আরাফার দিন কত তারিখে

আরাফার দিনটা ইসলাম ধর্মের পবিত্র ও অন্যতম একটি দিবস হিসেবে পরিচিত। ইসলাম ধর্মের শ্রেষ্ঠ রাত যেমন লাইলাতুল কদর, তেমনি শ্রেষ্ঠ দিন হচ্ছে আরাফার দিন। আমাদের মধ্যে অনেক মুসলিম ভাই ও বোনেরা এই দিনটিতে অনেক ধরনের ইবাদত করে থাকে তাই এই দিনটি সম্পর্কে তারা জানতে বেশ আগ্রহী। আপনারা যারা আরাফার দিন কত তারিখে এই বিষয়টি সম্পর্কে জেনে নিতে চান, আমরা আমাদের আজকের এই আর্টিকেলটিতে এই বিষয়টি সম্প র্কে আপনাদের সুবিধার জন্য বিস্তারিত কিছু তথ্য জানিয়ে দেবো। আপনারা যারা এ বিষয়টি সম্পর্কে জেনে নিতে চান আপনারা আমাদের ওয়েব সাইটটি নির্বাচন করুন আর আমাদের ওয়েবসাইটে থাকা আর্টিকেলটি সম্পূর্ণটি ধৈর্য সহকারে পড়ুন। আর জেনে নিন আপনাদের কাঙ্খিত প্রশ্নের সঠিক উত্তরটি সম্পর্কে।

আরাফার দিনটি গোটা মুসলিম জাহানের জন্য একটি গুরুত্ব পূর্ণ দিন হিসেবে ধরা চলে। কারণ এই দিনে মহান আল্লাহ তালা ইসলামকে পরিপূর্ণ তার এক ঘোষণা দান করেছিলেন। সেই ঘটনার কারণে সূরা মায়েদের তিন নম্বর আয়াতটি আরাফার এই দিনটিতে নাযিল করা হয়েছিল। এই দিনটি অন্যান্য দিনের মতো নয় এই দিনটি ইসলামে শ্রেষ্ঠতম দিন হিসেবে ধরা চলে। এই দিনটি মন আলোতলা আরাফাতের ময়দানে হাজীদের নিয়ে খুব গর্বিত হন আর ফেরেস্তাদের নিয়ে তিনি হাজীদের সম্পর্কে বলেন। এই দিনটি দোয়া কবুলের একটি দিন হিসেবে ধরা চলে। তাই আমাদের প্রত্যেকটি মুসলমানের আরাফাত দিনটি কবে কোন দিনে এই বিষয়টি সম্পর্কে জেনে তার সঠিক এবাদত করা উচিত।

যেহেতু ইসলাম ধর্মের সকল বিশেষ বিশেষ দিন ও উৎসব গুলো আরবি মাসের চাঁদের উপর নির্ভর করে। তাছাড়া প্রতিবছর আরাফাত দিনটি ও হাদিস অনুসারে আরবি মাসের ৯ এ জিলহজ্ব তারিখে আরাফার দিনটি পালন করা হয়। হাদিসে এসেছে ৯ই জিলহজ আরাফার দিনটি পালন করার বিশেষ কিছু কারন রয়েছে তার মধ্যে অন্যতম একটি কারণ হলো। হযরত ইব্রাহিম আঃ ৮ জিলহজ রাতে স্বপ্ন দেখে ন যে তিনি তাঁর একমাত্র পুত্র সন্তানকে জবাই করছেন। কিন্তু তার এই স্বপ্নটি ছিল অস্পষ্ট তিনি এই স্বপ্নটি সঠিক ভাবে বুঝতে পারেনি, তাই এই বিষয়টি সম্পর্কে বেশ চিন্তিত ছিল। পুনরায় ৯ জিলহজ তারিখে এই স্বপ্নটি সে স্পষ্টভাবে দেখে এবং সে তার পুত্রকে চিনতে পারে। আর এই ঘটনার স্মরণে ৯ জিলহজ ইসলাম ধর্মে আরাফার দিন হিসেবে পরিচিত।

হাদিসে বর্ণিত আছে প্রত্যেকটি মুসলমান তার নিজ নিজ থেকে ৯ই জিলহজ তারিখে এই আরাফার দিনটি পালন করতে পারবে। আর এই দিনটিতে বিশেষ কিছু ইবাদত রয়েছে তার মধ্যে অন্যতম একটি ইবাদত হলো রোজা রাখা। আরাফার এই দিনে আরাফার ময়দানে উপস্থিত হোক বা না হোক এই নফল রোজা টা যেন পারুতপক্ষে প্রত্যেকটি মুসলমান করে এটা একটি নফল ইবাদত কিন্তু এর সওয়াব অশেষ। আরাফার নফল রোজাটি অন্য নফল রোজার মতই। তবে জিলহজ মাসের ৯ তারিখে নিজ নিজ দেশে থেকে এ রোজাটি পালন করতে হবে। এটা আরব দেশের সঙ্গে মিল রেখে করতে হবে এরকম কোন বিধান পাওয়া যায়নি।

আপনারা যারা আরাফার দিন কত তারিখে এই বিষয়টি সম্পর্কে জেনে নিতে চান আশা করছি আমরা আমাদের আজকের এই আর্টিকেলটিতে এই বিষয়টি সম্পর্কে বিস্তারিত ভাবে জানিয়ে দিয়েছি। আপনারা আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করে এই বিষয়টি সম্পর্কে আরো ভালো ভাবে জেনে নিন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *