ফেব্রিক এমন একটি পণ্য যা আমাদের দৈনন্দিন জীবনে প্রতিটি ক্ষেত্রে বিশেষ ভাবে প্রয়োজন। আমরা প্রতিনিয়ত প্রতিটি কাজের সাথেই ফেব্রিকের সঙ্গে জড়িয়ে আছি। আপনি যদি ঘুমাতে যান সেখানে বেড কভারের জন্য ও বালিশের কভারের জন্য প্রয়োজন ফেব্রিক। আপনি শরীর পরিষ্কার করার জন্য যে কাপড়টি ব্যবহার করবেন সেটা ও ফেব্রিক দিয়ে তৈরি, আর সবচেয়ে বড় কথা আপনি যেই পোশাকটি পড়বেন সেটাও ফেব্রিক দ্বারাই তৈরি। তাই ফেব্রিক এর ব্যবহার কোথায় নেই।
তারই পরিপ্রেক্ষিতে আপনারা ইন্টারনেট ও গুগলে অনুসন্ধান করছেন ফেব্রিক কত প্রকার, আর এই প্রশ্নের উত্তরটি জানতে হলে সঠিক জায়গাটি আপনাকে নির্বাচন করতে হবে, আজ আমরা ফেব্রিক কত প্রকার আজকের এই আর্টিকেলে টিতে বিস্তারিত আলোচনা করব, আপনারা যারা এই প্রশ্নের কাঙ্খিত উত্তরটি পারতে চান আমাদের আজকের আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ অব্দি একটু মনোযোগ সহকারে পড়ুন আর দেখে নিন আপনার প্রশ্নের সঠিক উত্তরটি।
বর্তমানে আধুনিক ছোঁয়াতে টেক্সটাইল ও গার্মেন্টস সেক্টর গুলোতে অনেক উন্নতি হয়েছে। তাই বাজারে এত পরিমাণে ফেব্রিকসের ছড়াছড়ি এখানে আসল কোনটা সেটা বুঝতে অনেক কঠিন ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। আর এই নকলের ভিড়ে অনেক সময় আসল ফেব্রিক্সের খুঁজে পাওয়া বেশ মুশকিল। বর্তমানে টেক্সটাইল সেক্টরে নতুন নতুন প্রযুক্তি আসার কারণে ফেব্রিকের বহুবিধ ব্যবহার ও প্রয়োগের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। যেহেতু টেক্সটাইল ব্যাপক অর্থে ব্যবহৃত হয় কাজেই ফেব্রিক হচ্ছে টেক্সটাইলেরই একটি অংশ মাত্র। ফেব্রিক রেডি মেইড গার্মেন্টসের একটি মৌলিক উপাদান। কারন এটাই হল গার্মেন্টস ফেক্টরির প্রধান কাঁচামাল।
সাধারণত ফেব্রিক শব্দের অর্থ হলো বস্ত্র কাঠামো ও কারিগরি। ফেব্রিক ইয়ার্ণ থেকে উইভিং, নিটিং, মেল্টিং ও ফেল্টিং প্রভৃতি পদ্ধতির মাধ্যমে তৈরি করা হয়ে থাকে। তবে ফেব্রিক উৎপাদনে উইভিং ও নিটিং উভয় পদ্ধতি সর্বাধিক জনপ্রিয় হিসাবে গন্য করা হয়। তাছাড়া এই সব প্রক্রিয়ায় উৎপাদিত ফেব্রিক হচ্ছে সাদা রঙের হয়ে থাকে। আর এই ফেব্রিক ডাইং প্রক্রিয়ার মাধ্যমে রং করা হয়ে থাকে। পরবর্তীতে প্রিন্টিং এর মাধ্যমে ফেব্রিকে নির্দিষ্ট স্থানে ডিজাইন করা হয়। পরিশেষে কাপড়টিকে ফিনিশিং প্রক্রিয়ায় মাধ্যমে প্রসেস সমাপ্ত করা হয়।
ফেব্রিকস দিয়ে গার্মেন্টস ফেক্টরিতে তৈরি করা হয় বিভিন্ন মানের বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষের পোশাক। এছাড়া, অনেক মানুষ রয়েছে যারা বাজার থেকে রেডিমেড পোশাক না কিনে বাজার ফেব্রিক কিনে টেইলার্সের কাছ থেকে বানিয়ে নেয়। আঁশকে বিভিন্ন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সুতার তৈরি করা হয়। সুতাকে বয়ন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে টানা ও পড়েন সুতার পরস্পর বন্ধনী দিয়ে, লুপের সাহায্য এবং আঁশকে জমাট বাঁধিয়ে ফেব্রিক উৎপন্ন করা হয়।
ফেব্রিকে কে মূলত তিন ভাগে ভাগ করা হয়
১. নিটেড ফেব্রিক
২. বয়ন ফেব্রিক ও
৩. নন-অভেন ফেব্রিক।
১. নিটেড ফেব্রিক: নিডেলের সাহায্যে ইয়ান দ্বারা লুপ তৈরি করে, ইন্টারমেশিং করার পর যে ফেব্রিক তৈরি হয় তাকে নিটেড ফেব্রিক বলা হয়।
২. বয়ন ফেব্রিক: টানা ও পড়েন সুতার পরস্পর বন্ধনীর মধ্য দিয়ে যে ফেব্রিক উৎপন্ন করা হয় তাই বয়ন ফেব্রিক বলা হয়।
৩. নন-অভেন ফেব্রিক:প্লাস্টিক ফিল্ম,ধাতব ফায়েল ইত্যাদি রাসায়নিক বা যান্ত্রিক বন্ড করে যে ফেব্রিক তৈরি করা হয় তাকে নন ওভেন ফেব্রিক বলে।
আপনারা যারা ফেব্রিক কত প্রকার এ প্রশ্নের উত্তরটি জানতে চাচ্ছিলেন আমাদের আজকের এই আর্টিকেলটিতে তা বিস্তারিত আলোচনা করা হলো, আমাদের ওয়েবসাইটে এসে আপনাদের এই কাঙ্ক্ষিত প্রশ্নের উত্তরটি জেনে নিন।