পুলিশ বাহিনী দেশের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় বাহিনী গুলোর মধ্য অন্যতম একটি বাহিনী। দেশের স্বাধীন ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা ও দেশের জনগণের সেবার জন্য এই বাহিনীটি গঠন করা হয়। আপনারা অনেকে অনেক সময় পুলিশের প্রধান কে ২০২৩ এ প্রশ্নের সম্মুখীন হন। বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ক্ষেত্রে এ প্রশ্নগুলো আমাদের সামনে হাজির হয়ে যায়। তাই আপনারা অনেকেই পুলিশের প্রধান কে ২০২৩ এই বিষয়ে জানতে বেশ আগ্রহী। আর এই বিষয়টি জানার আগ্রহ মাত্র মাত্রা থেকে আপনারা গুগল সহ ইন্টারনেটের বিভিন্ন জায়গায় এই প্রশ্নটি র উত্তর অনুসন্ধান করছেন। আপনারা যারা এই গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নের উত্তরটি জেনে নিতে চান আমরা আমাদের আজকের এই আর্টিকেলটিতে এই বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব। আপনারা আমাদের ওয়েবসাইটে থাকা আর্টিকেলটি সম্পন্ন মনোযোগ সহকারে পড়ুন আর জেনে নিন আপনাদের কাঙ্খিত প্রশ্নে সঠিক উত্তরটি সম্পর্কে।
দেশের প্রতিটি জনগণের জানমালের নিরাপত্তার দায়িত্বে পুলিশের ভূমিকা থাকতে হবে অটল। পুলিশের স্বয়ংক্রিয় ভূমিকার মাধ্যমে দেশের নিরাপত্তা কেমন হবে তা জানা যায়। পুলিশের স্বয়ংক্রিয় ভূমিকার মাধ্যমে দেশের শান্তি শৃঙ্খলা ফিরে আসে। পুলিশ বাহিনীর কঠোর ভূমিকার মাধ্যমে দেশের অপরাধমূলক সকল কর্মকান্ড পর্যায়ক্রমে কমে যায়। একটি দেশ যে একটি নির্ধারিত দায়িত্ব আইনগত বা স্থানিক এলা কার মধ্যে যে দেশ ক্ষমতা পুলিশ অনুশীলন করায় অনুমো দিত হয় পুলিশ পরিষেবার সাথে সংযুক্ত করা হয়। তাছাড়া পুলিশ বাহিনী দ্বারা শুধু সেবামূলক কাজ নয় বিভিন্ন ধরনের উন্নয়নমূলক কাজে এই বাহিনীর দিকে আমরা দেখতে পাই।
বিশ্বের অন্যান্য উন্নত রাষ্ট্রের মতোই আমাদের বাংলাদেশ পুলিশ অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা বাহিনী বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনে পরিচালিত হয়ে থাকে। বাংলাদেশের পুলিশ এর প্রধান কে মহা পুলিশ প্রদর্শক বলা হয় সংক্ষিপ্ত রূপে তাকে আইজিপি বলা হয়। আর বাংলাদেশ পুলিশ প্রধানের নেতৃত্বে গোটা পুলিশ বাহিনী দায়িত্ব পালন করে। তার নেতৃত্বের উপর ভর করে বাহিনীটি পরিচালিত হয়
প্রত্যেকটি বিভাগীয় শহরে একটি বিভাগীয় কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করে। এরা বিভাগীয় পুলিশ কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করে। তাছাড়া একটি বাহিনীতে পুলিশ প্রধান ছাড়াও পুলিশ প্রদানের সহকারী প্রধান হিসেবে নিযুক্ত থাকে। দেশের ভাবমূর্তি রক্ষার জন্য এই বাহিনীটির গুরুত্ব অপরিসীম।
বাংলাদেশের পুলিশ বাহিনী স্বাধীনতার আগেও এবং স্বাধীন তা যুদ্ধে এই পুলিশ বাহিনীর বিশেষ অবদান ছিল। বাংলা দেশ পুলিশের ইতিহাসে সবচেয়ে গৌরবোময় সময় হল ১৯৭১ সাল। মহান মুক্তিযুদ্ধে সময় একজন ডিপুটি ইন্সপেক্টর বেশ কয়েকজন এসপি সহ প্রায় সব পর্যায়ের পুলিশ সদস্য মুক্তির সংগ্রামে জীবন দান করে গেছেন। তাই বাংলাদেশের মুক্তি যুদ্ধের ইতিহাসে পুলিশ বাহিনীটির অবদান চোখে পড়ার মতো ছিল। ১৯৭১ সালের মার্চ মাস হতেই প্রদেশের পুলিশ বাহিনীর উপর কর্তৃত্ব হারিয়েছিল পাকিস্তানের প্রাদেশিক সরকার। পুলিশের বীর সদস্যরা প্রকাশ্যেই পাকিস্তানের বিরুদ্ধে অবস্থান নেন।পাকিস্তানি হানাদারদের বিরুদ্ধে প্রথম সশস্ত্র প্রতিরোধ গড়ে তোলেন বাংলাদেশ পুলিশের সদস্যরা। এই সশস্ত্র প্রতিরোধ টিই বাঙ্গালীদের কাছে সশস্ত্র যুদ্ধ শুরুর বার্তা পৌছে দেয়। পরবর্তীতে পুলিশের এই সদস্যরা নয় মাস জুড়ে দেশব্যাপী যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন।
মুক্তিযুদ্ধের পর থেকে বাংলাদেশ পুলিশ কে আরো আধুনিক ভাবে রূপান্তরিত করা হয়। পৃথিবীর উন্নত রাষ্ট্রের পুলিশ বাহিনীর মতো বাংলাদেশর পুলিশ বাহিনীকে বিভিন্নভাবে প্রশিক্ষণ ও আধুনিক যন্ত্রপাতির মাধ্যমে তাদেরকে আধুনিক বাহিনী হিসেবে গড়ে তোলা হয়েছে। তাই বর্তমানে বাহিনীটি
আইন শৃঙ্খলা রক্ষা, জনগনের জানমাল ও সম্পদের নিরা পত্তা বিধান, অপরাধ প্রতিরোধ ও দমনে প্রধান ও গুরুত্ব পূর্ণ ভুমিকা পালন করেছেন। শুধু আইন পালন আর অপরাধ প্রতিরোধ বা দমনই নয় দেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতির ধারা অব্যাহত রাখতে বাংলাদেশ পুলিশ গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করছে। গত এক দশকে জঙ্গীবাদ দমন এবং অপরাধ নিয়ন্ত্র ণে বাংলাদেশ পুলিশ দক্ষতার পরিচয় দিয়েছে। তাই এ বাহি নীটি বর্তমানে দেশসহ দেশের বাইরে সুনাম অর্জন করেছে।
আশা করছি আমরা আমাদের আজকের উপরোক্ত আলোচনা থেকে পুলিশের প্রধান কে ২০২৩ এই বিষয়টি সম্পর্কে আপনাদের সঠিক তথ্য প্রদান করতে পেরেছি। আপনারা আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করে আপনাদের এই ধরনের গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নের উত্তর গুলো আরো ভালোভাবে জেনে নিতে পারবেন।