কন্যা দিবস কখন ২০২৩

কন্যা সন্তান প্রকৃতপক্ষে যেকোনো পিতা-মাতার কাছে বড় আশীর্বাদ স্বরূপ একটি জিনিস। তাই কন্যা দিবসটিকে কন্যাদের অস্তিত্বকে লালন করার জন্য এবং ভালোবাসাকে আরও সমৃদ্ধ করার জন্য এই দিনটি পালন করা হয়। কিন্তু অনেক পিতা-মাতাই জানেন না আসলে কোন দিনটিকে কন্যা দিবস হিসেবে পালিত করা হয়। তাই আপনারা যারা এখনো জানেন না কন্যা দিবস কখন ও কবে এবং এই বিষয়টি নিয়ে আপনারা যারা জানতে চাচ্ছেন তাদেরকে আজকের এই আর্টিকেলটির মাধ্যমে আমরা জানিয়ে দেবো কন্যা দিবস কবে কোন দিনে পালন করা হয়। কন্যা দিবস কবে এই বিষয়টি জানতে হলে আপনাকে আজকের আর্টিকেলটি সম্পূর্ণভাবে মনোযোগ দিয়ে পড়তে হবে।

কন্যা দিবস কবে

বিশ্বজুড়ে জাতিসংঘ রাষ্ট্রসমূহ প্রতিবছর ১১ অক্টোবর তারিখে কন্যা দিবস টি পালন করা হয় । এই দিবসকে মেয়েদের দিনও বলা হয়। ২০১২ সালের ১১ অক্টোবর তারিখে প্রথম এই দিবস পালন করা হয়। প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল এ বলা হয় আমি একজন মেয়ে নামক আন্দোলনের ফলশ্রুতিতে এই দিবসটির সূচনা ঘটে।২০১১ সালের ১৯ ডিসেম্বর তারিখে এই প্রস্তাব রাষ্ট্র সংঘের সাধারণ সভায় গৃহীত হয় ও ২০১২ সালের ১১ অক্টোবর তারিখে প্রথম আন্তর্জাতিক কন্যা দিবস পালন করা হয়। কন্যা দিবস কমবেশি অনেক দেশের পালন করা হয়।

বিশ্বের অনেকে জায়গাতে কন্যা দিবস সম্পর্কে একটি নেতিবাচক ধারণা রয়েছে। কন্যা দিবসে কন্যা সম্পর্কে এরকম নেতিবাচক ধারণা লিঙ্গ বৈষম্যের কারণে। আর এই নেতিবাচক ধারণা দূর করার জন্য কন্যা দিবসের আয়োজন করা হয়েছে। পৃথিবীর অনেক জায়গাতে কন্যা শিশুকে এখনো নেতিবাচক দৃষ্টিতে দেখে থাকে। এই নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন আনার জন্যই ২০১২ সালে প্রথম কন্যা দিবসের সূচনা করা হয়। অনেক সমাজের ধারণা কন্যারা সমাজের কোন পরিবর্তন আনতে পারে না তারা সমাজের একটি বোঝা সমাজে তাদের থেকে কোন কাজ নেই এরকম নানা বিষয়ে তাদের মন্তব্য থাকে।

কিন্তু এ কথাগুলো যে মিথ্যা এটাকে গোটা বিশ্বকে জানানোর জন্যই কন্যা দিবসের আয়োজন করা হয়েছে। কারণ কন্যা রাও সুশিক্ষিত হলে তারা সমাজের অনেক উচ্চ পর্যায়ে কাজ করতে পারবে। বর্তমানে ২২ শতকে এসে কন্যা রা দেখিয়ে দিয়েছে তারা কোন অংশে পিছিয়ে থাকতে চায় না শিক্ষা দীক্ষায় কর্মে সব ক্ষেত্রে তারা পুরুষের সম অধিকার পেতে চাই। শুধুমাত্র লিঙ্গ বৈষম্যের ক্ষেত্রে কন্যা দিবস পালন হয় না, শিক্ষা অধিকার ,আইন সহায়তা, আইনের অধিকার, চিকিৎসা সুবিধা ,নারীর উপর অন্যায় ভাবে বল প্রয়োগ এসব অধিকার প্রতিষ্ঠায় করার জন্য আন্তর্জাতিকভাবে কন্যা দিবস পালন করা হয়।

তাছাড়া বিভিন্ন বড় বড় শহরে ছেলেদের পাশাপাশি যখন মেয়েরা কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে দেশের উন্নয়নের জন্য ও নিজেদের আত্মনির্ভরশীল করার জন্য যখন কাজ করে তখন কন্যা দিবস টি পরিপূর্ণ রূপ পায়। অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় এখনো কন্যাদের নিজস্ব কোন স্বাধীনতা নেই, সামাজিকভাবে তাদের কোন সম্মান নেই, শিক্ষার অধিকার থেকে বঞ্চিত, তাই তাদেরকে এখনো উজ্জীবিত করার জন্য প্রতিটা দিন কন্যা দিবস হিসেবে পালন করা উচিত। কারণ এখনো অনেক কন্যা পিছিয়ে রয়েছে তাদেরকে সামনের দিকে অগ্রসর হতে হবে।

কন্যা দিবসের ইতিহাস

তবে একটি বিষয় আমাদের মনে রাখা উচিত আন্তর্জাতিকভাবে কন্যা দিবস যার নির্ধারিত দিন হচ্ছে ১১ অক্টোবর যেটা আন্তর্জাতিকভাবে জাতিসংঘ দেশ গুলো পালন করে থাকে। একটি বিষয় জেনে রাখা ভালো কন্যা দিবস বাংলাদেশ পালন করা হয় না। প্রতিবছর বাংলাদেশে ২৯ শে সেপ্টেম্বর থেকে শুরু করে ৫ই অক্টোবর পর্যন্ত আন্তর্জাতিক শিশু সপ্তাহ পালন করা হয়। তার মধ্যে ৩০ শে সেপ্টেম্বর জাতীয় কন্যা শিশু হিসেবে বাংলাদেশের দিনটি পালন করা হয়। বিভিন্ন আয়োজন এর মাধ্যমে এই দিনটিকে পালন করা হয়ে থাকে।

কন্যা দিবসের উক্তি

যারা সমাজের জ্ঞানী গুণী মানুষ, সমাজের ভালো মন্দ টা বুঝতে পারে তারা অবশ্যই কন্যা দিবসের প্রয়োজনীয়তা বুঝতে পারে। পৃথিবীতে অনেক জ্ঞানীগুণী মানুষ আছে যারা নিজের কন্যা সম্পর্কে অনেক উক্তি দিয়ে গেছেন।

আজকের এই আর্টিকেলটির মাধ্যমে আমরা আপনাদের জানিয়ে দিলাম কবে কন্যা দিবস কন্যা দিবসের সম্পর্কে ইতিহাস ইত্যাদি আপনারা যারা কন্যা দিবস সম্পর্কে জানতে চেয়েছেন আশা করছি আমরা আমাদের ওয়েবসাইটে আপনাদের কাঙ্খিত প্রশ্নের উত্তরটি দিতে পেরেছি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *