অপরাজেয় বাংলার স্থপতি কে

দীর্ঘ নয় মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মাধ্যমে বাংলাদেশের স্বাধীনতা আর সেই স্বাধীনতার ইতিহাস কে চিহ্নিত করা হয় জন্য অপরাজেয় এর মত বিখ্যাত কিছু ভাস্কর্য নির্মিত করা হয়। এই ভাস্কর্যটি নির্মাতা করা হয়েছে সাধারণত বাংলাদেশের স্বাধীনতার যুদ্ধের স্মরণে মুক্তিযোদ্ধার আলোকে। বাংলা দেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের স্মরণে নিবেদিত একটি ভাস্কর্য। ভাস্কর্যটি বিষয় বস্তু তিনজন দণ্ডায়মান মুক্তিযোদ্ধা কে চিহ্নিত করা হয়েছে। বিখ্যাত এই ভাস্কর্যটি নিয়ে আমাদের অনেক সময় অনেক ক্ষেত্রে অনেক প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হয়। তাছাড়া আপনারা অনেকেই অপরাজেয় বাংলার স্থপতি কে এ প্রশ্নের উত্তরটি জানতে গুলসহ ইন্টারনেটের অনেক জায়গায় অনুসন্ধান করছেন। তাই আপনাদের সুবিধার জন্য আমরা আমাদের আজকের আর্টিকেলটিতে এ প্রশ্নের সঠিক উত্তরটি জানিয়ে দেব। তাছাড়া এ ধরনের প্রশ্নের উত্তর গুলো আমরা প্রতিনিয়ত আমাদের ওয়েবসাইটে লিখে থাকি আপনারা গুগলে সার্চ করার সাথে সাথে আমাদের ওয়েব সাইডে ভিজিট করে এ ধরনের প্রশ্নের উত্তর গুলো জেনে নিতে পারবেন।

১৯৭২ সালের দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজনৈতিক ঐতিহ্যের প্রতীক হিসেবে একটি ভাস্কর্য স্থাপনের পরিকল্পনা করেছিলেন সেই সময় ডাকসুর সাংস্কৃতিক সম্পাদক। এবং তারই আলোকে তৈরি করা হয়েছিল অপরাজেয় বাংলা। বিখ্যাত এই অপরাজেয় ভাস্কর্যটি সাধারণত বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাতে অবস্থিত। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলাভবন চত্বরে প্রতিষ্ঠিত, মুক্তিযুক্ত ভিত্তিক এই ভাস্কর্যটি। অপরাজেয় বাংলা ভাস্কর্যটি ছয় ফুট উঁচু একটি বেদীর উপর ভাস্কর্যটি অবস্থিত। মূল ভাস্কর্যটির উচ্চতা বার ফুট, প্রস্থ আট ফুট এবং ব্যাস ছয় ফুট। বিখ্যাত এই ভাস্কর্যটি নির্মিত হয়েছে সাধারণত সিমেন্ট বালু পাথরকুচি ইস্পাত রড ইত্যাদি। মূল ভাস্কর্যটি তৈরি হচ্ছে মূলত বার ফুট উচ্চতায়। বিখ্যাত এই ভাস্কর্যটি মুক্তিযুদ্ধার অনেক স্মৃতি মনে করে দেয় বাঙালি জাতিকে।

বাংলাদেশের বিভিন্ন জাতীয় আন্দোলনের ঐতিহাসিক স্মৃতি হিসেবে নির্মিত করা হয় এই ঐতিহাসিক ভাস্কর্যটি। ঢাকা বিশ্বদ্যালয়ের ছাত্র শিক্ষকদের অবদানের প্রতীক হিসাবে এই ভাস্কর্য স্থাপন করা হয়। এর মূল ভাবটি ১৯৭১ সালের মুক্তি যুদ্ধ ভিত্তিক। এই ভাস্কর্যে রয়েছে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণকারী তিন জন যোদ্ধা। এর মাঝখানে রয়েছে একজন লুঙ্গি পরিহিত গ্রাম্য যুবক। যার বাম হাতে রয়েছে একটি হাত গ্রেনেড এবং ডান হাতে তিনি রাইফেল বেল্ট ধরে আছেন।আর অপরাজেয় বাংলার বিখ্যাত এই ভাস্কর্যটি স্থপতি ছিলেন সৈয়দ আব্দুল্লাহ খালেদ। এই ভাস্কর্যটি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস কে বহন করে চলেছে। বাংলাদেশের স্বাধীনতার যুদ্ধে নারী পুরুষ সবার অংশগ্রহণে এদেশে থেকে শত্রুমুক্ত করতে পেরেছিল এ ভাস্কর্যটিতে তা স্পষ্টভাবে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। অপরাজেয় বাংলা এ ভাস্কর্যে সব শ্রেণীর যোদ্ধার প্রতিচ্ছবি তুলে ধরা হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *