দলিল হল কোন কিছুর লিখিত চুক্তিকেই বোঝায়। সেটা জমির ক্রয় বিক্রয় হোক বা বিয়ের কাবিন নামাই ইত্যাদি নানান ধরনের হয়ে থাকে দলিল। তবে জমি ক্রয় বিক্রয়ের ক্ষেত্রেই দলিলের বিষয়টা বেশি প্রাধান্য পায়। আপনারা অনেকেই দলিল কত প্রকার এই প্রশ্নের উত্তর জানার জন্য গুগল সহ ইন্টারনেটের বিভিন্ন জায়গায় অনুসন্ধান করছেন। আর এই প্রশ্নের উত্তরটি জানতে হলে আপনাকে সঠিক জায়গায় এসে সঠিক উত্তরটি জেনে নিতে হবে। আপনাদের সুবিধার জন্য আমরা আমাদের আজকের এই আর্টিকেলটিতে দলিল কত প্রকার এই প্রসঙ্গে বিস্তারিত আলোচনা করব। আপনারা যারা এই প্রশ্নের উত্তরটি পেতে চান আমাদের আজকের আর্টিকেলটি সম্পন্নটি পড়ুন আর দেখে নিন আপনার এই কাঙ্ক্ষিত প্রশ্নের উত্তরটি।
দলিল কত প্রকার এই বিষয়টি জানা আপনার অবশ্যই জরুরি। আপনি যদি কোন সম্পত্তির মালিক হতে চান বা মালিক দাবি করেন তাহলে অবশ্যই আপনাকে সে জমির দলিল দেখাতে হবে। যে কোনো সম্পত্তির মালিক হতে হলে সর্বপ্রথম আপনাকে সেই জমির দলিল সঠিকভাবে প্রদান করতে হবে। আর তার জন্য দলিল কত প্রকার এই বিষয়ে জেনে থাকা উচিত। কারণ কোন সম্পত্তির সঠিক দলিল যদি আপনি দেখাতে ব্যর্থ হন তাহলে আপনাকে সে জমির মালিকানা হিসেবে গণ্য করা হবে না। তবে জমি অনুযায়ী জমির প্রকারভেদ অনেক বেশি বিভিন্ন জমির বিভিন্ন প্রকারভেদ রয়েছে। আলাদা আলাদা ভাবে জমির প্রকারভেদ হয়ে থাকে আজকে আমরা আপনাদের জানিয়ে দিব জমির প্রকারভেদ সম্পর্কে।
আপনারা যারা জানতে চেয়েছেন দলিল কত প্রকার তাদের জন্য বলছি বাংলাদেশের ভূমি আইন অনুযায়ী জমির দলিল মোট ৯ ধরনের হয়ে থাকে।
১. সাফ-কবলা দলিল
২. দানপত্র দলিল
৩. হেবা দলিল
৪. হেবা বিল এওয়াজ দলিল
৫. এওয়াজ দলিল
৬. বন্টন নামা দলিল
৭. অসিয়তনামা দলিল
৮. উইল দলিল
৯. না-দাবি দলিল
১. সাফ-কবলা দলিল: কোন একজন ব্যক্তি তার সম্পত্তি অন্য আরেক জনের কাছে বিক্রি করে, দলিল রেজিস্টরি করে দেন তাকে সাফ কাবলা দলিল বলে। এই দলিলটি স্ট্যাম্পে লেখার পর বিক্রেতা সাব স্টোরি অফিসে জমির মালিক কে বুঝিয়ে দেন।
২. দানপত্র দলিল: কোন ব্যক্তি কোন শর্ত ছাড়াই, কোন সম্পত্তি কোন ব্যক্তিকে বুঝিয়ে দেয় তখন তাকে দানপত্র দলিল বলা হয়।
৩. হেবা দলিল: মুসলিম সম্প্রদায়ের জন্য এই হেবা দলিল,এই দলিল কোন কিছুর বিনিময়ে নয়,কেবলমাত্র সন্তুষ্ট হয়ে এইরূপ দান করাকেই হেবা দলিল বলে।
৫. এওয়াজ দলিল:যে কোন সম্প্রদায়ের বা একই বংশের বা কোন ব্যক্তি যে কোন ব্যক্তির সুবিধা মত একের ভূমি অপরকে দিতে পারেন একে এওয়াজ দলিল বলে।
৬. বন্টন নামা দলিল:যে সম্পত্তি নিজ নিজ ছাহাম প্রাপ্ত হয়ে উক্ত ছাহামের যে দলিল করতে হয় তাকে বন্টননামা দলিল বলে।
৭. অসিয়তনামা দলিল: কোন ব্যক্তি যদি তার উত্তরাধিকারদের মধ্যে বন্টন করে এবং মৃত্যুর পর তারা এই সম্পত্তির মালিক হবে এইরকম দলিলকে আসিয়াত নামা দলিল বলে।
৮. উইল দলিল: জীবিত থাকতে কোন ব্যক্তি যদি তার সম্পত্তি কোন ব্যক্তিকে দিয়ে যায় তখন তাকে উইল দলিল বলে।
৯. না-দাবি দলিল: কোন ব্যক্তির যদি সুনির্দিষ্ট কোন সম্পত্তি সত্তা অধিকার ত্যাগ করে রেজিস্ট্রেশন করে তাকে না দাবি দলিল বলে।
আপনারা যারা জানতে চেয়েছিলেন দলিল কত প্রকার আমাদের আজকের আর্টিকেলটিতে তা জানিয়ে দিলাম, আপনারা আমাদের এখান থেকে এসে আপনাদের প্রশ্নের উত্তরটি জেনে নিন।