মহাকর্ষ বল কাকে বলে

আমরা জানি যে এই মহাবিশ্বের প্রত্যেকটি বস্তুই পৃথিবীর কেন্দ্রের দিকে আকর্ষিত হচ্ছে। আবার সকল বস্তুই সকল বস্তুকে আকর্ষণ করছে। অর্থাৎ এই মহাবিশ্বের প্রতিটি বস্তু একে অপরকে নিজের দিকে আকর্ষণ করে। এবং সেই আকর্ষণ বল কেই মহাকর্ষ বল বলা হয়। অর্থাৎ আমরা পৃথিবীর এই আকর্ষণ বলের কারণেই হেঁটে চলাচল করতে পারি। অর্থাৎ একটি গাছও দাঁড়িয়ে থাকতে পারে এই পৃথিবীর মহাকর্ষের বলের কারণেই। যদি এই বল না থাকতো তাহলে কোন বস্তুই পৃথিবীর কোন বস্তুই সঠিকভাবে চলাচল বা থাকতে পারতো না। যেমন আমরা যদি চাঁদে যাই তাহলে আমরা পাখির পালকের মত উড়তে থাকবো।

তাই চাঁদে উজ্জ্বলা জ্বলে বেড়াতে হলে আমাদের অন্য ধরনের পোশাক বানাতে হয় এবং সেই পোশাক পড়ে চাঁদের মাটিতে হাঁটা যায় এটিও আসলে অভিকর্ষ ত্বরণের কারণে এ ধরনের ঘটনা ঘটে থাকে। আমরা লাভ দিয়ে উপরের দিকে উঠতে চাইলে বেশিদূর উঠতে পারি না আবার ভূপৃষ্ঠেই ফিরে আসি এটিও আসলে মহাকর্ষের বলের কারণেই এই ঘটনা ঘটে থাকে। আবার আমরা যদি তাকায় বা লক্ষ্য করি যে গাছের ফল মাটিতে পড়ে ক্রিকেট বলকে ছুড়ে মারলেও সে আবার পুনরায় মাটির দিকে ফিরে আসে এসবের কারণ আসলে পৃথিবী আমাদের কে তার নিজের দিকে টানে বা আকর্ষণ করে এবং এই আকর্ষণের কারণেই গাছের একটি ফল পড়ে উপরে না গিয়ে মাটির দিকে ফিরে আসে এবং একটি বল শুন্যে ছুড়ে মারলে সে ওই পৃথিবীর আকর্ষণ বলের কারণে ওই ক্রিকেট বলটি পৃথিবীর দিকে বা মাটিতে ফিরে আসে।

তাহলে শুধু পৃথিবী কেন সবকিছুই আমাদের আকর্ষণ করে আসলে এই মহাবিশ্বের প্রত্যেকটি বস্তুকণা একে অপরকে নিজের দিকে আকর্ষণ করে এবং এই আকর্ষণ বল কে আসলে মহাকর্ষ বল বলা হয়ে থাকে। আমরা এই গল্পটি অবশ্যই জানি যে নিউটন এবং আপেল মাটিতে পড়ার কাহিনী। এটি কথিত আছে যে নিউট্রন একদিন বাগানে বসে চিন্তা করছিলেন এমন সময় তিনি গাছ থেকে একটি আপেল মাটিতে পড়তে দেখেছিলেন। তখন তার মনে হয় বা মনে প্রশ্ন জাগে যে আপেলটি মাটিতেই পড়ল কেন এটি উপরের দিকেও তো যেতে পারত কারণ উপরের দিকেও কোন বাধা নেই যেতে সে তার পরেও উপরের দিকে না গিয়ে মাটির দিকেই আসলো এটির কারণ কি? নিশ্চয়ই কেউ একে মাটির দিকে টানছে এই কারণেই আপেল অবশ্যই মাটির দিকেই পড়ে বা যে কোন ফল মাটির দিকে পড়ে।

নিউটনের এই চিন্তা-ভাবনা শেষে তিনি একটি সিদ্ধান্তে উপনীত হন যে পৃথিবী সকল বস্তুকে তার নিজের দিকে টানে। পরে তিনি আরও সিদ্ধান্তে উপনীত হন যে শুধু পৃথিবী নয় এই মহাবিশ্বের সকল বস্তু কোনায় একে অপরকে নিজের দিকে আকর্ষণ করে আর এই বিশ্বের যে কোন দুইটি বস্তুর মধ্যে আকর্ষণ হয় তাকে মহাকর্ষ বল বলা হয়ে থাকে। দুইটি বস্তু কণার মধ্যেকার এই আকর্ষণ বল এর মান শুধু বস্তুদ্বয়ের ভর এবং এদের মধ্যেকার দূরত্বের ওপর নির্ভর করে থাকে। এদের আকৃতি প্রকৃতি কিংবা মাধ্যমের প্রকৃতির ওপর নির্ভর করে না। বস্তয়ের ভর বেশি হলে আকর্ষণ বল বেশি হয় আর তাদের মধ্যে দূরত্ব বেশি হলে বলো কম হয়ে থাকে। আর এই আকর্ষণ সম্পর্কে নিউটনের একটি সূত্র আছে সেটি নিউট্রনের সূত্র নামে আমরা জানি।

সূত্রটি হলো: মহাবিশ্বের প্রতিটি বস্তু কনা একে অপরকে নিজের দিকে আকর্ষণ করে এবং এই আকর্ষণ বলের মান বস্তু কনা দেহের ভরের গুণফলের সমানুপাতিক এবং এদের দূরত্বের বর্গের ব্যস্ত অনুপাতিক এবং এই বল বস্তুকণাদয়ের সংযোজক সরলরেখা বরাবর ক্রিয়া করে। তাহলে চলুন দেখা যাক মহাকর্ষ বল কি?

মহাকর্ষ বল: এই মহাবিশ্বের প্রত্যেকটি বস্তুকণা একে অপরকে নিজের দিকে আকর্ষণ করে। এই আকর্ষণ বল কে মহাকর্ষ বল বলে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *