দ্বিজাতি তত্ত্বের প্রবক্তা কে

দ্বিজাতি তত্ত্বের অর্থ হল দুটি জাতির জন্য আলাদা আলাদা তত্ত্ব। অর্থাৎ ১৯ শতকের প্রথম দিকে হিন্দু ও মুসলিম এই দুই সম্পদের মধ্যে আলাদা আলাদা ভাবে দুটো সম্প্রদায় নিজেদের অধিষ্ঠিত করতে চাই আর নিজেদের এ অবস্থান থেকে সরে না যাওয়ার কারণে যে তত্ত্বের সৃষ্টি হয় ইতিহাসে তাই দ্বিজাতি তত্ত্ব। আপনারা অনেকেই এই দ্বিজাতি তত্ত্বের প্রবক্তা কে এই বিষয়টি সম্পর্কে জেনে নিতে চান। আপনারা যারা এই বিষয়টি সম্পর্কে জেনে নিতে আগ্রহী আপনাদের জন্য আমরা আমাদের আজকের আর্টিকেলটিতে এ বিষয়টি সম্পর্কে জানিয়ে দিব। তাছাড়া আপনারা অনেকেই এ বিষয়টি সম্পর্কে জেনে নেয়ার জন্য গুগলের বারবার সার্চ করছেন আর আপনারা গুগলে সার্চ করার সাথে সাথে আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করে এ বিষয়টি সম্পর্কে খুব সহজেই জেনে নিতে পারবেন কারণ আমরা প্রতিনিয়ত এ ধরনের প্রশ্নের উত্তরগুলো আমাদের ওয়েবসাইটে লিখে থাকি।

ভারত ও পাকিস্তান নামে দুটি স্বাধীন জাতি ও রাষ্ট্র গঠনের মাধ্যমে ভারতকে রাজনৈতিকভাবে দ্বিধাবিভক্ত করার নির্ণায়ক ও একটি রাজনৈতিক মতবাদ। ব্রিটিশ ভারতের মুসলমানরা শিক্ষা, রাজনৈতিক অধিকার এবং বিভিন্ন সরকারি সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত হওয়ায় তারা বাংলাকে দুই ভাগে বিভক্ত করার জন্য আন্দোলন করেন। উল্লেখ্য, তৎকালীন বাংলার উত্তরাংশে হিন্দু এবং দক্ষিণাংশে মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ ছিল। কংগ্রেস শুধুমাত্র হিন্দুদের স্বার্থ নিয়ে কাজ করায় এটি একটি সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠীতে পরিণত হয়। তখন মুসলিম রাজনীতিবিদরা মুসলিম স্বার্থ রক্ষার জন্য ১৯০৬ সালে ভারতে মুসলিম লীগ গঠন করা হয়। ফলে মুসলিমদের ইংরেজি শিক্ষার সুযোগ বেড়ে যায়। তাদের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক আবস্থার উন্নতি হতে থাকে।

১৯৪০ সালের জানুয়ারী মাসে একটি ইংরেজি পত্রিকায় দ্বিজাতি তত্ত্ব উপস্থাপন করা হয়। দ্বিজাতি তত্ত্বটিতে উল্লেখ থাকে ভারতে দুটি জাতি রয়েছে এবং মাতৃভূমির শাসন ব্যবস্থায় উভয় জাতিকে অংশগ্রহণ করতে হবে। আর তাই দ্বিজাতি তত্ত্বটি আত্মনিয়ন্ত্র ণাধিকারের ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠিত হয়। এক জাতির এক রাষ্ট্র নীতির ওপর ভিত্তি করে দ্বিজাতি তত্ত্বের বিশ্লেষণ করা হয়নি। ভারতের হিন্দু ও মুসলমান দুটি পৃথক জাতি ১৯৪০ সালে লাহোরে যে পাকিস্তান প্রস্তাব গৃহীত হয় তা যাতে দ্বিজাতি তত্ত্বটির উপর প্রতিষ্ঠিত ছিল। ১৯৪০ সালের মার্চ মাসে পাঞ্জাবের রাজধানী লাহোরে অনুষ্ঠিত মুসলিম লীগের কাউন্সিল অধিবেশনের প্রথমদিন মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ বিখ্যাত দ্বি-জাতি তত্ত্বের ঘোষণা দেন। আর এ দ্বিজাতি তত্ত্বে অনেক কিছু উপস্থাপন করা হয়।

জিন্নাহকে এই দ্বিজাতি তত্ত্বের উদ্ভাবক বলা হয়। কারন বহু বছর ধরে এই কথা ইতিহাসে বলা হয়েছে জিন্নাহ দ্বিজাতি তত্ত্বের না‌মে ভারত ভাগ হয়েছিল। ভারত ভাগের সকল দায় জিন্নাহর কাঁধে চাপিয়েছেন। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ইতিহাস গ্রন্থে বর্তমানেও তাই রয়েছে। এই ভারত ভাগ হওয়ার পর থেকে ভারতে থাকা সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলমানরা সবকিছু থেকে পিছিয়ে পড়তো আর এই পিছিয়ে পড়া মুসলমানকে সামনের দিকে আগানোর জন্য ও হিন্দুদের সম অধিকার রক্ষার জন্য এ দ্বিজাতি তত্ত্বটি প্রদান করেছিলেন আর পিছিয়ে পড়া মুসলমানদের কে এগিয়ে নিতে এই দ্বিজাতি তত্ত্বটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। কারণ প্রতিটা ক্ষেত্রে এই মুসলিম সম্প্রদায়টি পিছিয়ে পড়েছিল।

আপনারা যারা জেনে নিতে চান দ্বিজাতি তত্ত্বের প্রবক্তা কে বা কে ছিলেন দ্বিজাতি তত্ত্বের প্রবক্তা তাদের জন্য আমরা বলছি। দ্বি-জাতি তত্ত্বের প্রবক্তা হলো মুহম্মদ আলী জিন্নাহ। তিনি দীর্ঘদিন মুসলমানদের অধিকার আদায়ের জন্য এই দ্বিজাতি তত্ত্বটি বারবার প্রদান করেছেন। যেটা মুসলিম জাতির জন্য খুব প্রয়োজনীয় ছিল তা ছাড়া এই দ্বিজাতি তত্ত্ব না থাকলে এই পিছিয়ে পড়া মুসলমানরা বারবার অবহেলিত হতো। কারণ হিন্দু জনগোষ্ঠীরা মুসলমানদের দিক থেকে সব কিছু ক্ষেত্রে গিয়েছিলেন। তাই প্রতিনিয়ত তাদের প্রতিঘাতের মাধ্যমে দেশ ত্যাগের নির্দেশ দিচ্ছিলেন। তাই ভারতবর্ষের মুসলিম জাতির জন্য দ্বিজাতি তত্ত্ব ছিল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

আপনারা যারা এ ধরনের গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নের উত্তরগুলো জেনে নিতে আগ্রহী আমরা আপনাদের জন্য এ ধরনের প্রশ্নের উত্তরগুলো আমাদের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত করি। আপনারা আমাদের ওয়েবসাইটে বারবার ভিজিট করে এই বিষয়গুলো সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জেনে নিতে পারবেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *