হিজরি সন মুসলিম জাতির কাছে খুব পরিচিত একটি শব্দ। হিজরি সন মানে আরবি সাল। ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের ধর্মীয় অনুষ্ঠানাদি প্রতিপালনের জন্য ব্যবহৃত ধর্মীয় পঞ্জিকা হিসেবে এটা ব্যবহার করা হয়ে থাকে। হিজরি নামের সন প্রচলিত হয় ইসলাম ধর্মের প্রবর্তক হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম এর স্মরণে। হিজরি প্রথম বছরটি শুরু হয়েছিল প্রায় ৬২২ খ্রিস্টাব্দের দিকে। হিজরি সন ইসলামিক চন্দ্র পঞ্জিকা অনুসারে গণনা করা হয়।
তাই একজন মুসলিম জাতি হিসেবে ও মুসলমান হিসেবে এই বিষয়টি সম্পর্কে আমাদের অনেকেরই অনেক প্রশ্ন মাথায় ঘুরপাক খায়। তাই হিজরি সনের প্রবর্তক কে আমরা এ প্রশ্নের উত্তরটি সম্পর্কে জেনে নিতে আগ্রহী। তাই আমরা আমাদের আজকের আর্টিকেলটিতে আপনাদের এই বিষয়টি সম্পর্কে বিস্তারিত জানিয়ে দেব। আর এই বিষয়টি সম্পর্কে জেনে নিতে হলে আমাদের ওয়েবসাইটে থাকা আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ অবধি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
আপনাদের সুবিধার জন্য আমরা প্রতিনিয়ত সাম্প্রতিক এ বিষয়গুলো ও আপনাদের দৈনন্দিন জীবনে চলার ক্ষেত্রে সকল তথ্যগুলো আমাদের ওয়েবসাইটে বিস্তারিতভাবে জানিয়ে দেই। তাই আপনারা আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করুন আর জেনে নিন আপনাদের প্রশ্নের উত্তরগুলো। আশা করছি আপনারা আমাদের ওয়েবসাইট থেকে আপনাদের প্রয়োজনীয় সকল তথ্যগুলো পেয়ে যাবেন।
তাছাড়া যে কোন প্রশ্নের উত্তর জানার জন্য আপনারা গুগল এ সার্চ করে থাকেন তাই গুগলে সার্চ করার সাথে সাথে আমাদের ওয়েব সাইট ভিজিট করে আপনাদের প্রশ্নের উত্তরগুলো বিস্তারিত ভাবে জেনে নিতে পারবেন। আপনাদের সুবিধা অনুযায়ী আমাদের ওয়েবসাইট থেকে আপনারা আপনাদের প্রয়োজনীয় যে কোন প্রশ্নের উত্তর কোন ঝামেলা ছাড়াই ডাউনলোড করে নিজের কাছে সংরক্ষণ করতে পারবেন এক্ষেত্রে আপনাকে একটা কোন চার্জ প্রদান করতে হবে না।
হিজরি সন গুলো সাধারণত ইংরেজি সাল গুলোর মত নয় ইংরেজি সাল গুলো সাধারণত ৩৬৫ দিনে পূর্ণ হয়ে থাকে কিন্তু হিজরি সন সবগুলো ৩৫৪ বা ৩৫৫ দিনে হয়ে থাকে। হিজরি সনের প্রথম মাস হলো মুহাররম। হিজরি সন গণনা করা হয় সন্ধ্যার পর থেকে। হিজরি সন গণনার সূচনা হয়েছিল ঐতিহাসিক এক অবিস্ময়রণীয় ঘটনাকে উপলক্ষ করে। হযরত মুহাম্মদ (সা:) এবং তাঁর সঙ্গী-সাথীবর্গের মক্কা থেকে মদিনায় হিজরতের ঐতিহাসিক ঘটনাকে স্মরণীয় করে রাখার জন্যই আরবি মহররম মাসকে হিজরি সনের প্রথম মাস ধরে সাল গণনা শুরু হয়েছিল। হিজরি সন মুসলমানদের সন। মুসলমানদের উচিত এর অনুসরণ করা। এক্ষেত্রে উদাসীনতা কাম্য নয়। ইসলামী চান্দ্র বর্ষের হিসাব রাখাকে মুসলমানদের জন্য ফরজে কিফায়া বলেছেন।
আমাদের দেশে সাধারণ তিনটি ক্যালেন্ডার ব্যবহার করা হয়। সেগুলো হলো বাংলা সন, ইংরেজি সাল ও হিজরি সন। বিশ্বের প্রায় দেড়শ কোটি মুসলমান এই হিজরি সন ব্যবহার করে থাকেন। হিজরি নববর্ষের মুসলমানরা কোনো আনন্দ উৎসব করবে না, তবে নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ও তাঁর সহকর্মীদের ত্যাগের কথা স্মরণ করে। হিজরি সনের প্রথম মাসে মুসলমানরা বিশেষ ইবাদত করে থাকেন।
হিজরি সন সম্পর্কে আপনাদের অনেক তথ্য দিলাম এখন আমরা আপনাদেরকে জানিয়ে দেব হিজরি সনের প্রবর্তক কে। হিজরি সনের প্রবর্তক ইসলামের দ্বিতীয় খলিফা হযরত উমর রাযিয়াল্লাহু আনহু। মুসলমানদের কাছে হিজরি সনের গুরুত্ব হওয়ার কারণ হলো আরবি মাসের তারিখ গুলোর ওপর নির্ভর করে মুসলমানরা বিভিন্ন ধরনের ইবাদতে নিজেদেরকে নিয়োজিত রাখে তাই অগ্রিম প্রস্তুতির জন্য এই হিজরি সনের বিশেষ প্রয়োজন।