খাদ্য জাল ও খাদ্য শৃঙ্খলের মধ্যে পার্থক্য

আমাদের চারপাশে জড়ো ও জীবসহ বিভিন্ন পরিবেশে দেখতে পাই। এবং পরিবেশে অবশ্যই জড় বস্তু এবং জীববস্তু উভয়ই থাকে। যেমন একটি বনের পরিবেশ এক রকম তেমনি ভাবে সমুদ্রের পরিবেশ অথবা পুকুরের পরিবেশ আলাদা হয়। প্রত্যেকটা পরিবেশের মধ্যেই ফাঁকে আলো বাতাস ঝড় বৃষ্টি মাটি পানি ইত্যাদি। যেমন একটি জীবের জীবনে গুরুত্বপূর্ণ তেমনি তাকে ঘিরে যে জীবজগত থাকে তার প্রভাবক ওই জীবের জীবনের সমানভাবে গুরুত্বপূর্ণ হয়। একটি জীব তার জীবনধারণ ের জন্য বিভিন্ন পর্যায়ে যেসব পদক্ষেপ নেয় সেগুলো অবশ্যই একই পরিবেশে বসবাসকারী অন্য জীবের জীবনে প্রভাব ফেলে। আর এভাবেই জীবজগতের পরিবেশ গড়ে ওঠে। তাই বলা যায় যে জীব জগতে খাদ্য শিকল বা খাদ্যশৃংখল কিংবা খাদ্য জল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এই বিষয়গুলোকে বাদ দিয়ে জীবের অস্তিত্বের কথা কল্পনা করা অসম্ভব। তাই পরিবেশের প্রত্যেকটি প্রাণী উদ্ভিদ মাটি জড় পদার্থ সকলের সাথেই একে অপরের সাথে পরিপূরক।

অধিকাংশ ক্ষেত্রে দেখা যায় যে বাস্তুতন্ত্রের খাদ্য শিকলে একই খাদক বিভিন্ন স্তরের স্থান পেতে পারে। কিন্তু এভাবে বেশ কয়েকটি খাদ্যশিকল একত্রিত হয়ে একটি জলের মতো গঠন তৈরি করে। একে খাদ্যজাল বলে থাকে। স্থলজ ও জলজ উভয় পরিবেশের জন্যই এই ঘটনার সত্য হয়। অর্থাৎ জলের জন্যেও একটি আলাদা খাদ্যজাল থাকে এবং স্থলভাগের জন্য আলাদা আলাদা খাদ্যশৃঙ্খল হয়ে থাকে এই দুই ভাগের খাদ্যশৃঙ্খলের জন্যই সত্য ঘটনা এটি। পুকুরের বাস্তুতন্ত্রের জো প্লান্তনকে খাদ্য হিসেবে গ্রহণ করে ছোট এবং বড় মাছ উভয়ই। বড় মাছ আবার ছোট মাছকে জীবনধারণের জন্য খায়। বাজপাখি ছোট মাছ এবং বড় মাছের একই প্রজাতির একটু ছোট সদস্যদের সহজেই খেতে পারে। এখানে পাঁচটি বিভিন্নভাবে বেশ কয়েকটি খাদ্যশৃংখল বা খাদ্যজাল তৈরি করে এমন কিছু দেখানো যায়।

এভাবে যে খাদ্যজাল তৈরি হয়েছে তা বিভিন্ন বাস্তুতন্ত্র এর চেয়ে জটিল খাদ্য জল তৈরি হতে পারে। তাহলে আমরা কিছু খাদ্য জ াল দেখতে পারি। শৈবাল খাবে ছোট মাছ ছোট মাছ কে খাবে বাজপাখি এভাবে একটি খাদ্যজাল হতে পারে। আবার শৈবাল এর ওপর বেঁচে থাকবে জিও প্ল্যান্টটনকে আবার বড় মাছ খাবে বড় মাছকে বাদ রাখি এভাবে খাদ্যজাল হতে পারে। এরপরের খাদ্য জল হচ্ছে শৈবাল জো প্লানটন ছোট মাছ বড় মাছ বাজপাখি। খাদ্যজাল সম্পর্কিত বিভিন্ন তথ্য আমরা এতক্ষণে দেখলাম তাহলে এবার আমরা খাদ্য শিকল বা খাদ্য শৃংখল সম্পর্কে কিছু তথ্য নিতে পারি। খাদ্য শৃঙ্খলে উৎপাদক হিসেবে সবুজ উদ্ভিদ যে কোন বাস্তুতন্ত্রের জীব উপাদান গুলোর মধ্যে সবার প্রথম কাজে নামে। তারা খাদ্য তৈরি না করলে তৃণভোজী প্রাণী এবং মাংসাশী প্রাণীরা খাদ্যের সংকটে পড়ে মারা যেত।

এভাবে যখন খাদ্য শক্তি উৎপাদক থেকে শুরু করে বিভিন্ন স্তরে খাদকদের মধ্যে প্রবাহিত হয় তখন সেই প্রবাহকে একসাথে আমরা খাদ্য শৃংখল বলতে পারি। খাদ্য শৃঙ্খলের উদাহরণ হিসেবে বলা যেতে পারে যেমন মাঠের সবুজ ঘাস হচ্ছে উৎপাদক। সবুজ ঘাস খাবে ফড়িং সে ঘাসের উপর বেঁচে আছে। ঘাসফরিনকে ব্যাংক বা ওই জাতীয় কোন জীব খাদ্য হিসেবে গ্রহণ করবে। ব্যাংকে খাদ্য হিসেবে গ্রহণ করে সাপ অর্থাৎ সাপ ব্যাঙের উপর ডিপেন্ড করে বেঁচে থাকে। তাহলে সুযোগ পেলে সেই সাপ আবার বা সাপটিকে আবার গুইসাপ খেতে পারে। সেক্ষেত্রে খাদ্য শিকল বা খাদ্যশৃংখল তৈরি হয় এইভাবে। ঘাস ফড়িং ব্যাংক সাপ গুইসাপ।

এভাবে খাদ্যশৃংখল এবং খাদ্যজাল সম্পর্কিত সকল ধরনের তথ্য আমরা আপনাদের সামনে উপস্থাপন করলাম। তাহলে আশা করি অবশ্যই এ সম্পর্কিত সকল তথ্যগুলি আপনারা পেয়ে গেলেন। তাহলে জীব পরিবেশের কারণে বা জন্য অবশ্যই এই খাদ্যশৃংখল বা খাদ্যজাল বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এর আগেই আমরা বলেছি যে খাদ্যশৃংখল খাদ্য জল বা বাস্তুসংস্থান না হলে জীব পরিবেশকে অবশ্যই অস্তিত্বই থাকে না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *