মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক কে ছিলেন

দীর্ঘ নয় মাস যুদ্ধের পর বাংলাদেশের বিজয় অর্জন হয়েছে। আর এই বিজয় অর্জনের জন্য প্রতিটি মুহূর্তে বাঙালি জাতি বাঁধাপ্রাপ্ত হয়েছে। কোন কিছু বাঙালি জাতিকে দাবিয়ে রাখতে পারেনি শেষ পর্যন্ত বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশ নামে একটি দেশ ও রাষ্ট্র গঠন করতে সক্ষম হয়েছে। আর এই মুক্তি যুদ্ধের পেছনে মহান নেতা ও মহানায়ক এর অবদান সবচেয়ে বেশি। তাই আপনারা অনেকেই একটি প্রশ্নের উত্তর জেনে নিতে বেশ আগ্রহী বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক কে ছিলেন। তাই আপনাদের জন্য এই প্রশ্নটির সঠিক উত্তর কি এ বিষয়টি সম্পর্কে আমরা আমাদের আজকের আর্টিকেল টিতে জানিয়ে দেবো। আপনারা যারা এই বিষয়টি সম্পর্কে জেনে নিতে চান আমাদের আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ অব্দি সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে পড়ুন আর জেনে নিন আপনাদের কাঙ্ক্ষিত প্রশ্নে সঠিক উত্তরটি সম্পর্কে।

আমাদের জাতীয় ইতিহাসের শ্রেষ্ঠতম অধ্যায় হলো ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ। এই মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে জন্মলাভ করে স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ। আর অনেক ত্যাগ স্বীকার করে বাংলাদেশের এই স্বাধীনতা ও বিজয় অর্জন। মুক্তিযুদ্ধ বাঙালি জাতির সবচেয়ে গৌরবময় ঘটনা। এই যুদ্ধের মধ্য দিয়েই আমরা লাভ করেছি স্বাধীন দেশ, ও লাল সবুজের নিজস্ব পতাকা। আর এই স্বাধীনতা অর্জনের করতে গিয়ে বাঙালি জাতিকে এক সাগর রক্তের বিনিময়ে এই স্বাধীনতা অর্জন হয়েছে বাঙালি জাতি বুকের তাজা রক্ত ঢেলে লাল সবুজের পতাকা অর্জন করেছে। প্রতিটি ক্ষেত্রে ও প্রতিটি মুহূর্তে বাংলাদেশের এই স্বাধীনতা অর্জনের ক্ষেত্রে পাকিস্তান বাহিনী ও পাকিস্তান শাসকেরা বারবার বাধা প্রদান করে সবকিছু উপেক্ষা করে বাঙালি জাতি বিজয় ছিনিয়ে নিয়েছে।

বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ থেকে আনু ষ্ঠানিক ভাবে শুরু হলেও এর ভিত্তি রচিত হয়েছে ১৯৪৭ সালে তৎকালীন পাক ভারত উপমহাদেশ বিভক্তির পর স্বাধীন বাংলাদেশের স্বপ্নদ্রষ্টা ছিলেন সর্বকালের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তার নেতৃত্বে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ পরিচালিত হয়েছিল। এবং একটি নির্বাচিত জন প্রতিনিধি দ্বারা গঠিত গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের নেতৃত্বে ও কর্তৃত্বে এবং ওই সরকারের রাষ্ট্রপতি ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তা ছাড়া মুক্তিযুদ্ধের প্রেক্ষাপট সৃষ্টি হয়েছে সম্পূর্ণ রাজনৈতিক সিদ্ধান্তে এবং গোড়া থেকেই এ সিদ্ধান্তের নেতৃত্বে ছিলেন বঙ্গবন্ধু। মুক্তিযুদ্ধে র প্রতিটি ক্ষেত্রে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবদান ছিল চোখে পড়ার মতো।

মুক্তিযোদ্ধার অগ্রিম প্রস্তুতির জন্য ও বিশ্ব দরবারে মুক্তি যুদ্ধের সনদ হিসেবে মুজিবনগর সরকার গঠন করা হয়। এই মুজিবনগর সরকারের মাধ্যমে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনা করা হয়েছিল। মুক্তিযোদ্ধা পরিচালনা করার জন্য ও বাইরের দেশগুলো বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ কে সমর্থন করার জন্য মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন এই মুজিবনগর সরকারটি গঠন করা হয়। বাংলাদেশের যুদ্ধ পরিচালনা ও স্বদেশ ভূমিকে পাকিস্তান হানাদার বাহিনীকে বিতাড়িত করে জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমান ঘোষিত মুক্তিযোদ্ধার বিজয় অর্জনের লক্ষ্যে এই মুজিবনগর সরকারকে গঠন করা হয় শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে। বাংলাদেশের মুক্তিযোদ্ধার মহান নায়ক শেখ মুজিবর রহমানের নামে মুজিবনগর গঠন করা হয়।

তাছাড়া বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ রেসকোর্স ময়দানে জাতির উদ্দেশে দেওয়া দিক নির্দেশনা মূলক ঐতিহাসিক ভাষণে বাঙালি জাতি মুক্তিযুদ্ধের প্রস্তুতি নিতে শুরু করে। তিনি ওই লক্ষ লক্ষ জনসাধারণের মাঝে বলেছিলেন তোমাদের যা কিছু আছে তা নিয়ে মুক্তিযোদ্ধার জন্য প্রস্তুত হও। বাঙালি জাতি কখনো মাথা নত করতে শিখেনি বাঙালি জাতিকে কেউ দাবিয়ে রাখতে পারবেনা রক্ত যখন দিয়েছি রক্ত আরো দেবো তবু এদেশের স্বাধীনতাকে ছিনিয়ে আনবো তার এই বক্তব্যে বাঙালি জনতা মুক্তিযুদ্ধে প্রস্তুত গ্রহণ করেন। তার এ ভাষণ এখনো বাঙালি জাতিকে উজ্জীবিত করে প্রতিটি বাঙালিকে এই ভাষণ রক্ষণ করে বাংলাদেশকে আরো এগিয়ে নিতে হবে।

আপনারা যারা মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক কে ছিলেন এই বিষয়টি সম্পর্কে জেনে নিতে চান আমরা আমাদের আর্টিকেলটিতে এই বিষয়টি সম্পর্কে আলোচনা করলাম। আপনাদের জন্য আমরা প্রতিনিয়ত এ ধরনের গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নের উত্তর গুলো আমাদের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত করি।
আপনারা আমাদের ওয়েব সাইটে ভিজিট করে এ বিষয়টি সম্পর্কে আরও বিস্তারিতভাবে জেনে নিতে পারবেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *