একটি রাষ্ট্র পরিচালনার ক্ষেত্রে সবচেয়ে যার ভূমিকা বেশি সেটা হল একটি দেশের প্রধানমন্ত্রীর। আর এই রাষ্ট্র পরিচালনার ক্ষেত্রে ইতিহাসে কোন দেশের প্রধানমন্ত্রী সুনাম অনেক বেশি আবার কোন দেশের প্রধানমন্ত্রীর দুঃশাসনে একটি রাষ্ট্র প্রধানমন্ত্রী খলনায়ক হিসেবে পরিচয় লাভ পায়। আপনারা অনেকেই একটি বিষয় সম্পর্কে জেনে নিতে বেশ আগ্রহী তাই জানার আগ্রহ থেকে আপনারা গুগলে বারবার সার্চ করছেন বিশ্বের সবচেয়ে নিকৃষ্ট প্রধানমন্ত্রী কে। তাই আপনাদের সুবিধার জন্য আমরা আমাদের আজকের এই আর্টিকেলটিতে বিস্তারিতভাবে আপনাদের জানিয়ে দেবো এই বিষয়টি সম্পর্কে। এই বিষয়টি সম্পর্কে জেনে নিতে হলে আমাদের আজকের এই আর্টিকেলটি প্রথম থেকে শুরু করে শেষ অবধি ধৈর্য সহকারে পড়ুন আর জেনে নিন এই বিষয়টি সম্পর্কে। তাহলে চলুন দেরি না করে জেনে নেই বিশ্বের সবচেয়ে নিকৃষ্ট প্রধানমন্ত্রী কে।
রাষ্ট্র পরিচালনার ক্ষেত্রে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে প্রধানমন্ত্রী। একটি দেশের সবচেয়ে শক্তিশালী উৎস সেই দেশের জনগণ। জনগণের মাধ্যমে একটি দেশের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচন হয়। জনগণের নির্বাচিত ব্যক্তি একটি দেশের প্রধান মন্ত্রী হিসেবে নির্বাচিত হয়। আর সেই দেশের জনগণের ভালো-মন্দ সেই দেশের প্রধানমন্ত্রীর উপর নির্ভর করে। কিন্তু ইতিহাসের থেকে অনেক কিছু লক্ষ্য করা যায় অনেক দেশে দেখা যায় প্রধানমন্ত্রীর দ্বারা জনগণ বিভিন্ন ধরে অন্যায় অবিচার ও নির্যাতিত হচ্ছে। আর ইতিহাসে এ ধরনের প্রধানমন্ত্রীর নাম নিকৃষ্ট হিসেবে চিহ্নিত করা হচ্ছে। আর তাই অনেকেই জেনে নিতে চান পৃথিবীর সবচেয়ে নিকৃষ্টতম প্রধানমন্ত্রী কোন দেশের। তাছাড়া একটি দেশের জনগণের মূল আস্থা সেই দেশের প্রধানমন্ত্রী ওপর কাজেই একজন প্রধানমন্ত্রীর বৈশিষ্ট্য হবে সে দেশের জনগণের বন্ধু সরুপ।
সারা বিশ্বে অনেক প্রধানমন্ত্রী হিসেবে বিভিন্ন রাষ্ট্র পরিচালনা করেছে। আর সেসব প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে অনেকে সুনাম অর্জন করেছে আবার অনেকে খলনায়কের হিসেবে ইতিহাসের পাতায় নাম লিখিয়েছে। আমরা হয়তো সেসব প্রধানমন্ত্রীর কে দেখিনি তবে ইতিহাস থেকে সেসব প্রধানমন্ত্রীর নাম জেনে নিতে পারি তাদের শাসন আমলে তারা কিভাবে জনগণের উপর অন্যায় অবিচার নির্যাতন চালিয়েছে কিভাবে দেশের জনগণের ওপর জুলুম নির্যাতন করেছে ইত্যাদি। আর সেসব প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে অনেকের নাম চলে আসে তার মধ্যে অন্যতম একজন প্রধানমন্ত্রী হল জার্মানির কুখ্যাত প্রধানমন্ত্রী এডলফ হিটলার। জার্মানি এই প্রধানমন্ত্রীর জন্য সে দেশের সহ নিরীহ সব মানুষের প্রাণ দিতে হয়েছে। তাছাড়া নানান সমস্যার জন্য হিটলার কে একজন কুখ্যাত প্রধানমন্ত্রী ও নিকৃষ্ট প্রধানমন্ত্রী হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়েছে।
ইতিহাস অনুসন্ধান করলে আমরা দেখতে পাই এরকম আরো অনেক নিকৃষ্ট প্রধানমন্ত্রী। আর এসব প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে রয়েছে মায়ানমারের প্রধানমন্ত্রী আং সং সুচি। তিনি মানবতা বিরোধী কাজ করেছেন তার নির্দেশে তিনি মায়ানমারের মুসলমান দের উপর নির্মম অন্যায় ও অবিচার চালিয়ে গিয়েছেন দিনের পর দিন। সে দেশের সেনাবাহিনী দ্বারা নির্মম ভাবে হত্যা করা হয়েছে সে দেশের মুসলমানদের পরিবার গুলোকে। জাতিসংঘের এক প্রতিবেদনে আমরা দেখতে পাই সে দেশের মুসলমানদের ওপর নির্বিচারে গুলি করে আগুনে পুড়িয়ে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে এমনকি জাতিসংঘের গণমাধ্যম কর্মীদেরকে সেই দেশের নিউজ প্রকাশে বাধা প্রদা ন করেছে। সে দেশ থেকে লক্ষ লক্ষ মুসলমান আশপাশের বিভিন্ন রাষ্ট্র গুলোতে প্রাণ বাঁচাতে আশ্রয় নিয়েছিল।
একটি দেশের মূল উৎস হলো জনগণ। আর জনগণই নির্বাচন করে একটি দেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে। আর সেই প্রধানমন্ত্রীর একটি দেশের জনগণের সকল চাওয়া পাওয়া ভালো-মন্দ এই বিষয় গুলো দেখভাল করা উচিত। কিন্তু ইতিহাসে এমন অনেক প্রধানমন্ত্রীর পরিচয় মিলেছে যারা জনগণের উপর নির্যাতন অন্যায় জুলুম দিনের পর দিন চালিয়ে গেছে এবং অনেক সময় নির্মমভাবে জনগণকে হত্যা করেছে যারা এখন ইতিহাসে ও সারা বিশ্বের মানুষের কাছে নিকৃষ্টতম প্রধানমন্ত্রী হিসেবে পরিচিতি লাভ পেয়েছে। আর এইসব প্রধানমন্ত্রী পরিচয় পাওয়ার জন্য মানুষ গুগলে সার্চ করে এই বিষয়গুলো সম্পর্কে জেনে নেয়ার চেষ্টা করছে।
আপনারা যারা বিশ্বের সবচেয়ে নিকৃষ্ট প্রধানমন্ত্রী কে এই বিষয়টি সম্পর্কে জেনে নিতে চান আমরা আমাদের আজকের এই আর্টিকেলটিতে এই বিষয়টি সম্পর্কে জানিয়ে দিলাম। আপনাদের জন্য আমরা প্রতিনিয়ত এ ধরনের প্রশ্নের উত্তর গুলো লিখে থাকি। আপনারা আমাদের ওয়েব সাইটে ভিজিট করে এই বিষয়টি সম্পর্কে খুব সহজে জেনে নিন।
