পৃথিবীতে অনেক ধরনের ও নানা শ্রেণীর মানুষের বসবাস। আর এই পৃথিবীতে কেউ বা ভালো আবার কেউবা খারাপ। প্রতিটি মানুষই তার নিজ নিজ অবস্থান থেকে নিজেকে ভালো বলে দাবি করে। কিন্তু কেউ যদি নিজেকে ভালো দাবি করে বা ভালো বলে সে ক্ষেত্রে কি সেটা স্বীকৃতি প্রাপ্ত। তাই আপনাদের মনে একটি প্রশ্নর উত্তর সম্পর্কে জেনে নেয়ার জন্য আপনারা বেশ আগ্রহী। আর সে গুলো হলো পৃথিবীর সবচেয়ে ভালো মানুষ কে আর সেই মানুষটার বৈশিষ্ট্য কি সে কি করে ভালো মানুষ হয়েছে ইত্যাদি এই প্রশ্নের উত্তর গুলো জেনে নেওয়ার জন্য আপনাদের মাথায় ঘুরপাক খাচ্ছে। তাই আপনারা গুগলে সার্চ করছেন এই বিষয়টি সম্পর্কে জেনে নেয়ার জন্য। আপনারা যারা এ বিষয়টি সম্পর্কে জেনে নিতে চান আপনাদের জন্য আমরা আমাদের আজকের এই আর্টিকেলটিতে এই বিষয়টি সম্পর্কে বিস্তারিত ভাবে জানিয়ে দিব। দেরি না করে চলুন তাহলে জেনে নেয়া যাক এই বিষয় টি সম্পর্কে।
মানুষ ভালো কি খারাপ সেটার পরিচয় মিলে তার ব্যবহার আচার-আচরণ ও তার কাজে। ভালো কাজ ও ভালো ব্যবহারের জন্য সে পৃথিবীর মানুষের কাছে ভালো মানুষ হয়ে উঠতে পারে। এবং কাজের মাধ্যমে পৃথিবীর মানুষের মন জয় করে নিতে পারে। পৃথিবীতে ভালো মানুষ বলা হয় তাকে যারা নিজের কাজের মাধ্যমে পৃথিবীর ইতিহাসে তাকে অবিস্মর ণীয় করে রেখেছে। আর সেই ব্যক্তি নিজের কাজের ধারা দিয়ে মানুষের কল্যাণ ও মানুষের জটিল জীবনকে সহজ করে তোলেছে। আর নিজেদের কাজ দ্বারা মানুষের যুগ যুগ ধরে মন জয় করেছে এমন মানুষকে পৃথিবীর ভালো মানুষ হিসেবে স্বীকৃতি প্রদান করা হয়েছে। আর এই মানুষটির অবদান পৃথিবীর ইতিহাসে অন্যতম।
পৃথিবীর ইতিহাসে সবচাইতে ভালো মানুষ ও পৃথিবীর সর্বকালের সেরা মানব হিসেবেও তিনি পুরো পৃথিবীতে পরিচিত পেয়েছে, আর তিনি হলেন আর কেউ নয় আল্লাহর বন্ধু হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম। তিনি জীবনে কখনো মিথ্যা কথা বলেন, কারো ক্ষতি করেন নি, তিনি সব সময় মানুষকে উপকার করেছেন, আর এর জন্য তার ডাক নাম ছিল আলামিন যার অর্থ হল বিশ্বাস। তিনি ছিলেন এতিম এক অসহায় শিশু, যিনি মরুভূমির তপ্ত বালিতে পিতা মাতা হীন এক অসহায় শিশু ছিলেন। অথচ এই অসহায় শিশুটি এক সময় আরবে শ্রেষ্ঠ ও বিশ্বস্ত মানুষ হয়েছিলেন তার ব্যবহার ও কর্মের দ্বারা তিনি পৃথিবীর বুকে শ্রেষ্ঠ মহামানব হিসেবে স্বীকৃতি পায়। তিনি ইসলামের একজন রাষ্ট্রনায়ক হয়েও খুব সাধারণ জীবন যাপন করতেন যা প্রতিটি মানুষকে মুগ্ধ করেছে।
পৃথিবীতে বর্তমান যা ঘটে চলেছে ও বর্তমানে ঘটছে এই ঘটনা গুলো ১৪০০ বছর আগে পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ মানুষ হযরত মুহাম্মদ সা: এই কথা গুলো বলে গিয়েছেন। হযরত মুহাম্মদ সা: আখেরি জামানার নবী অর্থাৎ সর্বশেষ নবী। তিনি পৃথিবীর ইতিহাসে মানুষকে সুপথে চালানোর জন্য সর্বশ্রেষ্ঠ নেতা ছিলেন। তিনি সবসময় মানুষকে সঠিক পথ চলে জীবন অনুসরণ করতে বলেছেন। তিনি শত্রুদের কখনো শত্রু ভাবে ননি তিনি সবসময় তাদের ভালোবাসা দিয়ে সঠিক পথে নিয়ে আসার চেষ্টা করেছেন। তিনি আল্লাহর পথে যেমন সব সময় আনুগত্য ছিলেন তেমনি পথভ্রষ্ট মানুষকে সঠিক পথ দেখানো র জন্য সব সময় নেতৃত্ব দেয়ার চেষ্টা করেছেন। সমগ্র আরব বিশ্বে তিনি একজন সত্য এবং ন্যায় পরায়ণ মানুষ হিসেবে আজও মানুষের কাছে অত্যন্ত প্রিয়।
হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু সা: মক্কায় জন্মগ্রহণ এর আগে মক্কার অবস্থা খুব খারাপ ছিলেন। মক্কায় তখন মারামারি এবং হানাহানিতে মানুষ লিপ্ত হয়ে থাকেতেন। তখন তারা মূর্তিপূজা করতো। জীবিত কন্যা শিশুকে মাটিতে পুঁতে রাখতেন আর সে যুগকে বলা হয় জাহেলী যুগ। আর এ ধরনের পাপ কাজ গুলো থেকে পৃথিবীর মানুষকে মুক্ত করার জন্য মহান আল্লাহ তা’আলা মানবজাতির জন্য পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ মানব হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম কে
পৃথিবীর বুকে প্রেরণ করেন। পবিত্র কুরআন মাজীদে বর্ণিত আছে হযরত মুহাম্মদ সা: কে সৃষ্টি না করলে হয়তো এই পৃথিবীতে তিনি সৃষ্টি করত না।
পৃথিবীর সবচেয়ে ভালো মানুষ কে আপনারা যারা এই বিষয়টি সম্পর্কে জেনে নিতে চান আপনাদের জন্য আমরা আমাদের আজকের এই আর্টিকেলটিতে এ বিষয়টি সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জানিয়ে দিলাম। আপনারা আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করুন আর আপনাদের সুবিধার জন্য আমরা প্রতিনিয়ত এ ধরনের প্রশ্নের উত্তরগুলো আমাদের ওয়েবসাইটে লিখে থাকি।