মোবাইল ফোনের আবিষ্কারক কে

বর্তমানে খুব পরিচিত একটি শব্দ হলো মোবাইল। মোবাইল ব্যবহার করে না এমন মানুষের সংখ্যা হয়তো কমই রয়েছে। দিন দিন মোবাইল ফোনের জনপ্রিয়তা এতটাই বেশি পাচ্ছে প্রতিনিয়ত এর ব্যবহারকারীর সংখ্যা বেড়ে চলেছে। তাই আমরা যারা মোবাইল ফোন ব্যবহার করি অনেকেই একটি বিষয় সম্পর্কে জেনে নিতে আগ্রহী আর তা হল মোবাইল ফোনের আবিষ্কারক কে। আপনারা যারা এই বিষয়টি সম্পর্কে জেনে নিতে চান তারা গুগল সহ ইন্টারনেটের বিভিন্ন জায়গায় বারবার অনুসন্ধান করছেন। আর আপনাদের জন্য এ ধরনের গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নের উত্তরগুলো আমরা প্রতিনিয়ত আমাদের ওয়েবসাইটে লিখে থাকি। আপনারা এ ধরনের প্রশ্নের উত্তর গুগলে সার্চ করার সাথে সাথে আমাদের ওয়েব সাইটে ভিজিট করে খুব সহজে জেনে নিতে পারবেন। চলুন তাহলে দেরি না করে জেনে নেয়া যাক আপনাদের কাঙ্খিত প্রশ্নের সঠিক উত্তরটি সম্পর্কে।

মোবাইল ফোন এমন একটি ইলেকট্রিক ডিভাইস যার মাধ্যমে আপনি খুব সহজেই কোনো তার ছাড়াই এক স্থান থেকে আরেক স্থানে কথা বলতে পারবেন ও যোগাযোগ করতে পারবেন। আর বর্তমান যুগে এমন কিছু স্মার্ট মোবাইল ফোন আবিষ্কার হয়েছে যার মাধ্যমে আপনি সবকিছু করতে পারবেন। আগের মোবাইল ফোন গুলোতে শুধু কথা বলা যেত। আর বর্তমান যুগের স্মার্ট মোবাইল ফোন দ্বারা আপনি ভিডিও কল অডিও কল চ্যাটিং মেসেজিং ইন্টারনেট ব্যবহার ভিডিও অডিও গান ইত্যাদি এ ধরনের বাড়তি সুবিধা বর্তমান যুগের মোবাইল ফোন থেকে আপনি পাবেন। আর এসব বারতি সুবিধার জন্য মোবাইল ফোন বর্তমানে বেশ জনপ্রিয় তা পেয়েছে। যত দিন যাচ্ছে মোবাইল ফোনের ব্যবহার সংখ্যা তত বেড়ে চলেছে। মোবাইল ফোন এখন জনপ্রিয়তা শীর্ষ।

সাধারণত মোবাইল ফোন গুলোতে এগারো ডিজিট এর নাম্বার ব্যবহার করে দেশের যেকোন স্থান থেকে অন্য স্থানে যেকোনো সময় যোগাযোগ করতে পারবেন। তবে যোগাযোগ করার আগে অবশ্যই আপনাকে এগারো ডিজিটের নাম্বারটি সম্পূর্ণ ভালো করে তুলে অন্য কোন মোবাইলে কল করার জন্য দেখে নিতে হবে নাম্বার এগারো টি আছে কিনা। আর কল করার পর অন্য ফোনে রিসিভ করার পরে আপনি কথা বলতে পারবেন। তবে দুটি ফোনের মধ্যে কানেকশন খুব কম সময়ের মধ্যে হয়ে যায়। প্রথম যে মোবাইল ফোনটি আবিষ্কার করা হয়েছিল সেটা প্রায় দুই কেজির মত ওজন ছিল। আর এই মোবাইলটি ৩০ মিনিট কথা বলার জন্য প্রায় দশ ঘণ্টার মতো ফোনটিতে চার্জ ব্যবহার করতে হতো।

মোবাইল ফোন আমাদের আজকের নিত্যদিনের সঙ্গী হয়ে গিয়েছে। এখন পর্যন্ত যত গুলো জিনিস আবিষ্কার করা হয়েছে, সেগুলোর মধ্যে মোবাইল ফোন এর আবিষ্কার সব থেকে অধিক গুরুত্বপূর্ণ এবং উপযোগী আবিষ্কার। বর্তমানে মোবাইল ফোন ছাড়া কোন মানুষ এক মুহূর্ত চলতে পারছে না। দিনের শুরু থেকে রাত অব্দি প্রতিটি ক্ষেত্রে বর্তমানে মোবাইল ফোনের ব্যবহার চলছে। আর এই মোবাইল ফোনের আবিষ্কার খুব একটা সহজ পদ্ধতি ছিল না। অনেক চড়াই উতরাই পেরিয়ে মোবাইল ফোন আবিষ্কার করা হয়েছে।১৮৭৬ সালে টেলিফোন আবিষ্কার করেন আলেকজেন্ডার।আর টেলিফোন আবিষ্কারের পর থেকেই বিজ্ঞানীরা ভাবতে শুরু করেন তার বিহীন যোগাযোগ ব্যবস্থা আবিষ্কারের কথা।

চার দশক আগে এক যুগান্তরই আবিষ্কার মোবাইল ফোন। এই আবিষ্কারের মাধ্যমে সারা পৃথিবীর মানুষের জীবনের এক নতুন অধ্যায় খুলে দিয়েছিল। ১৯৭৩ সালের ৩ এপ্রিল মার্টিন কুপার এবং জন ফ্রান্সিস মিচেলকে প্রথম মোবাইল ফোন এর উদ্ভাবক এর মর্যাদা দেওয়া হয়। তারা ১৯৭৩ সালের ৩ এপ্রিলে প্রথম সফলভাবে প্রায় দুই কেজি ওজনের হাতে ধরা ফোনের মাধ্যমে কল করতে সক্ষম হয়েছিল। দীর্ঘদিন ধরে মার্টিন কুপার এই মোবাইল ফোনের ওপর গবেষণ চালিয়ে এই ইলেকট্রিক যন্ত্রটি আবিষ্কার করেন। তাই মোবাইল ফোনের আবিষ্কারক হিসেবে মার্টিন কুপার কে স্বীকৃতি প্রদান করা হয়। মার্টিন কুপার সেই সময়ে মোটোরলা কোম্পানিতে গবেষণা হিসেবে নিযুক্ত ছিলেন সেই থেকেই তিনি মোবাইল ফোনের ওপর গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছিলেন।

আপনারা যারা মোবাইল ফোনের আবিষ্কারক কে এই ধরনের গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নের উত্তর গুলো জেনে নিতে চান আমরা আমাদের আজকের আর্টিকেলটিতে এই বিষয়টি সম্পর্কে সঠিক তথ্য জানিয়ে দিলাম। আপনারা আমাদের ওয়েব সাইটে ভিজিট করে এই ধরনের প্রয়োজনীয় প্রশ্নের উত্তর গুলো জেনে নিন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *