কোণ কাকে বলে কত প্রকার

জ্যামিতিতে ভালো করতে হলে বা গণিত বিষয়ে দক্ষতা বাড়াতে গেলে মৌলিক বিষয়গুলো জানা অবশ্যই উচিত। আর গণিত বিষয়ের তেমনি একটি বিষয় হলো জ্যামিতি আর জ্যামিতির একটি অংশ হলো কোন। তাই কোণ অংকন, চিহ্নিতকরণ কণের বর্ণনা ও কোণ সম্পর্কে জানার কোন বিকল্প নেই। আপনারা অনেকেই কোণ কাকে বলে ও কোণ কত প্রকার এই প্রশ্ন জানার জন্য ইন্টারনেট সহ বিভিন্ন জায়গায় অনুসন্ধান করছেন। আজকে আমাদের এই আর্টিকেলটিতে কোণ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে। তাই কোণ সম্পর্কে জানতে এখানে ওখানে না খুঁজে সঠিক জায়গাটি নির্বাচন করুন। আশা করছি আমাদের আজকের এই আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ অবধি একটু মনোযোগ সহকারে পড়লে কোণ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ও বুঝতে পারবেন।

সাধারণত জ্যামিতিক ভাষায় কোন সংজ্ঞাটা অনেকটাই সুন্দর ও সহজ। কোণ শব্দের অর্থ কোণা। সমতল জ্যামিতিতে, একই প্রান্ত বিন্দু বিশিষ্ট দুইটি রশ্মি দ্বারা গঠিত জ্যামিতিক আকৃতিকে কোণ বলে। আর একটু সহজ ভাবে বলতে গেলে, একই কোণা সাধারণত দুটি বাহু মিলিত হয়ে উৎপন্ন হয়। সুতরাং দুটি বাহুর কোণা একই জায়গাতে বা বিন্দুতে মিলিত হলে তাকে কোণ বা কোণা বলা হয়।রশ্মি দুইটি দ্বারা সৃষ্ট কোণটি এদের সাধারণ প্রান্ত বিন্দুতে উৎপন্ন হয়। রশ্মি দুইটিকে কোণের বাহু বলা হয়। আর সাধারণ প্রান্ত বিন্দুটিকে কোণের শীর্ষ বলে।

পরিমাপের কোণ এর ব্যবহার ব্যাপক। ত্রিকোণমিতি তে কোণ ব্যবহার করে বস্তুর দৈর্ঘ্য মাপা হয়। পরিমিতি তে কোণ এর ব্যবহার করে বস্তুর আয়তন নির্ধারণ করা হয়। জমির নকশা ও বিভিন্ন দৈনন্দিন জীবনে অনেক ক্ষেত্রে প্রায় প্রতিটি বস্তুর সঠিক মাপ নির্ণয় করার ক্ষেত্রে কোণ এর ব্যবহার অপরিহার্য। আমাদের আশেপাশে সর্বজ্ঞ ক্ষেত্রে কণের ব্যবহার ছড়াছড়ি। তাই কোণের ব্যবহার পৃথিবীর সবখানেই।

জ্যামিতিক অনুসারে কোণ কে সাধারণত তিন প্রকারে বিভক্ত করা হয়েছে।
১. সমকোণ ২. সূক্ষ্মকোণ ও ৩. স্থলোকোণ।

১. সমকোণ: একটি সরলরেখা আরেকটি সরলরেকার উপর দন্ডায়মান হইলে যে, দুইটি সন্নিহিত কোণ উৎপন্ন হয় তাহারা যদি পরস্পর সমান হয়, তবে ওই কোণ কে সমকোণ বলে।

২.সূক্ষ্মকোণ: সমতলস্থ দুটি রশ্মি পরস্পর যদি কোন বিন্দুতে এমনভাবে মিলিত হয় যদি তাদের মধ্যবর্তী কোণ এক সমকোণ অথবা ৯০° কোণ অপেক্ষা ছোট হয় তবে ঐ কোণকে সূক্ষকোণ বলে।

৩.স্থলোকোণ:এক সমকোণ অপেক্ষা বড় কিন্তু দুই সমকোণ অপেক্ষা ছোট কোণকে স্থূলকোণ বলে।

তবে আকার-আকৃতি, গঠন ও পরিমাপের ভিত্তিতে কোণের একটি তালিকা নিচে প্রদান করা হল।
১.সমকোণ
২.সূক্ষ্মকোণ
৩.স্থূল কোণ
৪.পূরক কোণ
৫.সম্পূরক কোণ
৬.প্রবৃদ্ধ কোণ
৭.সরল কোণ
৮.বহিঃস্থকোণ
৯.শিরকোণ
১০.উন্নতিকোণ
১১। বৃত্তস্থকোণ

কোন পরিমাপের একক হলো ডিগ্রী। এক সমকোণের পরিমাপ ৯০°। দুই সমকোণ বা এক সরল কোণের পরিমাণ ১৮০°। সরলকোণের ১৮০° ভাগের প্রত্যেক ভাগকে ১° বলা হয়। কোণ পরিমাপের জন্য চাঁদা ব্যবহার করা হয়। চাঁদার উপরিভাগের রেখায় বিভিন্ন সংখ্যা লেকে টানা হয়েছে। এগুলো চাঁদার উপরিভাগের রেখায় বিভিন্ন সংখ্যা লেখে টানা হয়েছে। এগুলো কোণের পরিমাপ নির্দেশ করে।

আপনারা যারা কোণ কাকে বলে কত প্রকার এই প্রশ্নের উত্তরটি ইন্টারনেটে বিভিন্ন জায়গায় অনুসন্ধান করছেন আজকে আমাদের এই আর্টিকেলটিতে এ বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো, আপনারা আমাদের ওয়েবসাইটে এসে আপনাদের এই প্রশ্নের উত্তরটি সঠিকভাবে জেনে নিন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *