেই দেশের মডেল উন্নয়নের ধারণা পাওয়া যেতে পারে। অন্য দিক দিয়ে আবার ব্যষ্টিক অর্থনীতি হলো মানুষের ব্যক্তিগত অর্থনীতিকে বুঝিয়ে থাকে। অর্থাৎ এই অর্থনীতি মানুষের ব্যক্তিগত কর্মকাণ্ড বা অর্থনৈতিক অবস্থা অর্থাৎ কোন প্রতিষ্ঠানের অর্থনৈতিক অবস্থার উপর বিবেচনা করে নির্ধারণ করা হয়।
অর্থাৎ ব্যষ্টিক অর্থনীতি হলো একক উৎপাদনের কর্মকাণ্ডের উপর প্রাথমিক আলোকপাত করে যেমন কোন ফার্ম ও ভোক্তা এবং তাদের আচরণ নির্দিষ্ট বাজারে দাম ও পরিমাণ কিভাবে নির্ধারণ করে তা বিচার বিশ্লেষণ করা হয় এই অর্থনীতির ওপর। তাই আমরা যদি দেখি সামষ্টিক অর্থনীতি এবং ব্যক্তিক অর্থনীতি এটি আসলে দুটি দুই ধরনের অর্থনীতিকে বুঝিয়ে থাকে। একটি ব্যক্তিগত অর্থনীতি অর্থাৎ কোন দেশের ব্যক্তিগত অর্থনীতির অর্থাৎ কোন আর্থিক প্রতিষ্ঠান যেমন কোন ব্যবসা-বাণিজ্য ইত্যাদি প্রতিষ্ঠানের উপর ব্যষ্টিক অর্থনীতি গড়ে ওঠে আর অপরদিকে একটি দেশের মোট গড় আয় জিডিপি মুদ্রা স্মৃতি অর্থাৎ মাথাপিছু আয় এর উপর নির্ভর করে একটি দেশের অর্থনীতি কেমন। সামষ্টিক অর্থনীতিকে বিশাল কর্মক্ষেত্র হয়ে থাকে। অর্থাৎ এই অর্থনীতি একটি দেশের জাতীয় মোটায় এর স্বল্পকালীন এবং দীর্ঘকালীন দুটি বিষয়ই থেকে থাকে।
অর্থাৎ এ কথা বলা যায় যে সামষ্টিক অর্থনীতি একটি বিশাল শিক্ষা ক্ষেত্র এখানে গবেষণার দুটি দিক রয়েছে। একটি হল অর্থনীতির স্বল্পকালীন প্রভাব এবং অপরটি দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব এই দুইটি নিয়ে গবেষণা করা হয় সমষ্টিক অর্থনীতিতে। অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি নির্ধারণের চেষ্টা করা হয় এই সামষ্টিক অর্থনীতির বিভিন্ন দিক পর্যালোচনা করে। এ কথা বলা যায় যে সামষ্টিক অর্থনীতি মডেল ও তাদের প্রভাব সরকার ও বৃহৎ সংস্থা উভয়ের ই উন্নয়ন ও অর্থনৈতিক নীতি ও ব্যবসা পরিস্থিতি মূল্যায়নের জন্য ব্যবহার করা হয়ে থাকে। আমরা অর্থনীতি সম্পর্কে আপনাদের সামনে বিভিন্ন ধারণাই তুলে ধরলাম। এখন তাহলে সমষ্টিক অর্থনীতির সংজ্ঞা কি হতে পারে সে সম্পর্কে সামান্য হলেও আপনাদের ধারণা দিতে হবে। তাই আমরা এখন দেখলাম যে সমষ্টিক অর্থনীতির সম্পর্কে বিস্তারিত বলার পর আপনারা সামষ্টিক অর্থনীতি এবং ব্যক্তিক অর্থনীতি এই দুইটি বিষয়ে সমানভাবে দক্ষতা অর্জন করলেন।
তাই নতুন করে আর সামষ্টিক অর্থনীতি কাকে বলে এ বিষয়টি না বললেও হবে না
সামষ্টিক অর্থনীতি: সামষ্টিক অর্থনীতি ধারণাটি ১৯৩৩ সালে নরওয়েজিয়ান অর্থনীতিবিদ রান্নার ফ্রীসের একই উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত সমষ্টি কত পদ্ধতি ধারণা থেকে এসেছে। এবং বিগত সময়ে এই ক্ষেত্রের প্রচুর বিস্তৃত উপাদান অনুধাবন করার একটি দীর্ঘ প্রচেষ্টা রয়েছে।