শশাংক অনেকের কাছে খুব পরিচিত একটি শব্দ। বাংলার ইতিহাসে তিনি ছিলেন একজন শক্তিশালী রাজা। বাংলার ইতিহাসে ও ঐতিহ্যময় রাজা হিসেবে তিনি বিশেষ একটি স্থান দখল করে আছে।তিনি বাংলার বিভিন্ন ক্ষুদ্র রাজ্যকে একত্র করে গৌড় জনপদ গড়ে তোলেন। শশাংক প্রাচীন বাংলার প্রথম গুরুত্বপূর্ণ নরপতি। শশাংক প্রায় বিশ বছরেরও বেশি বাংলা রাজা হিসেবে শাসন করে গিয়েছেন। তিনি ছিলেন একজন অন্যতম ব্যক্তি। আর শশাংক নিয়ে আমাদের জানার আগ্রহর শেষ নেই। তাই আপনারা অনেকেই শশাংক কে ছিলেন এই বিষয়টি সম্পর্কে জেনে নিতে চান। তাই আমরা আপনাদের সুবিধার কথা ভেবে আমাদের আজকের আর্টিকেলটিতে এই বিষয়টি সম্পর্কে জানিয়ে দেব। তাছাড়া আমাদের দৈনন্দিন জীবনে চলার ক্ষেত্রে এ ধরনের প্রশ্নের সম্মুখীন অনেক সময় হতে হয়। তাই এই বিষয়টি সম্পর্কে জানার আগ্রহ থাকলে আপনাকে আমাদের ওয়েবসাইটে থাকা আর্টিকেলটি প্রথম থেকে শুরু করে শেষ অব্দি মনোযোগ সহকারে পড়তে হবে।
আমাদের চলার পথে প্রতিনিয়ত অনেক সময় অনেক প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হয়। আর এ ধরনের প্রশ্নের উত্তর আমরা আপনাদের জন্য আমাদের ওয়েবসাইটে প্রতিনিয়তই প্রকাশিত করি। তাছাড়া আপনারা শিক্ষা বিষয়ক সকল শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের জন্য যেকোনো প্রশ্নের উত্তর জানার জন্য প্রতিনিয়ত আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করুন আশা করছি আপনারা আমাদের ওয়েবসাইট থেকে আপনাদের প্রয়োজনীয় প্রশ্নের উত্তর গুলো পেয়ে যাবেন। তাছাড়া আমরা অনেকেই যে কোন প্রশ্নের উত্তর জানার জন্য বর্তমানে গুগলে সার্চ করে থাকে আর বলে সার্চ করার সাথে সাথে আপনারা আমাদের ওয়েব সাইটে ভিজিট করে আপনাদের যে কোন প্রশ্নের উত্তর বিস্তারিতভাবে জেনে নিতে পারবেন। তাছাড়া আপনাদের প্রয়োজন মোতাবেক প্রশ্নের উত্তর গুলো নিজের কাছে সংরক্ষণ করার জন্য যে কোনো সময় আমাদের ওয়েবসাইট থেকে আপনার প্রশ্নের উত্তর ডাউন লোড করতে পারবেন।
শশাঙ্ক প্রাথমিক জীবন ছিল খুবই সাধারণ। তিনি রোহতাস গড়ের মহাসামন্ত হিসেবে কর্ণসুবর্ণের গৌড় রাজার অধীনে কিছুদিন রাজ্য শাসন করেছিলেন। শশাঙ্ক এক সময়ে ভারতে র বিভিন্ন অংশে তাঁর রাজনৈতিক প্রভাব সম্প্রসারণের উদ্যোগ গ্রহণ করেন। কিন্তু এক্ষেত্রে তিনি একটা সফলতা পাননি। তবে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য এবং প্রতিবেশী দেশ বাংলাদেশ কিছু অংশের সাথে মোটামুটি ভাবে মিলিত হয়ে স্বাধীনতার প্রথম শাসক হিসেবে তিনি বেশ কিছু বছর ধরে এগুলোকে শাসন করেছিলেন। শশাঙ্ক কেবল একজন শক্তিশালী রাজা ছিলেন না বরং তার রাজ্যের প্রতিটি প্রজা দের দক্ষ করে গড়ে তুলেছিলেন। তাই ভারতীয় ভাষায় শশাঙ্কের নাম চাঁদের সাথে সম্পর্কিত করা হয়েছে।
শশাঙ্ক ছিলেন একজন দক্ষ যোদ্ধা ও খুব বুদ্ধিমান একজন রাজা। শশাঙ্কের উত্থান ঠিক কোন সময়ে হয়েছে তা সুনির্দিষ্ট করে বলা সম্ভব নয়। তবে বিভিন্ন তথ্য প্রমাণ থেকে মনে হয়, ষষ্ঠ শতাব্দীর শেষ দশকে শশাঙ্কের উত্থান ঘটে। তিনি এক জন দক্ষ রাজা ছিলেন তার শাসন আমলে কোন ধরনের বিদ্রোহ ঘটেনি। তবে শশাঙ্কর ব্যক্তি জীবন হিসেবে তেমন একটি ধারণা পাওয়া যায়নি তবে মোটামুটি ভাবে একটি প্রাথমিক ধারণা পাওয়া যায় তার পুত্র মনভা দ্বারা রাজত্ব করে চলেছিলেন। ৬০৬ সালের পূর্বেই শশাঙ্ক ছিলেন একজন প্রতিষ্ঠিত নৃপতি। ৬১৯ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত তিনি অবশ্যই রাজত্ব করেছেন এবং সম্ভবত ৬৩০ খ্রিস্টাব্দের কিছু আগে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। শশাঙ্কের মৃত্যুর পর পশ্চিমে মালব পরবর্তী গুপ্তরা শাসন করছিলাে। আপনাদের অজানা যেকোনো তথ্যগুলো জেনে নিতে হলে আপনারা আমাদের ওয়েবসাইটে নিয়মিত ভিজিট করুন আর জেনে নিন আপনাদের অজানা তথ্যগুলো সম্পর্কে।