দ্রাব্যতা নির্ণয়ের সূত্র

যুক্তি দিয়ে পর্যবেক্ষণ করে অথবা পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে প্রাকৃতিক কোনো বিষয় সম্বন্ধে বোঝা বা ব্যাখ্যা দেওয়া বা সে সম্বন্ধে ভবিষ্যৎবাণী করাই হলো প্রাকৃতিক বিজ্ঞান এর কাজ। প্রাকৃতিক বিজ্ঞানের মধ্যে আছে পদার্থবিদ বিজ্ঞান, রসায়ন উদ্ভিদবিদ্যা প্রাণিবিদ্যা, মৃত্তিকা বিজ্ঞান। এই রসায়ন বিজ্ঞানের মধ্যেই আছে দ্রাব্যতা নির্ণয়ের সূত্র বা দ্রাব্যতা কাকে বলে, দ্রাব্যতা জিনিসটা কি, এই সকল রসায়ন বিজ্ঞানের অংশ। এখন আমাদের দেখাতে হবে দ্রাব্যতা নির্ণয়ের সূত্রটি কি হতে পারে তা।

আপনারা আমাদের ওয়েবসাইটটি অবশ্যই ভিজিট করবেন, কারণ আমাদের ওয়েবসাইটে শিক্ষা বিষয়ক সকল প্রশ্নের উত্তরগুলি সবার আগে সঠিকভাবে আপনাদের সামনে উপস্থাপন করা হয়। আপনি যে শ্রেণীর ই শিক্ষার্থী হন না কেন, আপনাদের ওয়েবসাইট থেকে আপনার প্রশ্নের উত্তরটি অবশ্যই পাবেন। কারণ আমাদের ওয়েবসাইটটিতে সকল শ্রেণীর, সকল প্রশ্নের উত্তরগুলি আমরা দেওয়ার চেষ্টা করি। তাই আপনারা অন্যদিকে না খুঁজে অবশ্যই আমাদের ওয়েবসাইটটিতে আপনার প্রয়োজনীয় প্রশ্নের উত্তরটি খুঁজতে পারেন।

আবার খুঁজে পেলে প্রশ্নটি দেখার পর যদি আপনাদের উত্তরটি ডাউনলোড করে নিতে হয়, তাহলেও আপনারা ডাউনলোড করে নিতে পারবেন। কারণ আমাদের এখান থেকে প্রশ্নের উত্তর ডাউনলোড করে নিতে কোন ধরনের এক্সট্রা চার্জের প্রয়োজন হয় না। তাই আপনার প্রশ্নের উত্তরটি সাশ্রয়ী রেটে আমাদের এখান থেকে ডাউনলোড করে নিতে পারবেন। যেখানে পদার্থ আছে বা জীববিজ্ঞান আছে সেখানেই রসায়ন আছে। অর্থাৎ রসায়নের পরিধি আমাদের জীবনের পরিধির মতোই সকল ক্ষেত্রে। তাই আমাদের জীবনে রসায়ন বিজ্ঞান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। যখন এই পৃথিবীর প্রথম জন্ম হলো তখন পৃথিবী এমন ছিল না। পৃথিবী ছিল খুবই উত্তপ্ত । সেখানে কোন বাতাস ছিল না, ছিল না কোন জীবের অস্তিত্ব। কোটি কোটি বছর ধরে ঘটেছে অসংখ্য রাসায়নিক পরিবর্তন । সৃষ্টি হয়েছে বায়ুমণ্ডল ।সৃষ্টি হয়েছে জলকণা, সৃষ্টি হয়েছে হাজারো রকমের পদার্থ।

তাই আমরা বলতে পারি আমাদের জীবনে রসায়নের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। কারণ সকালে ঘুম থেকে উঠে আমরা যখন টুথপেস্ট দিয়ে ব্রাশ করি তখনই শুরু হয় আমাদের জীবনের রসায়নের প্রথম কাজ। তারপরে তো আছেই রান্নাবান্না খাবার দাবার হজম প্রক্রিয়া ইত্যাদি। এছাড়াও স্কুলে এসে খাতা কলম দিয়ে লিখা ইত্যাদি সবের মাঝেই আছে রসায়নের খেলা। আমাদের আজকে দেখাতে হবে দ্রাব্যতা নির্ণয়ের সূত্র কি। তার আগে আমাদের জানতে হবে দ্রবণ কাকে বলে ,দ্রাব্যতা কি, দ্রব্য কি , এই জিনিসগুলো। আমরা জানি দ্রবণ অর্থাৎ দুই বা ততোধিক দ্রব্য একসাথে মেশানোর ফলে একবার একাধিক পদার্থের অনুগুলো যদি পাশাপাশি অবস্থান করে তবে সেটি একটি দ্রবণ। দ্রবণ দুই ধরনের হয়।

সমসত্ব এবং অসমসত্ব। আবার দ্রাব্যতা হচ্ছে কোন দ্রবণের মধ্যে দ্রব্য এবং দ্রাবক মিশ্রিত করলে যতক্ষণ পর্যন্ত সেই দ্রাবকে দ্রবীভূত হতে থাকে বা দ্রাবক দ্রবীভূত করতে পারে সেটাই হচ্ছে দ্রাবকের দ্রাব্যতা।
দ্রবণ=দ্রাবক +দ্রব
দ্রাবক অর্থাৎ যে বস্তুটি দ্রবকে দ্রবীভূত করতে পারে তাই হচ্ছে দ্রাবক। পানি একটি উৎকৃষ্ট দ্রাবক।

দ্রব অর্থাৎ যে দ্রব্যটি দ্রবীভূত হয় তাই দ্রব চিনি ,লবণ, ইত্যাদি দ্রব্য । রসায়ন বিজ্ঞানে এই দ্রবণ দিয়ে অনেক ধরনের বিক্রিয়া সংঘটিত হয়। তাই দ্রবণ দ্রাব্যতা দ্রব্য দ্রাবক ইত্যাদি আমাদের রসায়ন বিজ্ঞানের জন্য প্রয়োজনীয় বিষয়। রসায়নের বিক্রিয়াগুলি যেহেতু দ্রবণের উপর নির্ভর করে অনেক ক্ষেত্রেই, সেই কারণে অবশ্যই দ্রাবকের গুরুত্ব আছে রসায়ন বিজ্ঞানে। যেহেতু সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর থেকে আমরা সারাদিনে যত ধরনের কাজ করি তার প্রত্যেকটিতেই বা সমস্ত কাজগুলোতেই রসায়নের রসায়ন সংঘটিত হয়েছে তাই যেহেতু আমাদের জীবনের অশানের গুরুত্ব অপরিসীম। তেমনি রসায়নের জীবনে দ্রাবক দ্রাব্যতা ইত্যাদির সূত্র বা ইত্যাদি জিনিসও রসায়নের ক্ষেত্রে অনেক গুরুত্বপূর্ণ। তাই রসায়নবিজ্ঞান জানতে হলে রসায়ন বিজ্ঞান বুঝতে হলে আমাদের অবশ্যই দ্রব দ্রাবক দ্রবণ ইত্যাদি সম্পর্কে জানতে হবে। তাই যে সূত্রটি আমরা প্রণয়ন করলাম তা অবশ্যই তোমরা গুরুত্ব সহকারে দেখবে এবং বুঝিয়ে রাখার চেষ্টা করবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *