বিশ্বের অন্যান্য দেশের মত বাংলাদেশেও যারা অর্থনৈতিক ও শারীরিক ভাবে অসচ্ছল ব্যক্তি তাদের জন্য সরকারিভাবে বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা দেয়া হয়ে থাকে। তারই ধারাবাহিকতাই ২০০১ সালে প্রতিবন্ধী কল্যাণ আইন পাশ হয়। আর এই নীতি অনুসারে প্রতি বছরে বেশ কয়েক লক্ষ মানুষকে প্রতিবন্ধী ভাতা দেওয়া হয়। আপনারা যারা এই প্রতিবন্ধী ভাতা আওতাধীন তারা অনেকেই অনেক ভাবে জানার চেষ্টা করছেন প্রতিবন্ধী ভাতা আসলে কয় মাস পর পর দেয়, আপনারা যারা এ প্রশ্নের উত্তরটি অনুসন্ধান করছেন তাদের জন্য আমরা আমাদের আজকের এই আর্টিকেলটিতে জানিয়ে দেবো প্রতিবন্ধী ভাতা কত দিন পর পর দেয়, তাই এই প্রশ্নটির উত্তর জানতে হলে আমাদের আজকের আর্টিকেলটি আপনি সম্পূর্ণ টি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
বর্তমানে প্রতিবন্ধী ভাতা তিন মাস অথবা ছয় মাস পরপর আবেদনের সময় দেয়া মোবাইল নাম্বারে বিকাশ বা নগদ নাম্বারে পাঠিয়ে দেয়। বর্তমানে প্রতি মাসে ৮৫০ টাকা হারে একজন প্রতিবন্ধী ভাতা পাবেন। এবং প্রতি তিন মাস পর পর আপনার আবেদনের সময় দেয়া বিকাশ নাম্বার অথবা নগদ নাম্বারে অটোমেটিক টাকা চলে আসবে। এক্ষেত্রে আপনি সমাজসেবা অফিসে যাওয়ার প্রয়োজন নেই। এই ভাতা পেতে হলে একজন প্রতিবন্ধী ব্যক্তিকে প্রতিবন্ধী পরিচয় পত্র আগে সংগ্রহ করতে হবে সমাজ সেবা অধিদপ্তরের মাধ্যমে।
২০০৫ সালে সরকার প্রথম প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য ভাতা দেয়ার নিয়ম শুরু করেছিলেন। যেটার প্রথম টাকার অংক ছিল দুই শত টাকা। প্রথমে এই ভাতা প্রদান করার জন্য এক লক্ষ চার হাজার একশত ৬৬ জন কে এই প্রতিবন্ধী ভাতা ই আওতাধীন অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল। যদিও বর্তমান সময়ে এই টাকার অংক অনেকটা বৃদ্ধি হয়েছে বর্তমানে এটা ৮৫০ টাকা করে বৃদ্ধি করা হয়েছে। যদিও বর্তমান সময়ে এই টাকার মূল্য সেই তুলনামূলক কম তবুও এই ভাতা প্রদানে অনেক প্রতিবন্ধী মানুষের সাময়িক কষ্টে লাঘব হয়েছে।
জীবনের মৌলিক চাহিদার অন্যান্য সব খরচ যেমন বস্ত্র, বাসস্থান, ওষুধের জন্য যে খরচ এ দেশের যে কোন হত দরিদ্র একজন প্রতিবন্ধী মানুষকে পর্যন্ত ব্যয় করতে হয়, সেসব খরচ এই ভাতার টাকা পর্যাপ্ত পূরণ করতে পারছে না।
আপনারা যারা প্রতিবন্ধী ভাতা কয় মাস পর পর দেয় এই প্রশ্নের উত্তরটি জানতে চাচ্ছিলেন তাদের জন্য আমরা আমাদের আজকের এই আর্টিকেলটিতে বিস্তারিত আলোচনা করলাম। আশা করছি এখান থেকে আপনি আপনার কাঙ্খিত প্রশ্নের উত্তরটি পেয়ে যাবেন।