পাঁচ ওয়াক্ত ফরজ নামাজের পাশাপাশি আল্লাহতালা আমাদের মুসলিম জাতির ওপর বিশেষ কিছু নামাজ আদায় করার কথা বলেছে। তার মধ্যে তাহাজ্জুদের নামাজ অন্যতম। বিশেষ এই নামাজের বিশেষ কিছু ফজিলত রয়েছে, তাই আপনারা অনেকেই তাহাজ্জুদের নামাজ আদায় করার কথা ভাবছেন, কিন্তু অনেকে জানেন না তাহাজ্জুদের নামাজ কয় রাকাত পড়তে হয় কোন সময় পড়াটা উত্তম ইত্যাদি এসব প্রশ্নের উত্তর বিভিন্ন জায়গায় ও ইন্টারনেট অনুসন্ধান করছেন। তাই আপনাদের সুবিধার জন্য আজকের এই আর্টিকেলটিতে আমরা তাহাজ্জুদের নামাজ কয় রাকাত এই প্রসঙ্গে আলোচনা করব। আপনারা যারা তাহাজ্জুদের নামাজ কয় রাকাত পড়তে হয় এই প্রশ্নের উত্তরটি জানতে চান তাহলে আজকের আমাদের এই আর্টিকেলটি একটু মনোযোগ সহকারে পড়ুন আর জেনে নিন আপনার প্রশ্নের উত্তর।
বিনা হিসেবে জান্নাতে যেতে যাদের বাধা থাকবে না, তাদের হলেন রাতে তাহাজ্জুদ নামাজ আদায় কারী বান্দা। আর এটা মুমিন বান্দার জন্য মহা সফলতা। এ কারণেই ধর্মপ্রাণ মুমিন মুসলমান গভীর রাতে তাহাজ্জুদের নফল নামাজ আদায়ে নিয়োজিত হন। কিন্তু তাহাজ্জুদ নামাজ কয় রাকাত নির্ধারণ করা হয়েছে এটা অনেকেরই অজানা। সাধারণত সর্বনিম্ন দু রাকআত তাহাজ্জুদের নামাজ পড়া যেতে পারে। আর সর্বোচ্চ ৮ রাকআত পড়াটা উত্তম। তাহাজ্জুদের ৮ রাকাত নামায আদায় করার পরে, বিতর ৩ রাকাত নামায পড়তে হয়। বেশিরভাগ সময় রাসুল (সাঃ) তাহাজ্জুদের নামায ৮ রাকাত পরতেন এবং এর পর বিতরের নামায পরে মোট ১১রাকাত পূর্ণ করতেন। তাহাজ্জুদের মহান নিয়ামত অবশ্যই লাভ হবে। তাহাজ্জুদ নামায কমপক্ষে ২ রাকয়াত এবং উর্ধ্বে ৮ রাকয়াত।
মহান আল্লাহ পাক রাব্বুল আলামিন তাঁর বান্দাদের জন্য নেয়ামত স্বরূপ এই নামাজ দিয়েছেন।হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু ওয়া সাল্লাম ৮ রাকাত ১২ রাকাত থেকে বিশ রাকাত পর্যন্ত পড়েছেন, দুই রাকাত করে চার রাকাত আদায় করছেন। আমাদের নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এই নামাজকে শ্রেষ্ঠ নফল ইবাদত হিসেবে অভিহিত করেছেন আবার অতিরিক্ত সুন্নত নামাজ ও বলা হয় হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এই নামাজ কে সর্বোচ্চ তাগিদ দিয়ে পড়তে বলেছেন। তাহাজ্জুদ নামাজ হলো এমন এক সময়ে পড়তে বলা হয়েছে নিরবে নির্ঘুম ভাবে মহান আল্লাহ পাক রব্বুল আলামিন কে স্মরণ করা যায়।
শুরুতে তাহাজ্জুদ নামাজ ফরজ ছিল। তাহাজ্জুদ নামাজের এ বিধান বলবৎ ছিল পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ ফরজ হওয়ার আগ পর্যন্ত। হজরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) বলেন, মেরাজের রাতে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ ফরজ হওয়ার আদেশ অবতীর্ণ হলে তাহাজ্জুদ নামাজের ফরজ হুকুম রহিত হয়ে নফল হয়ে যায়। তাহাজ্জুদের মর্যাদা অপরিসীম। ফরজ নামাজের পরে উত্তম নামাজ হলো তাহাজ্জুদের নামাজ। তাহাজ্জুদের নামাজ সর্বনিম্ন চার রাকাত পড়াটা উত্তম আর যদি কোন সময় কোন ব্যক্তির সময় সংকীর্ণ থাকে সে ক্ষেত্রে দুই রাকাত নামাজ পড়লেও তাহাজ্জুদের নামাজ পড়া যাবে।নিয়মিত তাহাজ্জুদ নামাজ আদায়কারীর জন্য আল্লাহ তাআলার কাছে কল্পনাতীত দামি পুরস্কার রয়েছে।
নফল ইবাদত যে যত বেশি করবে, সে তত বেশি সাওয়াব পাবে। আল্লাহর নৈকট্য অর্জনে এগিয়ে যাবে। মহান আল্লাহ পাক রাব্বুল আলামিন তার পবিত্র কোরআনের বাণী তে সুনির্দিষ্টভাবে এই নামাজের কথা উল্লেখ করেছেন অর্থাৎ হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের উম্মত দের জন্য এই নামাজ এর বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। কোরআন তেলাওয়াত এবং এই তাহাজ্জুত নামাজের ক্ষেত্রে যখন শরীর সুস্থ থাকবে তখন বেশি বেশি করে এই নামাজ পড়া কথা বলা হয়েছে। কিন্তু যখন শরীর অসুস্থ থাকবে তখন নিয়ম মাফিক অনুযায়ী বেশি না আদায় করতে পারলেও মাত্র দুই রাকাত করে পড়লে হবে এবং পরবর্তীতে যেন সে ঘুমিয়ে যায় কারণ শরীর সুস্থ রাখতে হবে এটাই আল্লাহতালার কাছে বড় নিয়ামত।
আজকের আর্টিকেলটিতে শুরু থেকে শেষ অবধি তাহাজ্জুদের নামাজ কয় রাকাত পড়তে হয় বা তাহাজ্জুদের নামাজ কয় রাকাত পড়াটা উত্তম এই প্রসঙ্গে আলোচনা করা হলো। আপনারা যারা তাহাজ্জুদের নামাজ কয় রাকাত পড়তে হয় এই বিষয়ে জানতে বিভিন্ন জায়গায় অনুসন্ধান করছেন আপনারা আমাদের এখান এসে আপনাদের কাঙ্খিত প্রশ্নের উত্তরটি জেনে নিন। তাছাড়া তাহাজ্জুদ নামাজ সম্পর্কে যে কোন প্রশ্ন থাকলে আমাদের জানিয়ে দিন, আপনাদের কাঙ্খিত যে কোন প্রশ্নের উত্তর দেয়ার জন্য আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করব।