পৌরনীতি ও নাগরিকতা বিষয়টি সাধারণত নবম-শ্রেণী থেকে শিক্ষার্থীদের কে পড়ানো হয়। যে সকল শিক্ষার্থী মানবিক বিভাগ পড়ে তারা এই বিষয়টি পড়ে। আর তাই মানবিক বিভাগের শিক্ষার্থীদের পৌরনীতি বিষয়টির সাথে গভীর সম্পর্ক বিদ্যমান রয়েছে । কিন্তু পৌরনীতি ও নাগরিকতা বিষয়টি সম্পর্কে জানতে হলে এই বিষয়টি পড়তে হবে এবং এ বিষয়টি সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করতে হবে। অনেক শিক্ষার্থী দেখা যায় যে পরিণতি ও নাগরিকতার বিষয়টিতে ভয় পায়। কিন্তু পরিণতি ও নাগরিকতার বিষয়টি আসলে কঠিন নয়। অনেক সহজ একটি বিষয়। বলা যায় যে নবম-দশম শ্রেণীতে আর্স বিভাগের মধ্যে অন্যতম সহজ একটি বিষয় হচ্ছে পৌরনীতি ও নাগরিকতা।
আমাদের আজকের আর্টিকেলটিতে পৌরনীতি ও নাগরিকতা বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে এবং এই বিষয়টির ইংরেজি বানান সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে। পরিণতি ও নাগরিকতা বিষয়টি সম্পর্কে যদি জানতে হয় তাহলে আমাদের আজকের আর্টিকেলটি পড়তে পারেন। এখান থেকে পৌরনীতি ও নাগরিকতা সম্পর্কে বিভিন্ন বিষয় জানতে পারবেন। আর সেই বিষয়গুলো জানার মাধ্যমে উপকৃত হবেন বলে আশা করছি। তাই আর দেরি না করে আপনি পৌরনীতি ও নাগরিকতার বিষয়টি সম্পর্কে জানতে চান তাহলে আমাদের আজকের আর্টিকেলটি পড়ুন। আশা করি এখান থেকে আপনি উপকৃত হবেন এবং আপনার প্রয়োজনীয় তথ্যটি সংগ্রহ করে নিতে পারবেন।
পৌরনীতি শব্দটির ইংরেজি হচ্ছে Civics । Civics শব্দটি এসেছে দুটি ল্যাটিন শব্দ থেকে Civis এবং Civitas. এই শব্দ দুইটির অর্থ হচ্ছে নাগরিক এবং নগর রাষ্ট্র। বিষয়টি নাগরিকতার সাথে জড়িত অর্থাৎ পরবর্তী বিষয়টি নাগরিকতা সম্পর্কিত বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে আলোচনা করে। মূলত পৌরনীতি হলো জ্ঞানের সেই মূল্যবান শাখা যেখানে নাগরিকের অতিত , বর্তমান , ভবিষ্যৎ, এবং স্থানীয় জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে মানবতার সাথে জড়িত সকল বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করে। পরিণতি বিষয়টি পাঠের মাধ্যমে বিষয়গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা লাভ করা যাবে এবং যারা এ বিষয়গুলো সম্পর্কে জানেনা তারা জ্ঞান অর্জন করতে পারবে। তাই মানবিক বিভাগের প্রত্যেকটা শিক্ষার্থীর উচিত পৌরনীতি ও নাগরিকতা বিষয়টির প্রতি গুরুত্ব দেওয়া এবং মনোযোগ দিয়ে এই বিষয়টি পড়া।
একজন নাগরিকের সুনাগরিক হিসেবে গড়ে উঠতে যে সকল গুণাবলী দরকার সেই সকল গুণাবলী গুলো চর্চা করতে হলে বা শিখতে হলে পৌরনীতির জ্ঞান খুবই জরুরি। পৌরনীতির জ্ঞানই মানুষকে শিখায় কিভাবে সুনাগরিক হিসেবে নিজেকে তৈরি করা যাবে এবং সমাজ ও দেশের উপকারের জন্য বা কল্যাণের জন্য কিভাবে কাজ করা যাবে। তাই অবশ্যই পৌরনীতি ও নাগরিকতা বিষয়টি দেখে গুরুত্ব দিতে হবে। আর গুরুত্ব সহকারে এই বিষয়টি পড়তে হবে। আর সেই সকল গুনাবলির চেষ্টা নিজের মধ্যে করতে হবে তাহলে অবশ্যই ভালো করা যাবে এবং নিজেকে একজন নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলা সম্ভব হবে। আর তাই পৌরনীতি ও নাগরিকতার বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় হিসেবে ভূমিকা পালন করে।
কিন্তু অনেক শিক্ষার্থী মনে করে যে পৌরনীতি ও নাগরিকতা বিষয়টি অনেক কঠিন এই ভেবে তারা পড়াশোনা করে না। তারপর এই বিষয়টিতে খারাপ করে। কিন্তু আসলে পৌরনীতি ও নাগরিকতা বিষয়টি কঠিন কোন বিষয় নয়। এটি অনেক সহজ একটি বিষয়। যদি মনোযোগ সহকারে পড়া যায় তাহলে অবশ্যই অনেক বেশি সহজ হবে এবং মূল বই পড়ার পাশাপাশি গাইড থেকে যদি বিভিন্ন ধরনের প্রশ্ন চর্চা করা যায় বা অনুসরণ করা যায় তাহলে আরো বেশি ভালো করা সম্ভব হবে। তাই শুধুমাত্র গাইড না পড়ে মূল বইয়ের দিকে মনোযোগী হতে হবে এবং মূল বই বেশি করে পড়তে হবে। তাহলে পৌরনীতি ও নাগরিকতা বিষয়টিতে ভালো করা সম্ভব হবে। আশা করি আমাদের আজকের আর্টিকেল থেকে আপনি বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে জানতে পেরেছেন এবং উপকৃত হয়েছেন।
