ধ্বনি কাকে বলে? কত প্রকার Class 6, 7, 8, 9

ধ্বনি ভাষার মূল উপাদান এবং ক্ষুদ্রতম একক। তাই কোন ভাষার উচ্চারিত শব্দকে সুক্ষভাবে বিশ্লেষণ করলে যে অবিভাজ্য ক্ষুদ্রতম অংশ পাওয়া যায় তাকেই ধ্বনি বলতে পারি। আসলে ধ্বনি দিয়েই ভাষার সূত্রপাত হয়ে থাকে। মানুষ যেহেতু সামাজিক জীব তাই সমাজে চলতে গিয়ে মানুষের মধ্যে সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এই সম্পর্কের বহিঃপ্রকাশ ঘটে থাকে নানা রকম শব্দ আওয়াজ ইশারা ইত্যাদি আদান-প্রদানের মাধ্যমে। এই শব্দ বা আওয়াজ অবশ্যই আবার অর্থপূর্ণ আকারে প্রকাশিত হলেই তা ধ্বনির রূপ নিবে। আমাদের মধ্যে কেউ যখন কথা বলে তখন তাকে কিছু ধনী উচ্চারণ করতে হয়, এ ধ্বনি বা আওয়াজেই অপরজন বা শ্রোতা কানে শুনে বক্তাকে কি বলছে তা বুঝতে পারে। ধ্বনি হচ্ছে ভাষার মূল উপকরণ, তাই বলা যায় যে মানুষের বাগযন্ত্রের সহায়তায় উচ্চারিত শব্দ বা ধ্বনিকেই বা ধ্বনি থেকেই ভাষার সৃষ্টি হয়। আবার আমরা যে কোন আওয়াজকেই ধনী বলতে পারিনা কারণ সকল ধনী শব্দ হয়ে ওঠে না এই কারণে সকল ধনীকে আমরা কখনো ধনী বলে বিবেচনা করা যাবে না।

যেমন ঘন্টা বাজার ধ্বনি, কাক টাকার ধ্বনি ইত্যাদি। অর্থাৎ আমরা বলতে পারি যে কথা আমরা মুখে উচ্চারণ করছি এবং অন্যে শুনছে সেই একই কথা আমরা লিখেও শোনাতে পারি। কারন যেসব ধ্বনি আমরা উচ্চারণ করছি লেখার অক্ষরে সেই ধ্বনি গুলোর প্রতীক নির্দিষ্ট করা আছে। ধ্বনির প্রতীক চিহ্ন কে বর্ণ বলে। বর্ণ হচ্ছে ধ্বনির লিখিত রুপ বা ধ্বনির নির্দেশক চিহ্ন। অর্থাৎ কোন ধ্বনি যেমন অকে আমরা যখন মুখে উচ্চারণ করব তখন তাকে বলবো ধ্বনি আর অ ধ্বনিকে যখন লিখে প্রকাশ করব তখন তাকে বলবো বর্ণ। স্মরণ রাখতে হবে যে ধ্বনি আর বর্ণ কখনই এক জিনিস নয়। ধ্বনি আমরা মুখে উচ্চারণ করি আবার কানেও শুনি। কিন্তু চোখে দেখি না। আর বর্ণ হল ধ্বনির লিখিত রূপ যা আমরা চোখে দেখি এবং নীরবে বা সরবে পড়তে পারি। তাই বর্ণ কখনও ধ্বনি আবার কখনো বর্ণ হতে পারে। ধ্বনি উচ্চারণে আমরা বিভিন্ন বাগযন্ত্র বা ফুসফুসের ভূমিকা প্রধান।

ফুসফুস যদিও নিজে কোন ধ্বনি উচ্চারণ করে না তবুও ধ্বনি সৃষ্টিতে ফুসফুসের ভূমিকা অপরিহার্য। কারন ফুসফুস থেকে বের হয়ে আসা বাতাস স্বরতন্ত্রী, মুখ বা নাকের ভেতর দিয়ে বেরিয়ে আসার সময় মধ্যচ্ছদা, স্বরযন্ত্র, গলনালি, জিভ তালু, মাড়ি দাঁত, ঠোঁট ইত্যাদিতে নানাভাবে বাধা পায় এবং তাতে বিভিন্ন ধ্বনি উচ্চারিত হয়। সুতরাং ফুসফুস থেকে বেরিয়ে আসা বাতাসি ধোনির সৃষ্টি করে এ কথা আমরা বলতে পারি। ফুসফুস থেকে বেরিয়ে আসা বাতাস বিভিন্ন প্রত্যঙ্গ সংস্পর্শে আসে বলে ধনী গুলোর উচ্চারণ ও ভিন্ন ভিন্ন হয়ে থাকে। তাহলে এখন আমরা বলতে পারি বাকযন্ত্র কোনগুলি বাকযন্ত্র সম্পর্কে সামান্য দুই এক কথা আমরা এখানে বলে নিতে পারি। আসলে ভাষার প্রথম প্রকাশ ঘটে মানুষের মুখে মানুষের বাগযন্ত্রে।

মানুষের ভাগ যন্ত্রই ভাষার প্রথম উৎসস্থল বলে বিবেচনা করা হয়ে থাকে। মানব শরীরের যেসব প্রত্যঙ্গ ধনি তৈরির সাথে জড়িত সেগুলোই বাগযন্ত্র নামে পরিচিত। আবার ফুসফুসের প্রধান কাজ শ্বাস-প্রশ্বাসের সাহায্য করা এবং রক্ত শোধন করা। তাই ফুসফুসই আবার ধ্বনি তৈরীর প্রধান কেন্দ্র বলে আমরা বলতে পারি। ভাষা বা ধ্বনি নিয়ে আমরা অনেক কথাই বললাম তাহলে চলুন দেখা যাক ধ্বনি কাকে বলে?
ধ্বনি: ধ্বনি উচ্চারণের জন্য যেসব অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ ব্যবহৃত হয় তাকে কথা বলা যন্ত্র বা বাগযন্ত্র বলে। বাকযন্ত্রের সাহায্য ছাড়া ভাষার কোন ধ্বনি উচ্চারিত হয় না। ধ্বনি উচ্চারণে সহাতাকারী বাক যন্ত্র গুলো হল ফুসফুস, স্বরযন্ত্র ও স্বরতন্ত্রী, গলনালী, ঠোঁট ,দাঁত, তালু, মাড়ি বা দন্তমূল, নাক বা নাসিকা বা নাসা পত্র ইত্যাদি। মানুষের বাগযন্ত্র ও ফুসফুস নির্গত বায়ুর সমন্বয়ে উচ্চারিত আওয়াজকেই ধনী বলে। কয়েকটি ধ্বনি মিলে শব্দ তৈরি হয়, ফলে শব্দ বিশ্লেষণ করলে কতকগুলো ধ্বনি পাওয়া যাবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *