উলুঘ খান কে ছিলেন

হজরত খান জাহান আলী (রহ.) এর প্রকৃত নাম ছিলেন উলুঘ খান। তিনি মূলত ছিলেন একজন মুসলিম শাসক। ইসলাম ধর্ম প্রচারে তার অবদান ছিল বেশ গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশের বাগেরহাট জেলার স্থানীয় শাসক হিসেবে তিনি দেশ পরিচিতি ছিলেন। তার বিভিন্ন নাম গুলোর মধ্যে বিখ্যাত ছিলেন উলুঘ খান, খান ইং আজম ইত্যাদি। একাধারে তিনি ছিলেন একজন যোদ্ধা, একজন সাধক, একজন ধর্ম প্রচারক ও সুশাসক। তাই আমরা বাংলার এই বিখ্যাত শাসক সম্পর্কে অনেকেই অনেক প্রশ্নের উত্তর জেনে নিতে চাই। আপনারা অনেকেই জেনে নিতে আগ্রহী উলুঘ খান কে ছিলেন। আর এ প্রশ্নটির উত্তর জানার জন্য আপনারা গুগল সহ ইন্টারনেটের বিভিন্ন স্থানে অনুসন্ধান করছে। তাই আমরা আপনাদের সুবিধার জন্য এ ধরনের প্রশ্নের উত্তরগুলো আমাদের ওয়েব সাইটে নিয়মিত প্রকাশনা করুন। আর এ প্রশ্নের উত্তরগুলো জানার জন্য আপনাকে নিয়মিত আমাদের ওয়েব সাইটে ভিজিট করে জেনে নিতে হবে।

হযরত উলুঘ খান ১৩৬৯ খ্রিস্টাব্দে দিল্লির এক সম্রাজ্য পরিবারে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। তার পিতার নাম আকবর খাঁ ছিলেন এবং মাতার নাম ছিলেন আম্বিয়া বিবি। ইতিহাস থেকে জানা যায় তার পূর্ব পুরুষেরা ছিল তুর্কি। উলুখ খান ছিলেন জাতিতে একজন তুর্কি। বিখ্যাত এই শাসকের প্রাথমিক শিক্ষা তার পিতার কাছ থেকে তিনি পেয়েছিলেন। পরবর্তীতে তিনি দিল্লিতে এসে কুরআন, হাদিস, সুন্নাহ ও ফিকহ শাস্ত্রের উপর গভীর জ্ঞানার্জন করেন। এবং তার কর্ম জীবন শুরু হয় সেনাপতির পদে। কিন্তু তার দক্ষ কাজ ও সাহসিকতার জন্য তাকে পরবর্তী প্রধান সেনাপতির দায়িত্ব দেওয়া হয়। সাতাশ বছর বয়সে তিনি জৈনপুর প্রদেশের জাবিতান অর্থাৎ গভর্নর পদে যোগ দেন।

বাংলাদেশের ইসলাম প্রচারের ক্ষেত্রে যে সকল গুনি আউলিয়া গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে গিয়েছেন তাদের মধ্যে বিখ্যাত একজন ব্যক্তি ছিলেন উলুঘ খান। জীবনের একটি বিশাল সময় ব্যয় করেছেন ইসলাম প্রচারণায় ও ইসলাম সেবায়। দক্ষিণবঙ্গে উলুঘ খান অর্থাৎ খান জাহান আলী একটি জনপ্রিয় এর নাম। বহু বছর পেরিয়ে গেলেও এই বিখ্যাত শাসকের জনপ্রিয়তা এখনো কমেনি। বাগের হাটের বিখ্যাত ষাট গম্বু মসজিদ এর প্রতিষ্ঠা ছিলেন উলুঘ খান। তিনি আধ্যাত্মিক গভীর জ্ঞান সম্পন্ন একজন মানুষ ছিলেন। বিখ্যাত এই ব্যক্তিটির প্রথম স্ত্রীর নাম ছিলেন সোনা বিবি। তার স্ত্রীর নামে তিনি সেই সময় অনেক বিখ্যাত নিদর্শনা তৈরি করেন যা এখন অব্দি ঐতিহ্য নির্দেশনা গুলোর মধ্যে অন্যতম। বিখ্যাত এই শাসক তিনি একজন মুসলিম ছিলেন তাই পাথর দিয়ে তিনি অনেক মসজিদ তৈরি করে গিয়েছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *