উপাত্ত কাকে বলে

জ্ঞান-বিজ্ঞানের ব্যাপক প্রসার ও দ্রুত উন্নয়নের তথ্য ও উপাত্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ও অবদান রেখে চলেছে আমাদের এই জীবনে। তথ্য ও উপাত্তের ওপর ভিত্তি করে পরিচালিত হয় গবেষণা এবং অব্যাহত গবেষণার ফল হচ্ছে জ্ঞান বিজ্ঞানের অভাবনীয় উন্নয়ন। তথ্য ও উপাত্ত উপস্থাপনে ব্যাপকতা লাভ করেছে সংখ্যার ব্যবহার। আর সংখ্যা সূচক তথ্য হচ্ছে পরিসংখ্যান। তাই পরিসংখ্যানের মৌলিক ধারণা ও সংশ্লিষ্ট বিষয়বস্তু সমূহ জানা আবশ্যক। পূর্ববর্তী সময়ে পরিসংখ্যানের মৌলিক বিষয়গুলো ক্রমান্বয়ে উপস্থাপন করা হয়েছে। এখন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির উন্নয়নের অগ্রযাত্রায় তথ্য ও উপাত্তের অবদানের ফলে পৃথিবী এখন পরিণত হয়েছে একটি বিশ্ব গ্রামে। তথ্য ও উপাত্যের দ্রুত সঞ্চালন ও বিস্তারের জন্য সম্ভব হয়েছে বিশ্বায়নের। তাই উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখা ও বিশ্বায়নের অংশগ্রহণ ও অবদান রাখতে হলে তথ্য ও উপাত্য সম্বন্ধে সম্মুখ জ্ঞান অর্জন এই স্তরের শিক্ষার্থীদের জন্য অপরিহার্য হয়ে পড়েছে।

প্রাসঙ্গিকভাবে শিক্ষার্থীদের জ্ঞান অর্জনের চাহিদা মেটানোর লক্ষ্যে আমাদের ধাপে ধাপে শ্রেণীভিত্তিক বিষয়বস্তুর বিন্যাস করা হয়েছে। আমরা জানি গুণবাচক নয় এমন সংখ্যা সূচক তথ্যাবলী পরিসংখ্যানে উপাত্ত। অনুসন্ধান ধিন উপাত্ত পরিসংখ্যানের কাঁচামাল হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে থাকে। এগুলো অবিন্যস্ত ভাবে থাকে এবং অবিন্যস্ত উপাধ্য থেকে সরাসরি প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্তে উপনীত হওয়া যায় না। প্রয়োজন হয় উপাত্ত গুলো বিন্যস্ত ও সারণিভুক্ত করা। আর উপাত্তর সমূহ কিভাবে সারণিভুক্ত করে বিন্যস্ত করতে হয় তা আমরা আগেই শিখে নিয়েছি।

আমরা জানি কোন উপাত্ত সারণি ভুক্ত করতে হলে প্রথমে তার পরিষদ নির্ধারণ করে নিতে হয়। এরপর শ্রেণী ব্যবধান ও শ্রেণী সংখ্যা নির্ধারণ করে প্যালি চিহ্ন ব্যবহার করে গণসংখ্যা নিবেশন স্মরণে তৈরি করতে হয়। এখানে বোঝার সুবিধার্থে আমরা আরও সহজ করে সারণি তৈরি করতে পারি। তোমরা যদি উপাত্তগুলিকে বিন্যস্ত কর তাহলে এখান থেকে ক্রমযোজিত গণসংখ্যা গণসংখ্যার বহুভুজ ও অজিবরেখা এ সকল কিছু বিষয় ব্যাখ্যা করা বা করে ফেলতে পারবে তোমরা নিশ্চিতভাবে। গণসংখ্যা বহুভুজ ও আজিব রেখার সাহায্যে তোমরা আবার উপাত্ত্ব কি সেটাও ব্যাখ্যা করতে পারবে। কেন্দ্রীয় প্রবণতার পরিমাপে সংক্ষিপ্ত পদ্ধতির প্রয়োজনীয়তা কি সে নিয়ে তোমরা আলোচনা করতে পারবে এই উপাত্ত সম্পর্কে জানা থাকলে।

তাহলে তোমরা সংক্ষিপ্ত পদ্ধতির সাহায্যে গড় মধ্যপ্রচুরক এগুলোও নির্ণয় করা সহজ হবে যদি তোমরা উপাত্ত সম্পর্কে সঠিক ধারণা আগেই রেখে থাকো। পরিসংখ্যানে ব্যবহৃত চলক গুলি দুই প্রকারের হয়ে থাকে এক চলকলে বিচ্ছিন্নচালক হয় এবং অপরগুলি অবিচ্ছন্নচলক হয়ে থাকে। যে চলকের মান শুধুমাত্র পূর্ণ সংখ্যা হয় তা বিচ্ছিন্ন চলো কি হয় আবার জনসংখ্যা নির্দেশক উপাতে পূর্ণ সংখ্যা ব্যবহৃত হয়। তাই জনসংখ্যা মূলক উপাধ্যের চলক হচ্ছে বিচ্ছিন্নচলক। আর যে সকল চলকের মান যেকোন বাস্তব সংখ্যা হতে পারে সে সকল চলক অবিচ্ছন্ন চলক। আমরা জানি যে অনুসন্ধানাধীন সংগৃহীত উপাত্ত পরিসংখ্যানেরই কাঁচামাল হিসাবে ব্যবহার হয়ে থাকে। এগুলা গণসংখ্যা নিবেশন সারণি ভুক্ত বা ক্রমবলিত সরণি ভুক্ত করা হলে এদের সম্বন্ধে সম্মুখ ধারণা ও সিদ্ধান্ত নেওয়া সহজ হয়ে যায়। তাই এই স্মরণীভক্ত পাত্র সমূহ যদি লেখচিত্রের মাধ্যমে উপস্থাপন করা হয় তবে তা বোঝানোর জন্য যেমন আরো সহজ হয় তেমনি চিন্তাকর্ষক হয়ে থাকে।

এজন্যই পরিসংখ্যানের উপাত্তসম স্মরণে ভক্ত করা এবং লেখচিত্রের মধ্যে উপস্থাপন বহুল একটি প্রচলিত পদ্ধতি। তথ্য নির্ভর বিশ্বে প্রতিনিয়ত আমরা বিভিন্ন তথ্যের সম্মুখীন হই এবং এর ব্যাপক ব্যবহার দেখতে পাই। প্রতিদিন শিক্ষক অধ্যায়নরত শিক্ষার্থীদের হাজিরা রাখেন। প্রতি পরীক্ষার শেষে শিক্ষার্থীদের প্রাপ্ত নম্বর সংরক্ষণ করেন এবং এর উপর ভিত্তি করে শিক্ষার্থীদের দুর্বলতা চিহ্নিত করেন এগুলিই হচ্ছে তথ্য। আজকে আমাদের দেখাতে হবে উপাত্ত কাকে বলে। উপাত্ত: পরিসংখ্যানে বর্ণিত সংখ্যা সূচক একটি তথ্য প্রাপ্ত বেশি নম্বর সমূহ। এগুলো হলো পরিসংখ্যান এর উপাত্ত। অনুরূপভাবে কমন নম্বর প্রাপ্ত তথ্য পরিসংখ্যানের উপাত্ত। অর্থাৎ পরিসংখ্যানে বর্ণিত তথ্যসমূহ যে সকল সংখ্যা দ্বারা প্রকাশ ও উপস্থাপন করা হয় তা হচ্ছে পরিসংখ্যান এর উপাত্ত।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *