শেখ রাসেল ছিলেন বাংলাদেশের স্বাধীনতার মহানায়ক বাংলাদেশের রাজনৈতিক নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কনিষ্ঠতম পুত্র। বাঙালির স্বাধীনতা আন্দোলনের বিক্ষুব্ধ সময়ে এই আন্দোলনের এই বিশিষ্ট নেতার ঘরে জন্ম নেওয়া শুরু থেকেই এক বৈরিতার আচ পেয়েছিল শেখ রাসেল। শেখ রাসেল জীবনের প্রতিটি ক্ষণে সে বারবার কষ্ট পেয়ে গিয়েছে। তাই আপনারা যারা শেখ রাসেল কারাগার কে কি বলতো এই বিষয়টি সম্পর্কে জেনে নিতে চান। আপনারা যারা এই বিষয়টি সম্পর্কে জেনে নিতে চান আমরা আমাদের আজকের আর্টিকেলটির মাধ্যমে এ বিষয়টি সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করবো। আপনারা আমাদের ওয়েব সাইটে থাকা আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ অবধি ধৈর্য সহকারে পড়ুন আর জেনে নিন এই বিষয়টি সম্পর্কে।তাছাড়া আপনারা এ ধরনের প্রশ্নের উত্তর জানার জন্য গুগলে এ সার্চ করার সাথে সাথে আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করে খুব সহজে জেনে নিতে পারবেন।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাঙ্গালীদের জন্য প্রতিটি ক্ষেত্রে বারবার নির্যাতিত ও অপদস্ত হয়েছেন। তিনি কখনো তার নিজের পরিবার ও সংসারের কথা ভাবেনি বারবার বাংলাদেশের অসহায় ও গরিবের মানুষের কথা চিন্তা করে গেছেন। জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্র ও প্রতিটি সময় তার রাজনৈতিক পদচারণায় কেটে গেছেন। বাংলার মানুষের কথা ভেবে তিনি তার জীবনের মায়া কখনো করেনি সকল ধরনের অত্যাচার তিনি মাথা পেতে নিয়েছেন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবনের একটি বড় অংশ কেটেছে কারাগারে। বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ক্ষেত্রে তাকে বারবার কারাগারে থাকতে হয়েছে দীর্ঘ সময় ধরে। তার এই আত্মত্যাগ ও তার এই অবদান বাংলার মানুষ কখনোই ভুলবে না।
যে বয়সে বাবা-মাকে ঘিরে গড়ে ওঠে শিশুর জগত, তখন কারাগারে বাবাকে দেখতে যেতেন ছোট্ট শেখ রাসেল।বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পাঁচ সন্তানের মধ্যে সবচেয়ে ছোট শেখ রাসেল। শেখ মুজিবর রহমানের জেল জুলুম ছিল তার নিত্য দিনের সঙ্গী। তাই পিতৃস্নেহ বলতে যা বোঝায় তা পাঁচ সন্তানের কেউ-ই সেটা যথার্থভাবে পাইনি। সবচেয়ে ছোটজন রাসেলের ক্ষেত্রেও তার ব্যতিক্রম হয়নি। তার বাবার আদর থেকে সে বঞ্চিত হয়েছে। তবে ছোট হওয়ায় রাসেলকে সব ভাই বোন ভালবাসতেন তবুও পিতার আদর ভালোবাসা তিনি কম পেয়েছেন তার জন্মের সময়ও রাসেল তার পিতাকে কা ছে পাননি। রাসেল যেদিন জন্মগ্রহণ করেছেন সেদিন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান একটি রাজনৈতিক সভায় যোগদানে ব্যস্ত ছিলেন। তিনি সবসময় বাংলার মানুষের অগ্রগতির কথা ভাবতেন তিনি সংসারের মায়া কখনো করেননি।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে প্রতিটি ক্ষণে প্রতিটি সময়ে বারবার গ্রেফতার করা হয়েছে এবং তাকে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে। বাংলাদেশের বেশিরভাগ আন্দোলনের ক্ষেত্রে তার নেতৃত্ব ছিল অন্যতম তাই তাকে বারবার ও বেশিরভাগ সময়ে কারাগারে থাকতে হয়েছে। তবে জন্মের পর থেকে বেশিরভাগ সময়ে তার ছোট ছেলে শেখ রাসেল তাকে কারাগারে দেখতেন। অবুঝ শেখ রাসেল মনে করতেন কারাগারটি হলেন তার বাবার আসল বাড়ি। কারাগারে বাবাকে দেখে আসার পর প্রতিবারই রাসেল অস্থিরতার থাকতেন। রাসেল কিছুতেই আসতে চাইত না। সে সময় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান রাসেল কে উদ্দেশ্য করে বলতেন এটা আমার বাড়ি আমি থাকি। তুমি মায়ের বাড়িতে যাও।
কারাগারে দেখা করার সময় রাসেল কিছুতেই তাঁর বাবাকে রেখে আসতে চাইত না। এ কারণে তাঁর মন খারাপ থাকতো।শেখ রাসেল ছিলেন খুব অভিমান। বাবা ছাড়া তিনি খুব কষ্টে তার দিনগুলো পার করতেন। ছোট থেকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পিতাকে কারাগারে দেখতে দেখতে তিনি অন্যরকম ও চুপচাপ মনের মানুষ হয়ে উঠছিল। দীর্ঘ সময় তার বাবাকে কারাগারে থাকতে দেখে ছোট্ট রাসেল বলতেন ওটা আমার বাবার বাড়ি ওখানে আমার বাবা থাকেন। আর আমার বাবাকে আমি মাঝে মাঝে দেখতে যাই। শেখ রাসেল তার মনের কষ্ট ও বেদনা থেকে তার মাকে বাবা বলে ডাকতেন।
আপনারা যারা আপনাদের এই ধরনের কাঙ্খিত প্রশ্নের উত্তরটি খুব সহজে জেনে নিতে চান আমরা এই বিষয়টি সম্পর্কে খুব সহজ ও সরল ভাষায় আমাদের আজকের আর্টিকেলটি তে প্রদান করলাম। আপনারা আমাদের ওয়েবসাইডে ভিজিট করে এই বিষয়টি সম্পর্কে সঠিক উত্তরটি জেনে নিতে পারেন।