এক সাগর রক্তের বিনিময়ে বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জন। আর এ স্বাধীনতা ছিনিয়ে আনতে বাঙালি জাতিকে অনেক বাধা-বিপত্তি পার করতে হয়েছে। দীর্ঘ ৯ মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মাধ্যমে বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জন। আর এই স্বাধীনতাকে নিয়ে অনেক মানুষের অনেক প্রশ্ন মাথায় ঘুরপাক খায়। তা ছাড়া আমাদের অনেক সময় অনেক ক্ষেত্রে স্বাধীনতার ঘোষক কে এই প্রশ্নটির সম্মুখীন হতে হয়। তাই আমরা অনেকেই এই প্রশ্নটির উত্তর সম্পর্কে জেনে নিতে চাই। আর এই প্রশ্নটির উত্তর জেনে নেয়ার জন্য আমরা গুগলসহ ইন্টারনেটের নানান জায়গায় অনুসন্ধান করি। তাই আপনাদের সুবিধার জন্য আমরা আমাদের আজকের আর্টিকেলে টিতে এই বিষয়টি সম্পর্কে জানিয়ে দেব। তাছাড়া আপনাদের সুবিধার জন্য প্রতিনিয়ত এ ধরনের গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নের উত্তর গুলো আমরা আমাদের ওয়েবসাইটে লিখে থাকি। আপনারা এ ধরনের প্রশ্নের উত্তর জানার জন্য গুগলে সার্চ করার সাথে সাথে আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করে খুব সহজেই এ বিষয়টি সম্পর্কে জেনে নিতে পারবেন।
বঙ্গবন্ধুকে স্বাধীনতার ঘোষক বলা হয় কেন
১৯৭১ সালের ২৬ শে মার্চ হাজারো বাধা অতিক্রম করে ও পরাধীনতার শিকল ভেঙ্গে বিশ্বের বুকে স্বাধীন দেশ হিসেবে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছিল বাংলাদেশ। আর এই ঘোষণার পর থেকেই বাঙ্গালীদের ওপর নির্বিচারে নানান ধরনের জুলুম অত্যাচার নির্যাতন শুরু হয়ে যায় পাক বাহিনীর। আর এই বাঙালি জাতিকে দাবিয়ে রাখতে পারেনি তারাও এই জুলুম অন্যায় অত্যাচারের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছিল। আর দীর্ঘ নয় মাস চলাকালীন যুদ্ধে ৩০ লক্ষ শহীদ চার লক্ষ মা বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে অর্জিত হয়েছে বাংলাদেশের। বাঙালি জাতির জীবনে ২৬ মার্চ দিনটি একই সঙ্গে গৌরব ও শোকের। স্বাধীনতা অর্জন করতে বাঙালি জাতিকে করতে হয়েছে দীর্ঘ সংগ্রাম, দিতে হয়েছে এক সাগর রক্ত অনেক ত্যাগ তিতিক্ষার পর বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জন হয়েছে।
স্বাধীনতা প্রত্যেকটি মানুষের জন্য জন্মগত অধিকার। প্রত্যেকটি জাতি স্বাধীনভাবে বেঁচে থাকতে চাই। আর তারই ব্যতিক্রম ছিল না বাঙালি জাতি। তাই ১৯৭১ সালের পঁচিশে মার্চ মধ্য রাতে পাকিস্তান সামরিক বাহিনী নিরীহ বাঙালিদের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। বাংলাদেশের স্বাধীনতার ইতিহাসে ২৫ মার্চ রাত ছিল বাংলাদেশের ইতিহাসে একটি নির্মম গণহত্যার রাত। আর এই রাত্রিটির নাম দেওয়া হয়েছিল অপারেশন সার্চলাইট এই রাত্রিতে প্রায় পঞ্চাশ হাজার মানুষকে নিরীহ ভাবে হত্যা করে পাকিস্তান সামরিক বাহিনী। আর পাকিস্তান হানাদার বাহিনীর এ ধরনের আক্রমণের ফলশ্রুতিতে ২৬ শে মার্চ বাংলাদেশকে স্বাধীন দেশ হিসেবে ঘোষণা করেন। আর এ স্বাধীনতা ঘোষণা করার পর থেকে শুরু হয় বাংলাদেশের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ।
আমরা অনেকেই স্বাধীনতার ঘোষক কে এই বিষয়টি সম্পর্কে নানান ধরনের তর্কে জড়িয়ে পড়ি। আমাদের অনেক সময় অনেক ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় স্বাধীনতার ঘোষক কে এই প্রশ্নটির সম্মুখীন হতে হয়। তাই আপনাদের জন্য আমরা এ বিষয়টি সম্পর্কে সঠিক তথ্যটি উপস্থাপনা করলাম। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে ১৯৭১ সালে ২৬ শে মার্চ পাকিস্তান হানেদার বাহিনী প্রথম প্রহরে গ্রেফতার করেন। আর গ্রেফতার হওয়ার পূর্ব মুহূর্তে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশ একটি স্বাধীন দেশ সেই ঘোষণা প্রদান করেন। তাই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে স্বাধীনতার ঘোষক হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণাটি ইংরেজিতে দিয়েছিলেন। যাতে সারা বিশ্বের মানুষ শুনতে ও জেনে নিতে পারে। পরবর্তীতে এই স্বাধীনতা ঘোষণাটি বাংলায় অনুচ্ছেদ করা হয় বাংলাদেশের মানুষের জন্য।
স্বাধীনতা অর্জনের চেয়ে স্বাধীনতা রক্ষা করা অনেক কঠিন। তাই এই বিষয়টি মাথায় রেখে আমাদের সামনের দিকে অগ্রসর হতে হবে। যদিও বাঙালি জাতি কোন পরাজিত শক্তির কাছে মাথা নোয়নি। আর বাঙালি জাতির কাছে কখনোই কোন অপশক্তি দাঁড়াতে পারবেনা তবুও আমরা যে ভাবে স্বাধীনতা অর্জন করেছি ঠিক সেভাবে স্বাধীনতাকে রক্ষা করে যাব। আপনারা যারা এ ধরনের প্রশ্নের উত্তর জেনে নিতে চান আপনাদের জন্য প্রতিনিয়ত এ বিষয়গুলো সম্পর্কে আমরা আমাদের ওয়েবসাইটের বিস্তারিত আলোচ না করি। তাছাড়া শিক্ষার সংক্রান্ত যেকোনো তথ্য আপনারা আমাদের ওয়েবসাইট থেকে জেনে নিতে পারবেন।
আপনারা যারা স্বাধীনতার ঘোষক কে এ প্রশ্নের সঠিক উত্তরটি সম্পর্কে জেনে নিতে চান আমরা আমাদের ওয়েবসাইটে এ বিষয়টি সম্পর্কে জানিয়ে দিলাম। আপনারা আমাদের ওয়েবসাইডে ভিজিট করে এই বিষয়টি সম্পর্কে আরও বিস্তারিতভাবে জেনে নিতে পারবেন।