আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি গানটি একটি দেশাত্মবোধক গান। ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে এই গানটি রচিত হয়েছিল। ভাষা আন্দোলনের শহীদদের উদ্দেশ্যে এই গানটি গাওয়া হয়েছিল। তাই আপনারা অনেকেই এই গানটি সম্পর্কে জেনে নিতে বেশ আগ্রহী। অনেকেই আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো গানটির গীতিকার কে এই প্রশ্নটির সঠিক উত্তর জানার জন্য গুগল সহ ইন্টারনেটের বিভিন্ন জায়গায় বারবার অনুসন্ধান করছেন তাই আপনাদের জন্য আমরা আমাদের আজকের আর্টিকেল টিতে এই প্রশ্নের সঠিক উত্তরটি প্রদান করবো। তাই আপনারা এই প্রশ্নের উত্তরটি জানার জন্য গুগলে সার্চ মারার সাথে সাথে আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করে এই বিষয় গুলো সম্পর্কে জেনে নিন। চলুন তাহলে দেরি না করে এই বিষয়টি সম্পর্কে জেনে নেয়া যাক।
ভাষা আন্দোলন বাঙালি জাতির জন্য একটি অন্যতম একটি আন্দোলন। আর ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের মাধ্যমে বাঙালি জাতি তার বাংলা মাতৃ ভাষাটি অর্জন করতে সক্ষম হয়। আর একুশে ফেব্রুয়ারির এই গানটির পিছনে বিশাল একটি ইতিহাস রয়েছে। ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি রাষ্ট্রভাষা বাংলার দাবিতে ছাত্র জনতা শিক্ষক ও সাধারণ মানুষ রাস্তায় নেমে পড়ে রাষ্ট্রভাষা বাংলার দাবিতে। এই আন্দোলনের বিরুদ্ধে পাকিস্তান সরকার ১৪৪ ধারা জারি করেছিল। কিন্তু সব বাধা উপেক্ষা করে মাতৃভাষা বাংলার জন্য রাজপথে মিছিল নিয়ে বের হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র জনতা ও সাধারণ মানুষ। কিন্তু এই আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের ওপর নির্বিচারে পুলিশ গুলি চালায়। আর সেই গুলিতে অনেক ছাত্র নিহত হন এবং অনেকে আহত ছাত্র ঢাকা মেডিকেল কলেজে হাসপাতালে ভর্তি হন।
আর এই নিহত ছাত্রদের স্মরণে বাইশে ফেব্রুয়ারি জানাজা ও এবং জানাযার শেষ গণ মিছিল শুরু হয়। আর সেই মিছিলে আব্দুল গাফফার চৌধুরী পুলিশের লাঠিচার্জে বেশ আহত হয়ে পড়েন। আর সেই আহত অবস্থায় আব্দুল গাফফার চৌধুরী এই গানটি ভাষা শহীদদের উদ্দেশ্যে ও ভাষা আন্দোলনকে আরো বেগমান করতে গানটি লিখেছিলেন।তাই প্রতিবছর ২১শে ফেব্রুয়ারিতে বাংলাদেশের সব অঞ্চলে থেকে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে শত শত মানুষ এই গান গেয়ে শহীদ মিনার অভিমুখে খালি পায়ে হেঁটে যান। ভাষা শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে একুশে ফেব্রুয়ারির প্রভাত ফেরীতে এই গান গেয়ে সবাই শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করতে যায়। গানটির রচয়িতা আব্দুল গাফফার চৌধুরী এবং প্রথম সুরারোপ করেন আব্দুল লতিফ। আর আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি গানটির গীতিকার ও ছিলেন আব্দুল গফফার চৌধুরী।
এই গানটি আমরা ফেব্রুয়ারি মাস আসলে অনেকেই গাই এবং অনেককেই গাইতে শুনি। একুশে ফেব্রুয়ারি নিয়ে আমাদের দেশে যত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়, তার কোনটিই এই গানটি কে বাদ দিয়ে ভাবা যায় না। এ গানটি এখন শুধু বাংলা ভাষার মানুষই না, সারা বিশ্বের মানুষও শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করে। কারণ, একুশে ফেব্রুয়ারি এখন সারা বিশ্বে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে পালন করা হয়। আর এই গানটি বর্তমানে হিন্দি, মালয়, ইংরেজি, ফরাসি, সুইডিশ, জাপানি সহ ১২টি ভাষায় গাওয়া হয়। ফেব্রুয়ারি মাস আসলে ই এই গানটির কথা বাঙ্গালীদের মনে করিয়ে দেয় ফেব্রুয়ারি মাস মানে আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি আমি কে ভুলিতে পারি এই গানটি বাঙালির মুখে মুখে।
একুশে ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশের জাতীয় দিবস গুলোর মধ্যে অন্যতম একটি দিবস। একুশে ফেব্রুয়ারি দিনটি বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় পালন হয়ে থাকে। প্রতিবছর এই দিনটি নানা আয়োজনের মাধ্যমে যথাযথ মর্যাদায় পালন করা হয়। দেশের বিভিন্ন জেলায় উপজেলায় দেশের আনাচে-কানাচে আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি এই গানটি গেয়ে শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে একুশে ফেব্রুয়ারি শহীদ দিবস পালন করা হয়। একুশে ফেব্রুয়ারির দেশাত্মবোধক গানটির মাধ্যমে নতুন প্রজন্মের কে অনেক কিছু শিক্ষা দিয়ে থাকে। বাঙালি জাতি কে দাবিয়ে রাখা য়ায় না তার বাস্তব প্রমাণ বাংলা ভাষা আন্দোলন।
আপনারা যারা আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো গানটির গীতিকার কে এ বিষয়টি সম্পর্কে জেনে নিতে চান আমরা আমাদের ওয়েবসাইটে তা জানিয়ে দিলাম। আপনারা আপনাদের যেকোনো ধরনের প্রয়োজনীয় প্রশ্নের উত্তর জেনে নিতে হলে আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করে তা জেনে নিন।