ঝুঁকি ও অনিশ্চয়তার মধ্যে পার্থক্য

ঝুঁকি এবং অনিশ্চয়তা এই শব্দ দুটি যে কোন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সাথে জড়িত। অর্থাৎ ব্যবসা করতে হলে ঝুঁকি নিতেই হয়। অনিশ্চয়তা সত্ত্বেও ঝুঁকি নিতে হয় যে কোন ব্যবসা করতে গেলে। তাহলে এখন আমরা এই ঝুঁকি এবং অনিশ্চয়তা শব্দ দুটির সঙ্গে ভালোভাবে পরিচিত পরিচিত হব। ঝুঁকি কি এবং অনিশ্চয়তাই বা কি। তাহলে বলা যায় যে শব্দটির সাথে সম্ভাবনা জানা থাকে তখন ওই শব্দকে আমরা ঝুঁকি বলে অভিহিত করি। অপরপক্ষে কোন সংগঠনশীল ঘটনার সম্ভাবনা জানা না থাকলে বা কি ঘটনা ঘটবে সেটি অনুমান করতে না পারলে তাকে অনিশ্চয়তা বলা হয়ে থাকে।

তাহলে আমরা দেখলাম যে ঝুঁকি এবং অনিশ্চয়তা দুইটি ভিন্ন ভিন্ন শব্দ। এবং শব্দ দুটি ও আলাদা আলাদা ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয়ে থাকে। আমরা যদিও শব্দ দুটিকে সমর্থক শব্দ মনে করে একই অর্থে ব্যবহার করি তারপরেও শব্দ দুটি প্রকৃতপক্ষেই আলাদা আলাদা অর্থ প্রকাশ করে। কারণ ঝুঁকি শব্দ টি দ্বারা এটা বোঝা যায় যে আর্থিক ক্ষতির সম্ভাবনা থাকতে পারে। ব্যবসায়ীরা মুনাফা অর্জনের লক্ষ্যে অথবা তাদের ব্যবসা টিকিয়ে রাখাল রাখার লক্ষ্যে অবশ্যই যে কোন পণ্য ক্রয়ে এই ঝুঁকি নিয়ে থাকে। এবং ব্যবসা করতে হলে এই ঝুঁকি নিতেই হয় অধিকাংশ ক্ষেত্রেই। কারণ ব্যবসায় নিশ্চিত কোন জিনিস থাকে না যে সে লাভবান হবেই। কোন পণ্য ক্রয় বিক্রয় সেটি লাভ হতে পারে আবার ক্ষতি ও হতে পারে এই কারণে তাদের ঝুঁকি শব্দটির সঙ্গে বেশ ভালোভাবেই পরিচিতি লাভ করতে হয়। অর্থাৎ তাদেরকে যেকোনো বিষয়ের জন্যই ঝুঁকির জন্য প্রস্তুত হয়ে থাকতে হয়।

অর্থাৎ ব্যবসাতে ঝুঁকি থাকবেই এটি মেনে নিয়েই তাদের ব্যবসা-বাণিজ্য করতে হয়। অপরপক্ষে দেখা যায় যে অনিশ্চয়তা শব্দটি হল ভবিষ্যতের সম্ভাব্য কোন হবে বা না হবে তা নির্দিষ্ট ভাবে না জানা বা অজানা বিষয় নিয়ে কথা বলা। অর্থাৎ সেটি ভবিষ্যতে ঘটতেও পারে অথবা নাও ঘটতে পারে ভবিষ্যতে কি ঘটবে সেটি অজানা থাকা এবং এ বিষয়টি হচ্ছে অনিশ্চয়তার বিষয়। উদাহরণস্বরূপ আমরা বলতে পারি যে প্রাকৃতিক কত কোন বিপদ অথবা অপ্রাকৃতিক কোন বিপদ ঘটতে পারে যেমন রাস্তায় বের হলে যে কোন দুর্ঘটনা কবলিত হতে পারে আবার খুব ভালোভাবে বাড়িও ফিরে আসতে পারে এটিই হলো অনিশ্চয়তা কি ঘটবে যা জানা থাকে না। যেকোনো সময় যেকোনো ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারে এটিই হচ্ছে অনিশ্চয়তা। এবং এনিস অনিশ্চয়তাটি কোন মানুষের জানা থাকে না কল্পনার অতিত হয়ে থাকে কখনো কখনো। এখন আমরা ঝুঁকি এবং অনিশ্চয়তার মধ্যে কিছু পার্থক্য দেখাতে পারি।

এই পার্থক্যগুলি নিচে আলোচনা করা হলো-
ঝুঁকি একটি পরিমাণ যোগ্য অনিশ্চয়তা অর্থাৎ এখান থেকে মুনাফা হতেও পারে আবার নাও হতে পারে। ক্ষতির পরিমাণ বেশিও হতে পারে আবার কম হতে পারে ইত্যাদি।

ঝুঁকিকে আমরা পরিমাপ করতে পারি।
ঝুঁকির ক্ষেত্রে তার ফলাফলের সম্ভাব্য পরিমাপ জানা যায়।
আমরা ঝুঁকি কমানোর জন্য এর বিপরীতে বীমা করে রাখতে পারি।
আবার ঝুঁকিকে আমরা নিয়ন্ত্রণেও রাখতে পারব। অর্থাৎ সঠিক পদক্ষেপ এর মাধ্যমে ঝুঁকিকে হ্রাস বৃদ্ধি করা যেতে পারে।

অনিশ্চয়তা:
অনিশ্চয়তা ও একটি অজানা ঝুঁকি যা পরিমাপযোগ্য নয়।
আমরা অনিশ্চয়তাকে পরিমাপ করতে পারি না।
অনিশ্চয়তার ফলাফলও অজানা থাকে।

আবার অনিশ্চয়তার বিপক্ষে কোন বীমা ও করা যায় না।
অনিশ্চয়তাকে আমরা চাইলেও নিয়ন্ত্রণ করতে পারবো না।
অনিশ্চয়তাকে যেহেতু আমরা পরিমাপ করতে পারি না তাই এটিকে হ্রাস করাও যায় না।
আবার অনিশ্চয়তার ক্ষেত্রে সম্ভাব্য কোন বিকল্প বের করার সুযোগও আমাদের নেই।
তাহলে আমরা আমাদের এই পোস্টে ঝুঁকি এবং অনিশ্চয়তা সম্পর্কে বিশদভাবে আলোচনা করা হলো এবং ঝুঁকি ও অনিশ্চয়তার পার্থক্যগুলি দেখানো হলো। পাঠকেরা অবশ্যই আমাদের এই পোস্ট থেকে তারা অবশ্যই ঢুকিয়ে এবং অনিশ্চয়তার মধ্যে পার্থক্যগুলি খুব ভালোভাবে বুঝে নিতে পারবে বা পেরেছে বলে আমরা ধরে নিলাম।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *