কারক কত প্রকার

বাংলা ব্যাকরণে কারক একটি সু পরিচিত শব্দ। কারক শব্দের অর্থ সাধারণত কোন কাজ বা ক্রিয়া সম্পাদনকে বোঝায়। আপনারা অনেকেই কারক কত প্রকার এই প্রসঙ্গে জানার জন্য ইন্টারনেট সহ বিভিন্ন জায়গায় অনুসন্ধান করছেন। আপনাদের বলব এই প্রসঙ্গ জানতে হলে আপনাকে এখানে ওখানে না খুঁজে সঠিক জায়গাটি নির্বাচন করতে হবে, আজকে আমাদের এই আর্টিকেলটিতে কারক কত প্রকার এই প্রসঙ্গে নানান তথ্য আপনাদের সামনে তুলে ধরব, আর কারক কত প্রকার এ প্রশ্নটির উত্তরটি জানতে হলে আপনাকে আমাদের আজকের এই আর্টিকেলটি প্রথম থেকে শুরু অব্দি সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে পড়তে হবে। আপনাদের সুবিধার জন্য আমাদের আজকের এই আর্টিকেলটিতে কারক কত প্রকার এই প্রশ্নের উত্তরটি জানিয়ে দিলাম।

আমাদের বাংলা ব্যাকরণ এর ক্ষেত্রে কত গুলি বর্ণ নিয়ে একটি শব্দ গঠিত হয় এবং কত গুলি শব্দের সমাবেশে একটি সম্পূর্ণ বাক্য গঠন করা হয় ।এই বাক্যের মধ‍্যে কর্তা, কর্ম, ক্রিয়ার উপস্থিতি থাকে। কারক শব্দটি ভাঙ্গলে পাওয়া যায় কৃ + ণক (অক) এখানে কৃ ধাতুর অর্থ হলো করা এবং ণক বা অক এর অর্থ হলো সম্পাদন। অতএব কারকের ব্যুৎপত্তিগত অর্থ হলো- যা ক্রিয়া সম্পদান করে। সাধারণত কোনো বাক‍্যে অবস্থানরত ক্রিয়াপদের সঙ্গে নাম পদের যে সংযোগ তাকেই বলা হয় কারক। অর্থাৎ ক্রিয়া সঙ্গে যার সম্পর্ক রয়েছে সেই কারক।

আপনারা যারা কারক কত প্রকার এ প্রশ্নের উত্তরটি জানতে চাচ্ছিলেন তাদের জন্য আমরা বলছি। ক্রিয়ার সঙ্গে বাক্যের পদের সম্পর্কের পরিপ্রেক্ষিতে যে ছয়টি রূপ পাওয়া যায় তার বিবেচনায় কারককে ছয়টি ভাগে ভাগ করা যায়।

১. কর্তৃকারক
২. কর্মকারক
৩. করণ কারক
৪. সম্প্রদান কারক
৫. অপাদান কারক ও
৬. অধিকরণ কারক

১. কর্তৃকারক: বাক্যে উপস্থিত যে বিশেষ্য বা সর্বনাম পদ ক্রিয়া সম্পন্ন করে, তাকে কর্তৃকারক বলে। অর্থাৎ আরেক ভাবে বলতে গেলে বোঝাই ক্রিয়াকে কে বা কারা দ্বারা প্রশ্ন করলে যে উওর পাওয়া যায় তাই কর্তৃকারক। যেমন উদাহরণসহ বলতে গেলে খোকা বই পড়ে, এখানে প্রশ্ন হলো কে বই পড়ে? এখানে রহিম হলো কর্তৃকারক। যেমন ছেলেরা মাছ তুলে, কারা মাছ তোলে, এখানে ছেলেরা কর্তৃকারক।

২. কর্মকারক: যাকে আশ্রয় করে কর্তা তার কাজ সম্পাদন করে তাকে কর্মকারক বলে। কোন বাক্যের ক্রিয়ার সঙ্গে কি বা কাকে দ্বারা প্রশ্ন করলে সেই বাক্যে কর্ম কারকে পাওয়া যায়। উদাহরণস্বরূপ বলা যায় যে সিমলা বল খেলে এখানে বল হল কর্মকারক, সবুজ বই পড়ে এখানে বই কর্মকারক।

৩. করণ কারক: যার সাহায্যে বা যাকে দিয়ে ক্রিয়া সম্পাদন করা হয়, সাধারণত তাকেই করণ কারক বলা হয়। সাধারণত কোন বাক্যে উপস্থিত ক্রিয়া পদের সঙ্গে কিসের দ্বারা বা কি দ্বারা প্রশ্ন করলে সাধারণত করণ কারকের উপস্থিত পাওয়া যায়। উদাহরণস্বরূপ বলা যায় যে আমরা চোখ দিয়ে দেখে কলম দিয়ে লিখি। এখানে চোখ দিয়ে ও কলম দিয়ে করণ কারকে বোঝানো হয়েছে।

৪. সম্প্রদান কারক: যে বাক্যে স্বত্ব ত্যাগ করে কোন কিছু দান করা হয় বা কোন বাক্যকে কেন্দ্র করে তাকেই সম্পাদন করা হয় তাকেই সম্পাদন কারক বলা হয়। উদাহরণস্বরূপ বলা যায় যে ভিক্ষুককে ভিক্ষা প্রদান করা এখানে হলো ভিক্ষুক সম্পাদন কারক।

৫. অপাদান কারক: যা হতে কোন কিছু চলিত, প্রতিত গৃহীত উৎপন্ন বাক্যে নির্গত বোঝা যায় তাকে অপাদান কারক বলা হয়। যেমন মেঘ থেকেই বৃষ্টি হয়, তিল থেকে তেলের উৎপাদন হয়। এখানে মেঘ ও তিল অপাদান কারক হিসেবে গণ্য।

৬. অধিকরণ কারক: ক্রিয়া যে স্থানে যে সময় বা যে বিষয়ে সম্পন্ন হয়, সাধারণত তাকে অধিকরণ কারক বলা হয়। অন্যথায় অন্যভাবে বলা যায় যে ক্রিয়া সম্পাদনের সময় স্থান ও আধার কে অধিকরণ বলা হয়। যেমন পুকুরে মাছ আছে এখানে পুকুর হলো অধিকরণ কারক।

আপনারা যারা কারক কত প্রকার এই প্রশ্নের উত্তরটি ইন্টারনেটে বিভিন্ন জায়গায় অনুসন্ধান করছিলেন, আমরা আজকে আমাদের আর্টিকেলটিতে এ বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করলাম, আপনারা আমাদের ওয়েবসাইটে এসে কারক কত প্রকার এ প্রশ্নের উত্তরটি জেনে নিন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *