নারী জাগরণের পথিকৃৎ কে

পৃথিবীর বুকে যা কিছু সৃষ্টি হয়েছে অর্ধেক তার করিয়াছে নারী, অর্ধেক তার নর কবি কাজী নজরুল ইসলামের নারী কবিতায় এই কবিতার অংশটুকু নারীদের কাছে একটি অনুপ্রেরণা মূলক লাইন। পৃথিবীতে যা সৃষ্টি হয়েছে শুধু পুরুষ রাই করেনি তার পাশাপাশি নারীর অবদান অনেক এই কবিতা থেকে তা বুঝিয়েছে। তাই নারী জাগরণের জন্য একজন মূল নেতৃত্বকারী মানুষ রয়েছে যার জন্য নারী জগত পিছিয়ে যায়নি। তাই আপনারা যারা নারী জাগরনের প্রথিকৃৎ কে এই বিষয়টি সম্পর্কে অনেকেই জেনে নিতে চান। তাই আপনাদের জন্য আমরা আমাদের ওয়েবসাইটে প্রতিনিয়ত এ ধরনের গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নের উত্তর গুলো লিখে থাকি। আপনারা গুগলে সার্চ করার সাথে সাথে এ ধরনের প্রশ্নের উত্তরগুলো আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করে জেনে নিতে পারবেন। চলুন তাহলে জেনে নেয়া যাক আপনাদের কাঙ্খিত প্রশ্নের সঠিক উত্তরটি সম্পর্কে।

পৃথিবীর সৃষ্টির শুরু থেকে নারী-পুরুষকে সৃষ্টি করেছে মহান সৃষ্টিকর্তা। তাই এই পৃথিবীর যা কিছু রয়েছে তা সকল ক্ষেত্রে পুরুষের যেমন অধিকার রয়েছে নারীরা তেমন অধিকার রয়েছে। কারণ নারী ও পুরুষ মিলে ই পৃথিবীর যা কিছু রয়েছে তা একটু একটু করে সৃষ্টি করেছেন। জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত একজন নারী তার জীবনের মায়া ত্যাগ করে অজস্র ভূমিকা পালন করে যান। নারী-পুরুষের সম্মিলিত চেষ্টায় সৃষ্টি হয়েছে সমাজব্যবস্থা। তাই সমাজে নারীর অবদান সমান ভাবে বিদ্যমান। প্রতিটি ক্ষেত্রে নারীর অবদান চোখে পড়ার মতো। সমাজের প্রতিটি ক্ষেত্রে প্রতিটি জায়গায় নারীর সম মর্যাদা গড়ে তোলার কথা বলা হয়েছে। যে জাতি নারীকে অবহেলা করবে সে জাতি কখনো সফলতার চূড়ান্ত পর্যায়ে যাবেনা।

বর্তমান বিশ্বে পুরুষের পাশাপাশি নারীরাও সব ধরনের কাজে এগিয়ে যাচ্ছে। নারীরা পুরুষের সঙ্গে সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে সমাজের প্রতিটি ক্ষেত্রে প্রতিটি কাজে তাদের ওপরে থাকা বিভিন্ন ধরনের দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে। বর্তমানে নারীদের কর্মস্থল শুধু রান্নাঘরে নয় সমাজের প্রতিটি ক্ষেত্রে তাদের অবস্থান বর্তমানে বিদ্যমান। তাই কোন জাতি যদি নারীকে অবহেলা করে নারীকে প্রাধান্য না দেয় তাহলে সে জাতি কখনোই উন্নতির পথ দেখতে পাবে না। অন্ধকার যুগে নারীদে র কখনো মর্যাদা দেওয়া হতো না। সে যুগে নারীদের দাসী করে রাখা হতো। তাদের সকল অধিকার থেকে তাদের বঞ্চিত করে রাখা হতো। কিন্তু সময়ের সাথে সাথে নারী আন্দোলন ও সমাজের অবহেলিত নারীর জন্য নানা পদক্ষেপের জন্য এখন তা পরিবর্তন হয়েছে।

জন্ম থেকে একজন নারীর তার জীবনের যুদ্ধ শুরু হয়ে যায়। বাবার বাড়ীতে বেড়ে ওঠা আল্লাদী কিশোরী হঠাৎ করে দায়িত্ব সম্পর্কে বুঝে উঠতে শুরু করে। সে যেমন তার বাবা, ভাই সবার দিকে পরম মমতায় খেয়াল রাখে তেমনি সাংসারিক কাজে মাকে সাহায্য করতে উদ্যত হয়।বিয়ের পর স্বামী এবং সংসারে অধিক মনোযোগী হয়ে ওঠে নারী।ভালোভাবে স্নাতকোত্তর পাশ করেও এমনকি উচ্চতর ডিগ্রী নিয়েও নারী ঘরে বসে থাকে শুধুমাত্র সন্তানের কথা চিন্তা করে।যে সন্তান ও স্বামী অথবা শ্বশুর বাড়ীর জন্য নিজের ক্যারিয়ার বিসর্জন দেয়। তার পরেও নারীকে এক সময় তাদের কাছ থেকে শুনতে হয় তুমি তো সারাদিন ঘরে বসেই থাকো।

অন্ধকার যুগে নারীরা নানা অবহেলায় দিন পার করত তারা প্রতিটি ক্ষেত্রে প্রতিটি জায়গায় বঞ্চিত হয়ে থাকত। নারীদের প্রতি বৈষম্য দূর করার জন্য নারীদের অধিকার আদায়ের জন্য বেগম রোকেয়া এমন এক অসামান্য নারী, যিনি এ দেশের অবহেলিত নারী সমাজকে দিয়েছেন এক অভাবনীয় আলোর সন্ধান। আর তাই নারী জাগরণের পথিকৃৎ হিসেবে স্বীকৃতি প্রদান করা হয় বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত কে। বেগম রোকেয়া প্রতিটি ক্ষেত্রে নারী অধিকার জন্য আজীবন সংগ্রাম করে গিয়েছেন। বাংলার নারী সমাজের মুক্তির অগ্রদূত তিনি। বেগম রোকেয়ার জীবনব্যাপী সাধনা ও কর্মের মূল্যায়নে ছিলেন শুধু নারীর অগ্রগতি।

আপনারা যারা নারী জাগরণের পথিকৃৎ কে এ ধরনের গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নের উত্তর গুলো জেনে নিতে চান আমরা আমাদের আজকের আর্টিকেলটিতে তা আলোচনা করলাম। আপনারা আমাদের ওয়েবসাইডে ভিজিট করে আপনাদের প্রয়োজনীয় প্রশ্নের উত্তর গুলি খুব সহজে জেনে নিন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *