প্রাচীনকাল থেকেই কোনো নির্দিষ্ট উদ্দেশ্যে বাস্তব জীবনের অনেক ঘটনা বা তথ্যাবলী গাণিতিক সংখ্যার মাধ্যমে প্রকাশ করা হতো। বর্তমানে দৈনন্দিন জীবনের বিভিন্ন ঘটনা প্রদত্ত সমূহ সংখ্যার মাধ্যমে প্রকাশের ব্যাপকতা আরো বেশি করে বৃদ্ধি পায়। আর সংখ্যা বাচক তথ্যসমূহই হচ্ছে আমাদের পরিসংখ্যান। পরিসংখ্যানের একটি বড় কাঁচামাল হল তথ্য। বর্তমান তথ্যপ্রযুক্তির যুগে মানুষ যেকোনো সময় যেকোনো জিনিসের তথ্য জানতে চায়। তাই প্রতিটি কাজেরই একটি তথ্য আমাদের সবসময়ই রাখতে হয়। তথ্য যদি না থাকে তাহলে অবশ্যই কাজের গতি ঠিকমত পাওয়া যাবে না। একটি কাজ সুন্দর মত করতে হলে অবশ্যই আমাদের সে কাজ সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য নিয়েই কাজটা শুরু করা উচিত। তাই বর্তমানে বিশ্বায়নের যুগে অবশ্যই তথ্য একটি বড় গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। তথ্য উপাত্ত ছাড়া কাজে হাত দেওয়া আর বোকামি একই জিনিস। তাই আমাদের উচিত হবে যে কোন কাজই হোক না কেন সে কাজটি করার পূর্বে সেটি সম্পর্কে ভালোমতো তথ্য জোগাড় করেই কাজ করতে লাগা।
তথ্য দুই ধরনের হয় একটি বিন্যস্ত তথ্য আরেকটি অবিন্যস্ত তথ্য। অর্থাৎ সাজানো গোছানো তথ্য কে বিন্যস্ত তথ্য বলা হয়। আর অগোছালো তথ্য অর্থাৎ যে তথ্যগুলো গোছানো থাকে না সেটি অবিন্যস্ত তথ্য। বর্তমান বিশ্ব তথ্য নির্ভর বিশ্ব। তথ্যনির্ভর বিশ্বের প্রতিনিয়ত আমরা বিভিন্ন তথ্যের সম্মুখীন হই এবং এর ব্যাপক ব্যবহার দেখতে পাই। প্রতিদিন শিক্ষক অধ্যায়নরত শিক্ষার্থীদের হাজিরা রাখেন। এটি আসলে শিক্ষার্থীদের স্কুলে উপস্থিত হওয়া এবং না হওয়ার তথ্য। আবার প্রতি পরীক্ষার শেষে শিক্ষার্থীদের প্রাপ্ত নম্বর সংরক্ষণ করেন এবং এর উপর ভিত্তি করে শিক্ষার্থীদের দুর্বলতা চিহ্নিত করেন ও তা দূরীকরণের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করেন। এছাড়াও আমরা দৈনিক পত্রিকা রেডিও টেলিভিশন ইত্যাদি গণমাধ্যম থেকে আবহাওয়া খেলাধুলা বাজারদর ইত্যাদি সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য পেয়ে থাকি।
এই তথ্যগুলি পরিবারশন করার অর্থই হলো প্রতিনিয়ত সকলের বিভিন্ন ধরনের তথ্যের প্রয়োজন হয়ে থাকে। যার যেমন ধরনের কাজ সে ব্যক্তি সেই ধরনের তথ্য গুলি সংরক্ষণ করে রাখে। এবং তথ্যগুলি সংরক্ষণ করার মাধ্যমে তার কাজগুলি অবশ্যই সফল হয়ে থাকে। তাই যেকোনো তথ্য সম্পর্কে আমাদের কোন অবহেলার কারণ নাই। সকল তথ্য জানা ব্যক্তিকে আমরা জ্ঞানী ব্যক্তি হিসেবে বুঝতে পারি বা চিনতে পারি বা বুঝে থাকি। তথ্যের সাথে সম্পর্কযুক্ত আরেকটি বিষয় হলো উপাত্ত। পরিসংখ্যানে বর্ণিত সংখ্যা সূচক একটি তথ্যপ্রাপ্ত বেশি নম্বর সমূহ। এগুলো হলো পরিসংখ্যানের উপাত্ত। অনুরূপভাবে কম নম্বর প্রাপ্ত তথ্য পরিসংখানের একটি উপাত্ত। পরিসংখ্যানে বর্ণিত তথ্যসমূহ যে সকল সংখ্যা দ্বারা প্রকাশ ও উপস্থাপন করা হয় তাই হচ্ছে পরিসংখ্যানের উপাত্ত নামে পরিচিত। তবে একটিমাত্র সংখ্যা দ্বারা প্রকাশিত উপাত্ত পরিসংখ্যান নয় যেমন রনির বয়স 45 বছর এটা পরিসংখানে কোন ধরনের উপাত্য প্রকাশ করে থাকে না। তাই এটিকে আমরা উপাত্ত হিসেবে ধরতে পারিনা।
উপাত্তের সংখ্যা যদি বেশি হয় তবে আমরা সেখান থেকে সঠিক তথ্য বেছে নিতে পারব। সরাসরি উৎস থেকে সংগৃহীত উপাত্তের নির্ভরযোগ্যতা সবচেয়ে বেশি হয়ে থাকে। সরাসরি উচ্চ থেকে সংগৃহীত হয় এমন উপাত্ত হল প্রাথমিক উপাত্ত বলে বিবেচনা করা হয়ে থাকে। এতক্ষণ আমরা তথ্য সম্পর্কিত বিভিন্ন কথাই বলে ফেললাম তাহলে এখন দেখা যাক তথ্য কাকে বলে বা আমাদের আজকে দেখাতে হবে তথ্য কাকে বলে?
তথ্য: তাই আমরা বলতে পারি তথ্যগুলো একটি বার্তা, যা বুঝা যায় বহন করা যায় লেখা যায় পড়া যায়। অর্থাৎ কোন অর্থবহ প্রক্রিয়াজাত ডাটাকেই তথ্য বলা হয়। আবার কম্পিউটারের ভাষায় তথ্য বলতে বলা হয় তথ্য কিছু প্রক্রিয়াজাত ডেটা, যার উপর ভিত্তি করে কোন নির্দিষ্ট সিদ্ধান্তে পৌঁছানো যায় বা নির্দিষ্ট গন্তব্যে পৌঁছানো সম্ভব হয়। আপনারা আমাদের ওয়েবসাইট টি ভিজিট করুন কারণ আমাদের ওয়েবসাইটে আপনাদের দৈনন্দিন জীবনে প্রয়োজন পড়ে এমন সকল তথ্য আমরা প্রকাশ করে থাকি। এই তথ্যগুলি আপনারা আবার ডাউনলোড করেও নিতে পারবেন তাই আমাদের ওয়েবসাইটটি বারবার ভিজিট করুন এবং আপনার প্রয়োজনীয় তথ্য ও উপাত্ত গুলো দেখে নেন।