সাধারণত সকল শিক্ষার্থী ভাই ও বোনেরা নবম শ্রেণির গাণিতিক বিষয়টি আবশ্যিক। তাই তাদের জন্য এই প্রশ্নটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আপনি শুধুমাত্র নবম-দশম শ্রেণীতে এই প্রশ্নটিই পাবেন না। আপনি যখন কলেজ শেষ করে ভার্সিটি জীবনেও কোন গণিতের শাখা নিয়ে বা সেই বিষয় নিয়ে পড়াশোনা করবেন সে সময়ও আপনাকে এই বিষয়ে জানতে হবে। তাই আপনারা এই বিষয়টি আগে থেকে জেনে নেয়ার জন্য গুগল সহ ইন্টারনেটের বিভিন্ন জায়গায় অনুসন্ধান করছেন তাই আপনাদের সুবিধার জন্য আমরা আমাদের আজকের এই আর্টিকেলটির মাধ্যমে এই বিষয়টি সম্পর্কে জানিয়ে দিব। আপনারা যারা এ বিষয়টি সম্পর্কে জেনে নিতে চান আমরা প্রতিনিয়ত আমাদের ওয়েব সাইটে এ বিষয় গুলো সম্পর্কে জানিয়ে দেই। আপনারা গুগলে সার্চ করার সাথে সাথে এ ধরনের প্রশ্ন উত্তর গুলো আমাদের ওয়েবসাইট থেকে খুব সহজে জেনে নিতে পারবেন।
আমরা সাধারণত গণিত বলতে হিসাব-নিকাশ বিষয়টিকে বুঝায়। আর হিসাব-নিকাশ কথাটির সাথে সংখ্যা ও পরিমা নের ধারণাটি চলে আসে।গণিতের নিজস্ব একটি ভাষা আছে । এটি হলো গণিতের সার্বজনীন ভাষা। এ ভাষা ব্যবহার করে বিজ্ঞানীরা বা গণিতবিদগণ একে অপরের সাথে তাদের মতা মত ও নতুন নতুন ধ্যান-ধারণা বিনিময় করে থাকেন।আমাদের সাধারণত গণিতের জনক কে এই বিষয়টি সম্পর্কে জেনে নেয়ার আগে গণিত কি এই বিষয়টি সম্পর্কে একটু ধারণা রাখা প্রয়োজন। গণিত হল একটি নির্দিষ্ট পরিমাণের বিজ্ঞান। তাছাড়া বিজ্ঞানের যে শাখায় পরিমাণ, গঠন, স্থান এবং পরিবর্তন বিষয়গুলো নিয়ে গবেষণা করা হয় সেটা গণিত। গণিতের অন্যতম একটি মাধ্যম হলো নির্দিষ্ট পরিমাপ ও নির্দিষ্ট হিসাব প্রদান করা।
বহুকাল আগ থেকে মানুষ অর্থের আদান-প্রদান শুরু করে আর এই অর্থের আদান প্রদান করার ক্ষেত্রে হিসাবটা অত্যন্ত জরুরী একটি বিষয় আর হিসাবের একটি অন্যতম অংশ হলো গণিত। মানব সভ্যতার পরিবর্তনের সাথে সাথে গাণিতিক বিভাগে অনেক পরিবর্তন ঘটে। মানুষের জীবন যত আধুনিকরন ও বৈচিত্রময় হচ্ছে মানুষ তত গাণিতিক বিষয় গুলোর উপর বেশি প্রাধান্য দিচ্ছে। কারণ প্রতিটি ক্ষেত্রে মানুষের এখন অর্থের লেনদেন ও হিসাব-নিকাশের বোঝা পড়া থাকছে আর সেক্ষেত্রে গাণিতিক হিসাব গুলো অন্যতম একটি বিষয়। গাণিতিক বিষয়ের প্রধান কাজ হল আর্থিক লেনদেন গুলোকে সম্পূর্ণ নির্দিষ্টভাবে পরিপূর্ণ ফলাফল প্রদান করা। আর সেই ফলাফলটি হবে নির্ভুল ও সঠিক।
গাণিতিক বিষয়গুলো এমন একটি বিষয় যেখানে সঠিক তথ্য প্রক্রিয়ার মাধ্যমে লেনদেন সংরক্ষণ লিপিবদ্ধ করুন এর সঠিক ফলাফল গুলো নির্ণয় করে খুব ভালোভাবে বিশ্লেষণ করে একটি সুন্দর প্রতিবেদন তৈরি করবে। মানব সভ্যতা বিনিময় প্রথা শুরু হওয়ার পর প্রতিনিয়ত গাণিতিক বিষয় গুলো পরিবর্তন হয় আর। আর এ পরিবর্তনের ফলে গাণিতিক সংখ্যা গুলো দিন দিন বৃদ্ধি পেয়ে থাকে। মানুষ তার নিজের প্রয়োজনের ক্ষেত্রে ও নিজের অর্থের হিসাব রাখার জন্য গাণিতিক বিষয়টা গুরুত্ব অনেক বেশি। বর্তমানে মানুষ তার ব্যবসা-বাণিজ্য ও তার নিজেদের অর্থের হিসাব রাখার ক্ষেত্রে গাণিতিক শিক্ষাটা অত্যন্ত জরুর একটি বিষয়।
আপনারা একটা বিষয় জেনে খুবই অবাক হবেন বিজ্ঞানের কয়েকটি বিষয়ে নোবেল পুরস্কার প্রদানের স্বীকৃতি থাকলেও গণিতের জন্য কোনো নোবেল পুরস্কার নেই। তবে গণিত বিষয়ে গবেষণা করার জন্য প্রতি চার বছর পর পর বিজ্ঞানী দের বিশেষ পুরস্কারের ব্যবস্থা থাকে। আর এই পদক টি হল ফিল্ডস পদক। তাই গণিতের জনক নির্দিষ্টভাবে উল্লেখ করা কঠিন একটি বিষয়। ইতিহাস হতে জানা যায়,গণিত এর ব্যবহার সর্বপ্রথম শুরু হয়েছে খ্রিস্টপূর্ব ৪০০০ অব্দে। সুমে রীয় ও ব্যবিলনীয় সভ্যতা গণিতের জনক। তাঁরা গণনার কাজ করতে সর্বপ্রথম গণিতের বিকাশ ঘটায়।তবে বর্তমানে গণিত কম্পিউটার প্রোগ্রামিং তথা কম্পিউটার বিজ্ঞানে ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়।
আশা করছি গণিতের জনক কে এই বিষয়টি সম্পর্কে আমরা আমাদের আজকের এই আর্টিকেলটিতে আপনাদের সঠিক ধারণা দিতে পেরেছি। আপনারা যারা এই বিষয়টি সম্পর্কে জেনে নিতে চান আমাদের ওয়েব সাইটে ভিজিট করে এ বিষয়টি সম্পর্কে জেনে নিতে পারেন।