বাংলাদেশ একটি গণতান্ত্রিক দেশ। আর বাংলাদেশের বর্তমান সরকার ব্যবস্থা সংসদীয় পদ্ধতি অনুসারে চলে। সংসদীয় সরকার কাঠামোর পদ্ধতি অনুসারে প্রধানমন্ত্রীর হাতে সকল ধরনের ক্ষমতা ন্যাস্ত থাকে। আর আধুনিক সংসদীয় সরকার ব্যবস্থা গুলো মূলত তিনটি স্তরের স্থাপিত নির্বাহী বিভাগ, বিচার বিভাগ ও আইন বিভাগ। প্রধানমন্ত্রী এবং অন্যান্য প্রধান উচ্চপদস্থ মন্ত্রীগণ সর্বোচ্চ সিদ্ধান্ত গ্রহণ কমিটির সদস্যপদ লাভ করেন, যা মন্ত্রিসভা নামে পরিচিত। তাই আমাদের অনেক সময় অনেক ক্ষেত্রে সংসদীয় সরকার কাঠামোয় নির্বাহী ক্ষমতার অধিকারী কে এই প্রশ্নটির সম্মুখীন হতে হয়। তাই আপনাদের সুবিধার জন্য আমরা আমাদের আজকের আর্টিকেলটিতে আপনাদের কাঙ্খিত এই প্রশ্নের উত্তরটি সম্পর্কে বিস্তারিত ভাবে জানিয়ে দেবো। আপনারা যারা এ ধরনের গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নের উত্তর জানার জন্য গুগলে অনুসন্ধান করছেন আপনারা আমাদের ওয়েব সাইটে ভিজিট করে এ ধরনের প্রয়োজনীয় প্রশ্নের উত্তর গুলো খুব সহজে জেনে নিতে পারবেন।
একটি সংসদীয় সরকার এমন একটি পদ্ধতি যেখানে নিবাহী ও আইনী ক্ষমতার শাখা একে অপরের ক্ষমতার বিরুদ্ধে একটি চেক হিসেবে আলাদা আলাদা বিরোধিতা করে থাকে। কারণ বিশ্বের উন্নত রাষ্ট্র গুলোতে এই ধরনের কার্যক্রম প্রথা গুলো প্রচলিত রয়েছে। সরকারের নির্বাহী শাখা, আইনী শাখা,থেকে সরাসরি তার ক্ষমতাকে আকর্ষণ করে। যে কারণে শীর্ষ সরকারের আধিকারিক এবং তার মন্ত্রিসভা কে সদস্যদের ভোটারদের দ্বারা নির্বাচিত হতে হয় না। সরকার কর্তৃক মনোনীত পদ্ধতিটি এমন পদ্ধতি যা সংসদীয় সরকার এবং রাষ্ট্রপতি ব্যবস্থার মধ্যে প্রাথমিক পার্থক্য লক্ষ্য করা যায়। সংসদীয় শাসনের প্রধান আইনী শাখা দ্বারা নির্বাচিত হয় এবং সাধারণত প্রধানমন্ত্রীর পদমর্যাদা পাই। যা সংসদীয় কাঠামোকে আরো শক্তিশালী হিসেবে গড়ে তুলে।
সংসদীয় সরকারের ক্ষমতায় দলটি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় এবং মন্ত্রিসভার সকল সদস্যকে নিয়ন্ত্রণ করে, একটি শাখায় পর্যাপ্ত সংখ্যক আসনে অধিষ্ঠিত করার পাশাপাশি সবচেয়ে বিতর্কিত বিষয় গুলির উপরও নিয়ন্ত্রণ দেয়। বিরোধী দল বা সংখ্যালঘু দল, সর্বাধিক প্রায় সব দলকে তার আপত্তিতে বিব্রত হতে পারে বলে ধারণা করা যায়। আপনারা যারা জেনে নিতে চান সংসদীয় সরকার কাঠামোয় নির্বাহী ক্ষমতার অধিকারী কে তাদের উদ্দেশ্যে বলছি সংসদীয় সরকার কাঠামোর নির্বাহী ক্ষমতার অধিকারী হলেন প্রধানমন্ত্রী। আর সংসদীয় সরকার প্রধানত আইনসভা দ্বারা পরিচালিত সরকার। সংসদীয় সরকারে আইন বিভাগের প্রাধান্য পরিলক্ষিত হয়। এ শাসন ব্যবস্থায় মন্ত্রীগণ আইন সভার অধিবেশনে যোগদান এবং সক্রিয় ভাবে কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করে থাকে ফলে তারা আইন সভার সিদ্ধান্ত গ্রহণে প্রভাব খাটাতে পারেন।
