সাধারণত দ্বি জাতি শব্দের অর্থ হলো দুটো জাতি। দ্বি জাতি তত্ত্বটি এমন একটি তত্ত্ব যেখানে দুটি জাতির পার্থক্য টা আলাদা আলাদা করে দেখানো হয়েছে। হিন্দু ও মুসলমান যে দুটি জাতি এই তত্ত্বে তা স্পষ্টভাবে পরিচিতি পেয়েছে। দ্বি জাতি তত্ত্ব হল একটি মতাদর্শ যেটার এর মাধ্যমে ভারতীয় মুসলমান এবং হিন্দু দুটি স্বতন্ত্র জাতীয়তার পরিচয় দেয়া হয়েছিল। তাই আপনারা অনেকেই অনেক সময় এই দ্বি জাতি তত্ত্বের প্রবক্তা কে এই প্রশ্নটির মুখোমুখি হয়ে পড়েন। আর তাই এই প্রশ্নটির উত্তরটি সম্পর্কে জেনে নিতে আপনারা অনেকে বেশ আগ্রহী। তাই আপনাদের সুবিধার জন্য আমরা আমাদের আজকের আর্টিকেল দিতে এই প্রসঙ্গে জানিয়ে দেব আপনারা যারা এই বিষয়টি সম্পর্কে জেনে নিতে আগ্রহী তারা আমাদের ওয়েবসাইটে থাকা আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে পড়ুন আর এই বিষয়টি সম্পর্কে জেনে নিন।
তাছাড়া আপনারা যারা দৈনন্দিন জীবনে আপনাদের এ ধরনের গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নের উত্তর গুলো সম্পর্কে জেনে নিতে চান ও শিক্ষা সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় প্রশ্নের উত্তর গুলো জেনে নিতে চান আপনাদের জন্য আমরা আমাদের ওয়েব সাইটে এ ধরনের প্রশ্নের উত্তর গুলো প্রতিনিয়ত প্রকাশ করে থাকি। আমরা আপনাদের জন্য আমাদের ওয়েব সাইটে খুব সহজ ও সরল ভাষায় এই ধরনের প্রশ্নের উত্তর গুলো প্রদান করে থাকি যেন আপনারা খুব সহজেই আপনাদের গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নের উত্তর গুলো সম্পর্কে বুঝতে পারেন। তাই আপনারা যারা এ ধরনের প্রশ্নের উত্তর গুলো গুগলে সার্চ করে জেনে নিতে চান। তারা গুগলে সার্চ করার সাথে সাথে আমাদের ওয়েবসাইটের ভিজিট করে আপনাদের কাঙ্খিত প্রশ্নের উত্তর গুলো সম্পর্কে জেনে নিন।
মূলত পাকিস্তান রাষ্ট্রের জন্ম হয় ১৯৪৭ সালে দ্বিজাতি তত্ত্বের মাধ্যমে। বাঙালি জাতি অধিকাংশ মুসলিম কিন্তু মুসলিম হওয়ার শর্তেও বাঙালি জাতির সংস্কৃতির ওপর বেশি মনোযোগী। তাই দ্বিজাতি তত্ত্বে ভাষা, বর্ণ তুলনায় ধর্মকে বেশি প্রাধান্য দেয়া হয়েছিল। হিন্দু এবং মুসলমান কে ভারতীয় উপমহাদেশে দুটি ভাগে বিভক্ত করার জন্য একটি প্রস্তাব উপস্থাপন করা হয় আর এই প্রস্তাবই ছিল দ্বিজাতি তত্ত্ব। এবং দ্বি জাতি তত্ত্বের এর মূল কারণ ছিল তৎকালীন সময়ে হিন্দু এবং মুসলমানদের মধ্যে বেশকিছু সংঘাত এবং অসমতা। আর এই দ্বি জাতি তত্ত্বের উপস্থাপনার ক্ষেত্রে মূল ভূমিকায় ছিলেন মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ। তিনি সর্বপ্রথম এই দ্বিজাতি তত্ত্বটি পাকিস্তানের লাহোরের অনুষ্ঠিত এক সভায় পেশ করেছিলেন।
সাধারণত এই দ্বি জাতি তত্ত্বটিতে ভারতে মুসলমান এবং হিন্দুদের মধ্যে জাতিগত পার্থক্য এবং অসমতা দেখা দিয়েছিল তার সম্পর্কে বলা হয়। সে সময় হিন্দু ও মুসলমানদের মধ্যে এতটাই বিভেদ সৃষ্টি হয় মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ মনে করেছিল এই দুটি জাতিকে একত্রে রাখাটা সম্ভব নয়। তাদেরকে আলাদা আলাদা জাতি হিসেবে আলাদা আলাদা স্থানে রাখাটা উত্তম একটি কাজ হবে। তাই মোহাম্মদ আলী জিন্নাকে দ্বিজাতির তত্ত্বের প্রবক্তা হিসেবে স্বীকৃতি প্রদান করা হয়। মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ তত্ত্বে প্রধান ছিলেন। তিনি মনে করতেন তারা জাতি হিসেবে যেহেতু আলাদা তাই তাদের আলাদা রাষ্ট্র হিসাবে রাখাটা হবে সঠিক সিদ্ধান্ত। তাই লাহোর অধিবেশনে আলী জিন্নাহ মুসলমানদের আলাদা জাতি হিসেবে চিহ্নিত করেন।
আপনারা যারা এই প্রশ্নের উত্তর সম্পর্কে জেনে নিতে চান আপনাদের জন্য আমরা আমাদের আজকের আর্টিকেল টিতে এই বিষয়টি সম্পর্কে জানিয়ে দিলাম। তাছাড়া আপনারা আপনাদের যে কোনো ধরনের প্রয়োজনীয় প্রশ্নের উত্তরগুলো জেনে নিতে আমাদের ওয়েবসাইটে প্রতিনিয়ত ভিজিট করুন।