বাংলা সংস্কৃতির অন্যতম একটি উৎসবের নাম হল পহেলা বৈশাখ। বাঙালি জীবনের সার্বজনীন একটি উৎসব হল এই উৎসব। এই দিনটি প্রতিটি বাঙালির জীবনে নিয়ে আসে উৎসবের আমেজ। বাংলা বছরের প্রথম তারিখ এই আমরা পহেলা বৈশাখ টি উদযাপন করে থাকি। নানা আয়োজনে ও নানা আনুষ্ঠানিকতার মাধ্যমে এই দিনটি আমরা সকল বাঙালিরা একসাথে সকল শ্রেণী পেশার মানুষ সব ব্যবধান ভুলে গিয়ে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে দিনটি পালন করে থাকি।
আপনারা অনেকেই পহেলা বৈশাখ সম্পর্কে জানেন আবার অনেকে এ বিষয়টি জানতে বেশ আগ্রহী। পহেলা বৈশাখ কে আবিষ্কার করেন,পহেলা বৈশাখ কত সালে চালু হয়, কোন সময় আবিষ্কার করেন ইত্যাদি এসব প্রশ্নের উত্তর জানার জন্য আপনারা অনেকেই গুগল সহ ইন্টারনেটের বিভিন্ন জায়গায় বারবার সার্চ করছেন এইসব প্রশ্নের উত্তর জানার জন্য। তাই আপনাদের সুবিধার জন্য আমাদের আজকের এই আর্টিকেলটিতে আমরা আপনাদের জানিয়ে দেবো এইসব প্রসঙ্গে তাই এ প্রশ্নের সঠিক উত্তরটি পেতে হলে আপনাকে সর্বপ্রথম আমাদের ওয়েবসাইট নির্বাচন করতে হবে। তারপরে শুরু থেকে শেষ অব্দি আমাদের আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়তে হবে। তাহলে আপনি আপনার কাঙ্খিত পহেলা বৈশাখ সম্পর্কে সকল তথ্য পেয়ে যাবেন।
পহেলা বৈশাখ বিদায়ী বছরের গ্লানি মুছে দিয়ে বাঙালি জীবনে নতুনের চেতনায় বাজায় মহা মিলনের সুর নিয়ে আসে পহেলা বৈশাখ। সব ভেদাভেদ ভুলে সব বাঙালিকে দাঁড় করায় এক সম্প্রীতির মোহনায়। পহেলা বৈশাখ আগমনী ধ্বনি শুনলেই সমগ্রজাতি নতুনের আহ্বানে জেগে ওঠে। পহেলা বৈশাখ উৎসবের সঙ্গে গ্রামীণ জনগোষ্টীর সংস্কৃতির নিবিড় যোগাযোগ। গ্রামে মানুষ ভোরে ঘুম থেকে ওঠে, নতুন জামাকাপড় পড়ে এবং আত্মীয় স্বজন ও বন্ধু-বান্ধবের বাড়িতে বেড়াতে যায়। বাড়িঘর পরিষ্কার করা হয় এবং মোটমুটি সুন্দর করে সাজানো হয়। বিশেষ খাবারের ব্যবস্থাও থাকে। কয়েকটি গ্রামের মিলিত এলাকায়, কোন খোলা মাঠে আয়োজন করা হয় বৈশাখী মেলার। মেলাতে থাকে নানা রকম কুঠির শিল্পজাত সামগ্রী। পহেলা বৈশাখ উৎসবে থাকে নানারকম পিঠা পুলির আয়োজন। অনেক স্থানে ইলিশ মাছ দিয়ে পান্তা ভাত খাওয়ার ব্যবস্থা থাকে।
সম্রাট আকবরের সময়কাল থেকেই পহেলা বৈশাখ উদ্যাপন শুরু হয়। তখন প্রত্যেককে চৈত্র মাসের শেষ বৈশাখ মাসের প্রথম তারিখেই পহেলা বৈশাখ উদযাপিত করা হয়।খাজনা আদায়ে সুষ্ঠুতা প্রণয়নের লক্ষ্যে মুঘল সম্রাট আকবর বাংলা সনের প্রবর্তন করেন। ১৫৮৪ খ্রিস্টাব্দের ১০ই মার্চ বা ১১ই মার্চ থেকে বাংলা সন গণনা শুরু হয়। তবে এই গণনা পদ্ধতি কার্যকর করা হয় আকবরের সিংহাসন আরোহণের সময় থেকে। প্রথমে এই সনের নাম ছিল ফসলি সন, পরে বঙ্গাব্দ বা বাংলা বর্ষ বা পহেলা বৈশাখ নামে পরিচিত হয়। বর্তমানে নগর জীবনে নগর সংস্কৃতির আদলে অত্যন্ত জাঁকজমক পূর্ণভাবে পহেলা বৈশাখ উৎযাপিত হয়। পহেলা বৈশাখের প্রভাতে উদীয়মান সূর্যকে স্বাগত জানানোর মধ্য দিয়ে শুরু হয় পহেলা বৈশাখের উৎসব। এই উৎসবে সকল শ্রেণীর পেশার মানুষ ভেদাভেদ ভুলে গিয়ে এই দিনটি পালন করে।
আপনারা যারা পহেলা বৈশাখ কত সালে চালু হয় এই প্রসঙ্গে জানতে চাচ্ছিলেন আমরা আমাদের আজকের এই আর্টিকেলটিতে এই বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করলাম। আপনারা আপনাদের সুবিধামতো আমাদের ওয়েবসাইটে এসে এই প্রশ্নের উত্তরটি জেনে নিন।