বাংলার ইতিহাসে অন্যতম একটি ঘটনা হলো পলাশীর যুদ্ধ। আর যার মাধ্যমে এই ডুবেছিল বাংলার স্বাধীনতার শেষ সূর্য। ১৭৫৭ সালের ২৩ জুন পলাশীর প্রান্তরে যুদ্ধ নামের যে ঐতিহাসিক ঘটনা অভিনীত হয়েছিল, সেই পলাশীর যুদ্ধে পরাজয় কেবল বাংলার শেষ স্বাধীন নবাবের পতন হয়নি, অবসান হয় বাংলার স্বাধীনতার। ইতিহাসের অন্যতম এক ঘটনা বয়ে নিয়ে বেড়াচ্ছে পলাশীর এই যুদ্ধ। তাই আপনারা অনেকেই জেনে নিতে আগ্রহী বাংলার শেষ নবাব কে ছিলেন। তাই আপনারা যারা এই ধরনের গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নের উত্তরটি সম্পর্কে জানতে আগ্রহী আমরা আমাদের আজকের আর্টিকেলটিতে এই প্রশ্নের সঠিক উত্তর জানিয়ে দেবো। তাছাড়া আপনাদের সুবিধার জন্য এই ধরনের ছোট ছোট প্রশ্নের উত্তর গুলো আমার আমাদের ওয়েবসাইটে নিয়মিত লিখে থাকি। তাই আপনারা আমাদের ওয়েবসাইটে নিয়মিত ভিজিট করুন আর জেনে নিন আপনাদের প্রয়োজনীয় যে কোন প্রশ্নের অজানা সকল তথ্যগুলো সম্পর্কে।
বাংলার শেষ স্বাধীন নবাব পলাশীর যুদ্ধে মীরজাফর কর্তৃক চরম এক বিশ্বাস ঘাতকের কারণে পরাজয় বরণ করতে হয়েছিল। আর এই পরাজয়ের মাধ্যমে বাংলার শেষ স্বাধীন নবাবের পতন ঘটে যা ইতিহাসে একটি বিরল ঘটনা। বাংলার নবাব গুলো ছিলেন সম্পূর্ণরূপে বাংলা বিহার ও উড়িষ্যায় রাজ্য গুলোর দখলে। ১৭১৭ থেকে ১৭৫৭ সাল পর্যন্ত তারা সার্বভৌম বাংলার প্রধান হিসেবে এই অঞ্চল শাসন করেছেন। এবং ১৭৫৭ সালে ইংরেজদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে মীরজাফর বাংলার শেষ নবাব কে পরাজিত করেন। এবং বাংলার শেষ নবাব পরাজিত হওয়ার পরে সেই রাজ্যের দখলে চলে আসেন মীরজাফরের অধীনে। পরবর্তীতে মীর জাফর কে ক্ষমতায় বসান এবং বাংলায় এক ধরনের রাজনৈতিক ধারা প্রবর্তন করেন। যা বাংলার ইতিহাসে বিস্ময়কর একটি ঘটনা।
যে মানুষটির সাথে বাঙালি জাতির ভাগ্য গাথা হয়ে গেছে তিনি হলেন বাংলার শেষ নবাব। তিনি ছিলেন সাহসী একজন যোদ্ধা তিনি কখনো অন্যায়ের কাছে মাথা নত করেনি। প্রতিনিয়ত বাংলার মানুষের জন্য লড়াই করে গিয়েছেন। তাই তো মাত্র তেইশ বছর বয়সে বাংলার এই শেষ নবাব বাংলা শাসনের দায়িত্বভার নিজের কাঁধে তুলে নেন। তাই এখন আমরা আপনাদের কে জানিয়ে দেবো বাংলার শেষ নবাব কে ছিলেন। নবাব সিরাজউদ্দৌলা বাংলা, বিহার ও উড়িষ্যার শেষ স্বাধীন নবাব ছিলেন। নবাব সিরাজউদ্দৌলা ছিলেন বাংলার নবাব আলীবর্দী খান এর নাতি। সিরাজ তার নানার কাছে ছিল খুবই আদরের, যেহেতু তার কোনো পুত্র ছিলনা। সিরাজউদ্দৌলা কে মাত্র সতেরো বছর বয়সেই তার সিংহা সনের উত্তরাধিকার ঘোষণা করেন। এবং ২৩ বছর বয়সে তিনি বাংলা শাসন এর দায়িত্বভার নিজের কাঁধে তুলে নেন।