মুসলমান সমাজে কে আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিত করে তুলতে এবং জাতীয় চেতনায় উদ্বুদ্ধ করার জন্য আলীগড় আন্দোলন। এই আন্দোলনটি ভারতের উত্তর প্রদেশের আলীগড়ে গড়ে যে আন্দোলনের সূচনা করেন তা আলিগড় আন্দোলন নামে পরিচিত। ইংরেজদের দমন ও নির্যাতনের কারণে মুসলমানরা যখন চরমভাবে ভেঙে পড়েছিল তখন এই ভেঙে পড়া মুসলমানদের কে জাগ্রত করেছিলেন সেই সময় আলীগড় আন্দোলন কারী নেতারা। তাছাড়া সে সময়ে মুসলমানরা মনে করতেন ইংরেজি শিক্ষা গ্রহণ করা একটি পাপ কাজ। প্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ কাজে মুসলমানদের কোন বিচরণ ছিল না। সব ক্ষেত্রে মুসলমানরা পিছিয়ে থাকতো। আর মুসলমানদের শিক্ষা গ্রহণ করার জন্য নানান ধরনের আন্দোলন গড়ে তুলত এই আন্দোলনের মধ্যে আলীগড় আন্দোলনটি অন্যতম। তাই আলীগড় আন্দোলনের প্রবক্তা কে এ প্রশ্নের উত্তরটি সম্পর্কে জানতে আপনার আগ্রহী। আজকের এই পোষ্টের মাধ্যমে আপনাদের এই প্রশ্নের উত্তরটি সম্পর্কে জানিয়ে দিব। জানা যাক এ বিষয়টি সম্পর্ক
ব্রিটিশ রাজ্যের প্রথম দিকে হিন্দু ও মুসলমানদের সম্পর্ক খুব একটা ভালো ছিল না। ব্রিটিশ সরকারের বিরুদ্ধে মহা আন্দোলনের জন্য ব্রিটিশ সরকার মুসলমানদের কে দায়ী করতো। অপরদিকে মুসলিম জাতি ব্রিটিশ শাসনকালে পাশ্চাত্য শিক্ষার প্রবর্তনকে সন্দেহ চোখে দেখতেন। পাশ্চাত্য শিক্ষায় শিক্ষিত না হওয়ার কারণে সরকারি চাকরি ও উচ্চপদ স্থানে সবদিক দিয়ে মুসলিম সম্প্রদায় হিন্দুদের তুলনায় কয়েক গুণ পিছিয়ে পড়ে। আর এ পিছিয়ে পড়া মুসলমানদের কে নিয়ে সেই সময় নানান ধরনের আন্দোলনের সৃষ্টি হয় আর এই আন্দোলন গুলোর মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখ যোগ্য আন্দোলন হল আলীগড়ের আন্দোলন টি। আর এই আলীগড় আন্দোলন টি মোট চারটি বিষয়ের উপর করা হয় মুসলমানদের স্বার্থ রক্ষার্থে এই আন্দোলনটির প্রথম কারণ ছিল।
ব্রিটিশ রাজ্য ও হিন্দুদের সাথে টিকে থাকতে হলে মুসলমান দেরকে যেকোন ভাবে ইংরেজি শিক্ষায় শিক্ষিত এবং সকল দিক দিয়ে অগ্রসর হতে হবে তা না হলে সে সময় তারা কোন ভাবেই টিকে থাকতে পারত না। পরবর্তী পিছিয়ে পড়া মুসলমানদের কে নানাভাবে অগ্রগতি প্রদান করেন এবং হিন্দুদের সাথে সমতা করান। আর এই আলীগড় আন্দোল নের প্রবক্তা কে এখন তা আমরা আপনাদেরকে জানিয়ে দেব। স্যার সৈয়দ আহমদ খান ছিলেন আলীগড় আন্দোলনের প্রবক্তা। মুসলমান সমাজে আধুনিক পাশ্চাত্য শিক্ষায় শিক্ষিত করে তুলতে এবং স্বতন্ত্র্য জাতীয় চেতনায় উদ্বুদ্ধ করার জন্য স্যার সৈয়দ আহমেদ খাঁন অবদান ছিল অনন্য। তিনি না থাকলে হয়তো এই পিছিয়ে পড়া মুসলমানদের কে কখনোই সামনের দিকে অগ্রসর করানো যেত না। তিনি প্রকৃত পক্ষে উপলব্ধি করেন মুসলমানদের অগ্রযাত্রার কথা।