তরাইনের যুদ্ধ টির নাম আমরা কম বেশি অনেকেই জানি। কারণ তরাইনের যুদ্ধটি একটি ঐতিহাসিক যুদ্ধ। আর এই যুদ্ধটি ভারত বর্ষের দিল্লি শহর থেকে ১৫০ কিলোমিটার উত্তরে অবস্থিত হয়েছিল। ১৯১১ সাল ও ১৯১২ সালে বর্তমানে হরিয়ানার নিকটে তারাইন নামক শহরে এই ঐতিহাসিক যুদ্ধটি সংঘটিত হয়েছিল। মুহাম্মদ ঘুরির নেতৃত্বাধীন ঘুরি বাহিনী এবং পৃথ্বীরাজ চৌহানের নেতৃত্বে চৌহান রাজপুত বাহিনীর মধ্যে এই যুদ্ধটি সংঘটিত হয়েছিল। আর এই ঐতিহাসিক যুদ্ধটি নিয়ে আমাদের অনেক সময় অনেক গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হয়। তাই আমরা আমাদের আজকের আর্টিকেলটির মাধ্যমে আপনাদের কাঙ্খিত এই প্রশ্নের উত্তরটি সম্পর্কে জানিয়ে দেব। তাছাড়া আপনাদের সুবিধার জন্য এই ধরনের গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নের উত্তর গুলো আমাদের ওয়েবসাইটে প্রতিনিয়ত লিখে থাকি। আপনারা গুগলে সার্চ করার সাথে সাথে এই ধরনের গুরুত্ব পূর্ণ প্রশ্নের উত্তর গুলো আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করে খুব সহজে জেনে নিতে পারবেন।
তরাইনের যুদ্ধটি সাধারণত দুটি ধাপে অনুষ্ঠিত হয়েছিল প্রথম ধাপ ও দ্বিতীয় ধাপ। প্রথম যুদ্ধটি অনুষ্ঠিত হয়েছিল ১১৯১ সালে এবং দ্বিতীয় যুদ্ধটি অনুষ্ঠিত হয়েছিল ১১৯২ সালে। প্রথম যুদ্ধটিতে পাঞ্জাবের ভাটিন্ডা দুর্গ জয় করেন। এই স্থান ছিল পৃথ্বীরাজ চৌহানের সীমান্ত এলাকা। আর তরাইন নামক স্থানে থানেশ্বরের নিকটে প্রতিপক্ষের মুখোমুখি হন। ঘুরি বাহিনীর অশ্বারো হীদের প্রতিপক্ষের মধ্য ভাগের দিকে তীর নিক্ষেপের মাধ্যমে লড়াই শুরু হয়। পৃথ্বীরাজের বাহিনী তিন দিক থেকে পাল্টা আক্রমণ করে এবং যুদ্ধে আধিপত্য স্থাপন করে। ফলে ঘুরিরা পিছিয়ে যায়। এবং দ্বিতীয়ত ধাপে অনুষ্ঠিত যুদ্ধটি গজনি ফিরে আসার পর মুহাম্মদ ঘুরি পাল্টা আক্রমণের জন্য প্রস্তুতি নিতে শুরু করেন। লাহোর পৌছাবার পর তিনি পৃথ্বীরাজের কাছে আনুগত্য প্রকাশের আহ্বান জানিয়ে দূত পাঠান এবং পৃথ্বীরাজ এই আহ্বান প্রত্যাখ্যান করেন।
ভারত বর্ষের ইতিহাসে তরাইন যুদ্ধের রাজনৈতিক গুরুত্ব বেশ মর্যাদা সম্পন্ন। এই যুদ্ধটিতে জয়লাভ করার পরে ভারতের দরজা তুর্কি আক্রমণ কারীদের কাছে সম্পূর্ণভাবে খুলে যায়। তাছাড়া তারাইনের দ্বিতীয় যুদ্ধের পরাজয়ের তুর্কিদের তুলনায় ভারতীয় সেনাদের রণকৌশল কত যে দুর্বল রয়েছে তা এ তারাইন যুদ্ধ থেকে উপলব্ধি করতে পেরেছিল। এই যুদ্ধটি সম্পর্কে আমার আপনাদের অনেক তথ্যই জানিয়ে দিলাম। এখন আপনাদের কে জানিয়ে দেবো তরাইনের প্রথম যুদ্ধে কে বিজয়ী হন। পৃথ্বীরাজ তরাইনের প্রথম যুদ্ধে বিজয়ী হয়েছিলেন। পৃথ্বীরাজের বাহিনী তিন দিক থেকে পাল্টা আক্রমণ করে এবং এই প্রথম যুদ্ধে আধিপত্য স্থাপন করে। ফলে ঘুরিরা পিছিয়ে যায়। এবং খুব সহজেই পৃথ্বীরাজ তারাইনের প্রথম যুদ্ধে বিজয় অর্জন করেন।