প্রয়োজন অভাব ও চাহিদার পার্থক্য

অর্থনীতিতে প্রয়োজন একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। মানুষের প্রয়োজন এবং অভাব পথ থেকেই বাজারজাত্যকরণের সূত্রপাত ঘটে থাকে। তাই সঙ্গত কারণেই বলা হয়ে থাকে যে প্রয়োজন অভাব এবং বাজারজাতকরণ একে অন্যের সহিত অঙ্গারাম কিভাবে জড়িত। এই মৌলিক ধারণা গুলি একে অপরের সাথে পারস্পরিক সম্পর্ক থাকা সত্ত্বেও বিষয়গুলি কখনো কখনো আলাদা আলাদা অর্থ পরিলক্ষিত হয়ে থাকে। তাহলে এখন আমরা দেখে নিতে পারি অভাব এবং প্রয়োজনের মধ্যে পার্থক্য কি হতে পারে।
প্রথমে আমরা দেখে নিই প্রয়োজন কি?

প্রয়োজন: প্রয়োজন হল কোন কিছুর অভাব বোধ করা। অর্থাৎ কোন কিছু থেকে বঞ্চিত হওয়ার বা বঞ্চিত মনে করার অনুভূতি হচ্ছে প্রয়োজন। যেমন কোথাও কোন কিছু লেখার জন্য বা লিখতে হবে এই এমন সময় আমার কাছে খাতা রয়েছে কিন্তু কলম নেই। এই কলম না থাকার বিষয়টি অর্থাৎ যেহেতু লিখতে হবে কালি নেই তাই কলমের প্রয়োজন তাই হচ্ছে বা কলমের অভাবটাই হচ্ছে প্রয়োজন। এখানে আমার কলম না থাকার বিষয়টি উপলব্ধি হচ্ছে।
এবার তাহলে আসা যাক অভাব কি অভাব কাকে বলে?

অভাব: অভাব হল এইরকম যখন বক্তার সংস্কৃতি ও ব্যক্তিত্ব দ্বারা অনুমোদিত হয় তখন তাকে অভাব বলে। অর্থাৎ মানুষের প্রয়োজনে যে আকৃতি গ্রহণ করে তাকেই অভাব বলা হয়ে থাকে।

অভাব এবং প্রয়োজনের সাথে আরেকটি বিষয় জড়িত সেটি হচ্ছে চাহিদা। এখন আমরা দেখতে পারি চাহিদা কাকে বলে এবং চাহিদা জিনিসটি কি?
চাহিদা: চাহিদা হল কোন কিছু বস্তুর বা কোন কিছুর পাওয়ার আকাঙ্ক্ষাকেই চাহিদা বলা হয়। অর্থাৎ চাহিদা হল এরকম জিনিস যা মোটামুটি ভাবে প্রয়োজন তবে না হলেও চলে যাবে এরকম জিনিসকে চাহিদা বলা হয়। যেমন প্রচন্ড গরমের কারণে বাড়িতে এসির প্রয়োজন কিন্তু এসসি না লাগালেও চলে যাবে এটি হচ্ছে এসির চাহিদা, তবে প্রয়োজন নয়। তাই সহজ কথায় বলা যায় যে যা না পেলে সাধারণত মানুষ নিজেকে বঞ্চিত মনে করে তাই প্রয়োজন। অর্থাৎ একজন মানুষ স্বাভাবিক জীবন যাপনের জন্য নূন্যতম যে জিনিসগুলি প্রয়োজন যেমন অন্য বস্ত্র বাসস্থান চিকিৎসা বিনোদন ইত্যাদি। এগুলি যদি মানুষের অভাব থেকে যায় এগুলি থেকে যদি বঞ্চিত হয় তাহলে ব্যক্তিটির বা মানুষটির এগুলো প্রয়োজন বলে ধরে নেওয়া হয়।

আবার প্রয়োজন পূরণের বহুবিধ উৎপন্ন দ্রব্যের মধ্যে যা মানুষকে তৃপ্ত করতে পারে সে রকম ধরনের জিনিসই হল অভাব। উদাহরণ হিসেবে বলা যেতে পারে যে বাঙ্গালীদের ক্ষুধা নিবারণ করার জন্য ভাত ও মাছ মাংস ইত্যাদি প্রয়োজন হয় এটি বাঙ্গালীদের বা এই ধরনের খাবার বাঙ্গালীদের তৃপ্ত করে তাই এ ধরনের খাবারগুলো বাঙ্গালীদের অভাব হিসেবে পরিচিত হয়। অন্য দিক থেকে বলা যায় যে ক্রয় ক্ষমতা সম্পন্ন অন্য দ্রব্যের অভাবকে চাহিদা বলা হয়ে থাকে। যেটি সে কিনতে পারবে এবং সেটি পেলে সে তিপ্ত হবে এরকম ধরনের চাহিদা বলা হয়।

আপনারা আমাদের ওয়েবসাইটটি ভিজিট করুন। কারণ আমাদের ওয়েবসাইটে আপনাদের প্রয়োজনীয় সকল কিছু প্রকাশ করে থাকি। আমাদের প্রকাশিত তথ্যগুলি অত্যন্ত সহজ সরল এবং সাবলীল ভাষায় আমরা প্রকাশ করে থাকি। তাই বিষয়গুলি যেকোনো দুর্বল ব্যক্তির জন্যও সমান ভাবে বোধগম্য হয়। আমাদের ওয়েবসাইট থেকে প্রশ্নের উত্তরগুলি আপনারা ডাউনলোড করে নিতে পারবেন। আমাদের ওয়েবসাইট থেকে প্রশ্নের উত্তরগুলি ডাউনলোড করতে বা ডাউনলোড করে নিতে আপনাদের আলাদা কোন ধরনের চার্জ প্রযোজ্য হয় না।

আমাদের এই পোস্টে বা এতক্ষণের আলোচনায় আমরা প্রয়োজন এবং অভাব সম্পর্কিত সকল ধরনের তথ্য প্রকাশ করা হলো। এই ধরনের তথ্য গুলি আপনাদের অবগতির জন্য প্রকাশ করা হলো।এই ধরনের প্রকাশিত তথ্য থেকে আপনারা অভাব এবং প্রয়োজন এর মধ্যে পার্থক্যগুলি বুঝে নিতে পারবেন বলে আমরা আশা রাখি। তাই আপনারা আমাদের এই পোস্টটি ভালোভাবে পড়ে বুঝে নিয়ে অভাব এবং প্রয়োজনের পার্থক্যগুলি দিবেন বলে আশা রাখি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *