মুজিবনগর সরকারের প্রধানমন্ত্রী কে ছিলেন

মুজিবনগর সরকারটি গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রথম সরকার গঠন। মুজিবনগর সরকারটি একটি অস্থায়ী সরকার ছিল। মুক্তিযোদ্ধার পটভূমিতে এ সরকারের গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল। তাই আপনারা অনেকেই জেনে নিতে চান মুজিবনগর সরকারের প্রধানমন্ত্রী কে ছিলেন আপনারা যারা এই বিষয়টি সম্পর্কে জেনে নিতে চান আপনা দের জন্য আমরা প্রতিনিয়ত এ ধরণের প্রশ্নের উত্তর গুলো আমাদের ওয়েবসাইটে নিয়মিতভাবে লিখে থাকি। আপনারা যারা এই প্রশ্নের উত্তরটি জেনে নিতে চান আমাদের ওয়েব সাইটে থাকা আর্টিকেলটি শুরু থেকে ধৈর্য সহকারে পড়ুন। তাছাড়া আপনারা গুগলে সার্চ করার সাথে সাথে এ ধরনের প্রশ্নের উত্তর গুলো আমাদের ওয়েবসাইটে খুব সহজে জেনে নিতে পারবেন। চলুন তাহলে দেখে নেয়া যাক আপনাদের কাঙ্খিত তো প্রশ্নের সঠিক উত্তরটি সম্পর্কে।

মুজিবনগর সরকারকটি এমন একটি সরকার যা মুক্তিযোদ্ধা পরিচালনা করার জন্য বাংলাদেশে এই সরকার টি প্রথম গঠিত করা হয়। মুজিব নগর সরকার গঠন বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে এক অন্যতম অধ্যায়। মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনা জন্য ও বাইরের দেশেকে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে সমর্থন আদায়ের জন্য মুক্তি যুদ্ধ চলাকালীন গঠিত এই মুজিবনগর সরকার টি। বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ পরিচাল না ও স্বদেশ ভূমি থেকে পাকিস্তান হানাদার বাহিনীকে বিতাড়িত করে, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ঘোষিত ও নির্দেশিত পথে মুক্তিযুদ্ধের বিজয় অর্জনের লক্ষে এই স্বাধীন সার্বভৌম দেশে মুজিবনগর সরকার গঠন করা হয়। যা বাংলার ইতিহাসের অন্যতম একটি সরকার গঠন।তাই বাংলাদেশের মুক্তিকামী মানুষের মহানায়ক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নামে স্থানটির নামকরণ হয় মুজিবনগর।

আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধে বিজয় অর্জনের মাধ্যমে বিশ্বের বুকে স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় সক্ষম হয়েছে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ইচ্ছা ও আদর্শকে বুকে ধারণ করে, তাঁর নির্দেশ মোতাবেক কাজ করার কারণেই এই মুজিব সরকার অর্জন করেছিল সফলতা। যুদ্ধকালীন সময়ে মুজিবনগর সরকারের অধীনেই চলেছিল বাংলাদেশের সামরিক ও বেসামরিক প্রশাসন। জনগণের নির্বাচিত প্রতি নিধিদের নিয়ে গঠিত মুজিবনগর সরকার ছিল সম্পূর্ণ বৈধ একটি সরকার। তাই ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ স্বাধীনতা ঘোষণা র পর ১০ এপ্রিল এ সরকার গঠিত হয়। ১৯৭১ সালের ১৭ এপ্রিল মেহেরপুর জেলার বৈদ্যনাথতলা গ্রামে মুজিবনগর সরকার শপথ গ্রহণ করে। ১৭ এপ্রিল মেহেরপুরের মুক্তমঞ্চে বৈদ্যনাথতলায় সরকারের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। আর মুজিবনগর সরকারের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নেতৃত্ব প্রদান করেছিলেন তাজ উদ্দিন আহমেদ।

মুজিবনগর থেকেই স্বাধীন বাংলাদেশ সরকারের সারা বিশ্বে উন্মোচিত হয়েছিল। ১৬ই ডিসেম্বরে পাকিস্তান হানাদার বাহিনীর আত্মসমর্পণ ক্ষেত্রে মুজিব নগরের সরকারের ভূমিকা ছিল অন্যতম। তাই মুজিবনগর শুধু ঐতিহাসিক স্থানই নয়, আমাদের মুক্তিযুদ্ধ এবং রাষ্ট্র গঠনের শীর্ষ স্থানও বটে। যুদ্ধ করে বিজয়ী হওয়া প্রতিটি দেশের এমন একটা জায়গা থাকে, যেটি মানুষের আবেগ, অনুভূতির সঙ্গে যুক্ত থাকে। বিশ্ব এমন অনেক স্বাধীন দেশ রয়েছে যাদের এ রকম ঐতিহাসিক স্থান হিসেবে চিহ্নিত। ঠিক সেভাবে মুজিবনগরে টি বাংলাদেশের ক্ষেত্রে তেমন একটি ঐতিহাসিক একটি স্থান
মুজিবনগর সরকার ছিল জনগণের নির্বাচিত প্রতিনিধিদের নিয়ে গঠিত সরকার। মুক্তিযুদ্ধের ওপর এর প্রভাব ছিল অন্যতম ও এই‌ সরকার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

মুজিবনগর সরকারকে পনের টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগে ভাগ করা হয়। এছাড়া কয়েকটি বিভাগ মন্ত্রি পরিষদের কর্তৃত্বা ধীনে থাকে। যুদ্ধ কালীন এসব মন্ত্রণালয় ও বিভাগের প্রয়োজনীয়তা এবং ভূমিকা ছিল অপরিসীম। এর মধ্যদিয়েই প্রধানমন্ত্রী দেশি বিদেশি সাংবাদিকের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের উদ্দেশে বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেওয়ার আহ্বান জানান। এভাবেই মুক্তি যুদ্ধকালীন মুজিবনগর সরকারটি গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সূচনা হয়। বাঙালি জাতির কাছে ১০ এপ্রিল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি দিন। বাংলাদেশ স্বাধীন দেশ পাওয়ার ক্ষেত্রে মুজিবনগর এর ভূমিকা ছিল চোখে পড়ার মতো। তাই বাংলাদেশের মানুষ এখনো এই দিনটিকে স্মরণ করে চলেছে।

আশা করছি আপনারা যারা মুজিবনগর সরকারের প্রধানমন্ত্রী কে ছিলেন এই বিষয়টি সম্পর্কে জেনে নিতে চান আমরা আমাদের আজকের এই আর্টিকেলটিতে এ বিষয়ে সম্পর্কে সঠিক ধারণা প্রদান করলাম। আপনারা আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করে এই বিষয়টি সম্পর্কে আরো ভালোভাবে জেনে নিন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *