বাংলা ব্যাকরণের একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় হলো ভাষা। ভাষা সম্পর্কিত সকল বিষয়ে গুরুত্ব সহকারে আয়ত্ত করা বিশেষ প্রয়োজন রয়েছে। ভাষা এমন একটি প্রক্রিয়া যেটার মাধ্যমে মানুষ একজনের মনের ভাব আরেক জনের কাছে প্রকাশ করতে পারে। আপনারা অনেকেই ভাষা সম্পর্কে জানতে বেশ আগ্রহী। তাই ভাষা কাকে বলে? কত প্রকার ও কি কি? এই প্রশ্নের উত্তরটি জানার জন্য গুগল সহ ইন্টারনেটে অনেক জায়গায় আপনারা অনুসন্ধান করছেন। আজকে আমরা ভাষা সম্পর্কিত আমাদের আজকের এই আর্টিকেলটিতে বিস্তারিত আলোচনা করব। আপনারা যারা ভাষা সম্পর্কে জানতে চান আমাদের আজকের আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে পড়ে নিন। আর দেখে নিন আপনার কাঙ্খিত প্রশ্নের উত্তর টি।
বিশ্বে অনেক ভাষা রয়েছে। এক একটি জাতির ভাষা একেক রকম। কিন্তু তারা এই ভাষার মাধ্যমে তাদের মনের ভাবের আদান-প্রদান করে থাকে। বিশ্বের প্রতিটি জাতির জন্য আলাদা আলাদা ভাষা রয়েছে। ভাষা হল মানুষের মনের ভাব প্রকাশের স্বাধীনতার একটি বিষয়। মানুষ সৃষ্টির পর থেকে যে দেশে জন্মগ্রহণ করে সে দেশের সংস্কৃতি অনুযায়ী সেই দেশের ভাষা শিক্ষা পায়। মানুষ তার জন্ম লগ্ন থেকে মায়ের ভাষা পায় মায়ের ভাষা মানে সে দেশের ভাষা ও সংস্কৃতি। ভাষা এমন একটি প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে একটি মানুষের সাথে আরেকটি মানুষের সুন্দর সম্পর্ক গড়ে তুলতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে। মনের ভেতরের কথা গুলো সুন্দর ভাবে প্রকাশ করতে সহায়তা করে ভাষা।
প্রাণী জগতের মধ্যে মানুষ শ্রেষ্ঠ। শুধু বুদ্ধি, মেধা, জ্ঞানের জন্যই নয়, মানুষের শ্রেষ্ঠত্ব লাভের অন্যতম মাধ্যম হলো ভাষা। আমরা আমাদের মনের কথা অন্যের কাছে প্রকাশ করতে চাই, আর এই ভাব প্রকাশের মাধ্যমেই হলো ভাষা। আমরা প্রত্যেকেই কিছু বলতে চাই। শুধু মানুষ কেন , অন্যান্য প্রাণীরাও তাদের মনের ভাব প্রকাশ করতে চায় । যেমন ছাগলের বাচ্চা তার বাচ্চাকে ডাকলে দৌড়ে চলে আসে। পাখির বাচ্চা গুলো কিচির মিচির শব্দ করলে পাখির বাচ্চা মা গুলো সেই ছানাগুলোকে খাদ্য দিয়ে থাকে। অর্থাৎ শুধু মানুষ না সবারই একটি নির্দিষ্ট ভাষা রয়েছে যার মাধ্যমে মানুষ ও অন্যান্য পশু পাখি তার মনের ভাব প্রকাশ করে।
আপনারা যারা ভাষা কাকে বলে এই প্রশ্নটি উত্তর জানতে চাচ্ছিলেন তাদের জন্য বলছি বাগযন্ত্রের দ্বারা উচ্চারিত অর্থ বোধক ধ্বনির সাহায্যে মানুষের মনের ভাব প্রকাশের মাধ্যমকে ভাষা বলে। তাছাড়া সহজভাবে বলা যায় যে,যে প্রক্রিয়ায় মাধ্যমে মানুষ তার মনের কথাগুলো আরেক জনের কাছে পৌঁছে দিতে পারে তাকে ভাষা বলে। প্রধানত ভাষা কে দুটি ভাগে ভাগ করা হয়।
১. কথ্য ভাষা বা যেটা মুখের ভাষা ও ২. লেখ্য ভাষা বা লিখিত ভাষা।
১. কথ্য ভাষা বা যেটা মুখের ভাষা: যে ভাষার কোন লেখার ব্যবস্থা নাই মানে মুখ দিয়ে মনের ভাব প্রকাশ করতে হয় তাকে সাধারণত কথ্যভাষা বা মুখের ভাষা বলা হয়।
২. লেখ্য ভাষা বা লিখিত ভাষা: যে ভাষার লিখিত ব্যবস্থা রয়েছে মানে লিখে বোঝানো হয় তাকে সাধারণত লেখ্য ভাষা বা লিখিত ভাষা বলে।
আমাদের আজকের এই আর্টিকেলটিতে ভাষা কাকে বলে কত প্রকার ও কি কি এই প্রসঙ্গে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো, আপনারা যারা এ প্রশ্নের উত্তরটি ইন্টারনেটে বিভিন্ন জায়গায় অনুসন্ধান করছেন, তারা আমাদের ওয়েবসাইটে এসে আপনাদের কাঙ্খিত প্রশ্নের উত্তরটি জেনে নিন।