কোরআন এই শব্দটি পুরো পৃথিবীর মুসলিম জাহানের কাছে খুব পরিচিত একটি নাম। কারণ ইসলাম ধর্মের পবিত্র গ্রন্থের নাম হল কুরআন মাজীদ। যেখানে বর্ণিত রয়েছে মহান আল্লাহ তায়ালার বাণী সম্পর্কে সকল তথ্য। কুরআন পৃথিবীর অন্যতম একটি গ্রন্থ যেখানে মানব জাতির জীবন পরিচালনার সকল তথ্যাবলী বর্ণনা করা আছে। আর এই গ্রন্থটি সাধারণত আরবি ভাষায় লিপিবদ্ধ করা রয়েছে। দীর্ঘ ২৩ বছর ধরে পবিত্র এই গ্রন্থটি অবতীর্ণ করা হয়েছিল। যেটা মুসলিম জাতির জন্য খুব উল্লেখযোগ্য একটি গ্রন্থ। তাই আমরা আমাদের আজকের আর্টিকেলটির মাধ্যমে আপনাদের কে জানিয়ে দেবো পবিত্র কোরআনের আয়াত গণনাকারী প্রথম ব্যক্তি কে। তাছাড়া আমরা আপনাদের জন্য প্রতিনিয়ত এই ধরনের গুরুত্বপূর্ণ সব প্রশ্নের উত্তর গুলো আমাদের ওয়েবসাইটে লিখে থাকি। আর এ ধরনের প্রশ্নের উত্তর গুলো জানার জন্য আপনারা প্রতিনিয়ত আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করুন আর জেনে নিন আপনার প্রয়োজনীয় সকল প্রশ্নের উত্তর।
ইসলামের ইতিহাস থেকে জানা যায় যে দীর্ঘ তেইশ বছরে খন্ড খন্ড আকারে পূর্ণতা পেয়ে, এই পবিত্র গ্রন্থটি মুসলিম জাতির উপর নাযিল করা হয়েছিল। পুরো মুসলিম জাহান বিশ্বাস করে থাকেন কুরআন হচ্ছে মুহাম্মদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অলৌকিক ঘটনা যা তার নবুয়তের প্রমাণস্বরূপ এবং ঐশ্বরিক বার্তা প্রেরণের ধারাবাহিক প্রক্রিয়ার চূড়ান্ত পর্যায় যা পৃথিবীর প্রথম নবী আদম থেকে শুরু হয়ে মুহাম্মাদের মধ্য দিয়ে শেষ হয়। ইসলামের অনুসারীরা কুরআন কে একটি পুর্ণাঙ্গ জীবন বিধান বলে বিশ্বাস করে। কুরআনে সর্বমোট ১১৪টি সূরা আছে। আর এই ১১৪ টি সূরার আয়াতের মাধ্যমে মানব জাতিকে কিভাবে জীবন পরিচালনা করতে হবে সেই দিকনির্দেশনা রয়েছে এই পবিত্র গ্রন্থটিতে।
পবিত্র কুরআন পুরো মুসলিম জাহানের জন্য সর্বশেষ পবিত্র ধর্মীয় গ্রন্থ। এরপরে মুসলমানদের জন্য কোন ধর্মীয় গ্রন্থ পৃথিবীতে সৃষ্টি হবে না। কুরআনে অনেক ঐতিহাসিক ঘটনার উল্লেখ রয়েছে যে ঘটনাগুলো থেকে পুরো মুসলিম জাতিকে বিভিন্ন ধরনের শিক্ষা গ্রহণ করতে হবে। কিছু পণ্ডিত বলেন যে কুরআনে বৈজ্ঞানিক তথ্য আছে যা আধুনিক বিজ্ঞানের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ। চৌদ্দশ বছর পরে কি হবে পবিত্র কোরআনে তা স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়েছিল যা বর্তমানে সময়ে তা প্রতিফলিত হচ্ছে। আর তাই কোরআনের আয়াতের গণনাকারী হিসেবে প্রথম যে ব্যক্তিটি ছিলেন মুসলিম উম্মের সর্বশেষ নবী হযরত মুহাম্মদ (সা:)। সর্ব প্রথম কোরআনের সূরা আলাক্ব এর প্রথম পাঁচটি আয়াত তিনি পড়েছিলেন। মুসলমানদের সঠিক জীবন পরিচালনা করার ক্ষেত্রে পবিত্র গ্রন্থটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে চলেছে।