সংবিধান যে কোনো রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ আইনি দলিল এবং জনগণের ইচ্ছার প্রতিফলন। বাংলাদেশ একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্র। বাংলাদেশের সরকার পদ্ধতি এক কেন্দ্রিক ভাবে পরিচালিত। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সর্বোচ্চ আইন হলো সংবিধান। আপনার অনেকেই একটি বিষয় সম্পর্কে জেনে নিতে গুগল সহ ইন্টারনেটের বিভিন্ন জায়গায় অনুসন্ধা ন করছেন আর সেটা হল বাংলাদেশের সংবিধানের রক্ষক কে। আপনারা যারা এই প্রশ্নটি সম্পর্কে জেনে নিতে চান আপনাদের সুবিধার জন্য আমরা প্রতিনিয়ত এ ধরনের প্রশ্নের উত্তর গুলো আমাদের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত করি। তাই এ প্রশ্নটি সম্পর্কে জেনে নিতে হলে আপনাকে সর্বপ্রথম আমাদের ওয়েব সাইটটি সিলেক্ট করতে হবে তারপরে এবং আমাদের ওয়েবসাইটে থাকা আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ অব্দি ধৈর্য সহকারে পড়তে হবে। তাহলে চলুন দেরি না করে আপনাদের কাঙ্খিত প্রশ্নের উত্তরটি সম্পর্কে জেনে নেয়া যাক
বাংলাদেশের প্রথম সংবিধানটি গণপরিষদের উপস্থিতি হয় ১৯৭২ সালে। ১৯৭২ সালে সংবিধানটি গণপরিষদে উপস্থিত হওয়ার পরে এটি সংশোধন করা হয়েছে প্রায় ১৪ বার। বাংলাদেশের সংবিধানটি কেবলমাত্র বাংলাদেশের সর্বোচ্চ আইন নাই বাংলাদেশের এই সংবিধানে রাষ্ট্রের মূল চরিত্র গুলো সম্পর্কে বর্ণিত রয়েছে। বাংলাদেশের সংবিধানে উল্লেখ রয়েছে বাংলাদেশের জনগণই হলো সকল ক্ষমতার উৎস। তবে জনগণের নির্বাচনে একজন প্রধানমন্ত্রী থাকবে যিনি একটি মেয়াদ ভিত্তিকে গোটা রাষ্ট্র পরিচালনা করবে। তবে জনগণ যদি চাই সে ক্ষেত্রে যেকোনো সময়ে তাদের নিজের মতামত অনুযায়ী রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিতে পারে। বাংলাদেশের সংবিধানে রয়েছে বাংলাদেশের বিচার বিভাগ হবে স্বাধীন এটা কোন প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করতে পারবে না
বাংলাদেশ সংবিধানে স্পষ্ট রয়েছে বাংলাদেশ একটি গণতান্ত্রিক দেশ এদেশের প্রতিটি মানুষের ধর্ম নিরপেক্ষতা সমাজতন্ত্র রাষ্ট্র পরিচালনার ক্ষেত্রে মূলভিত হিসাবে থাকবে। আর বাংলাদেশের সংবিধানের মোট ভাগ প্রায় এগারো টি। বাংলাদেশের সংবিধানের প্রধান রূপ রেখাটি প্রণয়ন করেছিলেন ডঃ কামাল হোসেন। সংবিধান একটি চলমান দলিল এবং পরিবর্তিত প্রেক্ষাপটের কারণে এটি সংশোধিত হয়। কারণ এটি কোনো অপরিবর্ত নীয় বিষয় নয়। সংবিধান পরিচালনার দায়িত্ব মূলত রাষ্ট্রের তিন অংশের শাসন বা নির্বাহী বিভাগ, আইন বিভাগ এবং বিচার বিভাগ। সাংবিধা নিক বিধি বিধান বলবৎ করা এবং সমুন্নত রাখার দায়িত্ব নির্বাহী বিভাগের। তাছাড়া একটি রাষ্ট্রের জনগণের দায়িত্ব হচ্ছে সংবিধানকে সম্মান করা এবং সাংবিধানিক বিধিবিধান মেনে চলা।
বাংলাদেশ যেহেতু একটি গণতান্ত্রিক দেশ তাই তার শাসন ব্যবস্থাটিও গণতান্ত্রিক অনুসারী হয়। বর্তমানে বাংলাদেশে নানান ধরনের আইন দ্বারা দেশ পরিচালিত হচ্ছে। ডিজিটাল বাংলাদেশ হিসেবে দেশকে পরিচালনার ক্ষেত্রে আইন ব্যবস্থাও অনেক পরিবর্তন ঘটে। আর বাংলাদেশের সরকার আইন গুলো স্বাধীন বিচার ব্যবস্থায় ও বাংলাদেশের সং বিধানিক অনুসারে হয়ে থাকে। তাই আইন প্রয়োগের ক্ষেত্রে ও বিচার বিভাগে বাংলাদেশের সংবিধানের গুরুত্ব অপরিসী ম। বাংলাদেশের সংবিধানের রক্ষক হল বিচার বিভাগ আর এই বিচার বিভাগকে আবার সংবিধানের অনুরোধ হিসাবে ধরা চলে। বাংলাদেশের সংবিধানটি ইংরেজি ও বাংলায় দুটি ভাষাতেই বিদ্যমান থাকে। তবে বাংলা ভাষার টি সংবিধানে বেশি কার্যকারিতা হয়।
বাংলাদেশ সংবিধানটি রক্ষক হিসাবে ধরা চলে বাংলাদেশ সর্বোচ্চ আইন বিভাগ সুপ্রিম কোর্ট কে। সুপ্রিম কোর্ট হল বাংলাদেশের সর্বোচ্চ আদালত। আইন প্রয়োগ ও আইনের সকল কার্যক্রম সুপ্রিম কোর্টের মাধ্যমে হয়ে থাকে। আর এই সুপ্রিম কোর্টটি অবস্থিত বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাতে। আমরা সুপ্রিম কোর্টটি কে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ আদালত হিসেবে জানি। সুপ্রিম কোর্ট টি আমরা অনেকেই একটি বিশেষ নামে জানি আর সেটা হল হাইকোর্ট। বাংলাদেশের যে সংবিধান প্রণীত হয়েছে সে সংবিধানের ষষ্ঠ অধ্যায়ের ৯৪ ধারায় সুপ্রিম কোর্ট প্রতিষ্ঠা আইন সম্পর্কে সর্বোচ্চ বিধান এর কথা বলা হয়েছে। বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্ট টি বাংলাদেশের সর্বোচ্চ আইন প্রয়োগের একটি মাধ্যম। আর এই সুপ্রিম কোর্ট পরিচালনা করার জন্য একজন বিচারপতি থাকবে যাকে সবাই প্রধান বিচারপতি হিসেবে জানবে।
বাংলাদেশের সংবিধানের রক্ষক কে আপনারা যারা এ বিষয়টি সম্পর্কে জেনে নিতে চান আমরা আমাদের আজকের আর্টিকেলটিতে তা জানিয়ে দিলাম আপনারা আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করে এই বিষয়টি সম্পর্কে আরো বিস্তারিতভাবে জেনে নিন।