দক্ষিণ আফ্রিকার অন্যতম একজন নেতা ছিলেন আফ্রিকার গান্ধী। তিনি একজন আপোষহীন নেতা ছিলেন। তিনি গণতান্ত্রিক ভাবে নির্বাচিত দক্ষিণ আফ্রিকার প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ প্রেসিডেন্ট। আফ্রিকার এই গান্ধী ১৯৯৪ সাল থেকে ১৯৯৯ সাল পর্যন্ত দক্ষিণ আফ্রিকার রাষ্ট্রপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ব্রিটিশ দক্ষিণ আফ্রিকার এমভেজোর এক অভি জাত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। তিনি আইন বিষয়ে পড়াশোনা শুরু করেছিলেন এবং আইনজীবী হিসেবে তিনি তার কর্মজীবন শুরু করেন। এবং সেখানে তিনি উপনিবেশ বিরোধী কার্যক্রম ও আফ্রিকান জাতীয়তাবাদী রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন।
তাই বিখ্যাত এই রাজনীতিবিদ অর্থাৎ আফ্রিকার গান্ধী কে এ প্রশ্নের উত্তরটি সম্পর্কে জানতে অনে কেই বেশ আগ্রহী। আর সেই আগ্রহর মাথা থেকে গুগল সহ ইন্টারনেটের নানান জায়গায় এ প্রশ্নের উত্তরটি অনুসন্ধান করছেন। আর এই বিষয়টি সম্পর্কে আমরা আমাদের আজকের আর্টিকেলটিতে জানিয়ে দেবো। আপনারা গুগলে সার্চ করার সাথে সাথে আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করে এ প্রশ্নের উত্তর জানতে পারবেন।
সংগ্রামী জীবন হিসেবে যদি কোন জীবনকে আখ্যায়িত করা হয় আর সেটা হলো আফ্রিকার মহান নেতা আফ্রিকার এই গান্ধী। তিনি তার জীবনকে সাতাশ টি বছর উপর দিয়েছিলেন বন্দী জীবনের মাধ্যমে। তার সাতাশ টি বসন্ত কেটে যায় জেল খানার মধ্যে। আফ্রিকার গান্ধীর অপরাধ ছিল মানুষের ন্যায্য অধিকার বিষয়ে কথা বলা মানুষের অধিকার ফেরানো আর এই অপরাধের কারণেই তাকে বরণ করে নিতে হয়েছিল এক বন্দী জীবন। একটু অন্যায়ের কাছে অনুগত হলে তাকে এমন জীবন কাটাতে হতো না। কিন্তু তিনি ছিলেন অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী একজন নেতা। জীবন থাকতে তিনি কখনো অন্যায়ের কাছে মাথা নত করেননি। তিনি প্রতিনিয়ত আফ্রিকার বর্ণবাদী মানুষের জন্য লড়াই করেছেন সংগ্রাম করেছেন।
দক্ষিণ আফ্রিকার এই মহা সংগ্রামী মানুষ তাকে ভালোবেসে মাদিবা নামে ডাকতো। মাদিবা শব্দের বাংলা হলো জাতির জনক। তাই সেখানকার মানুষেরা তাকে আদর করে, সম্মান করে এই নামে ডাকতো। জন্মগতভাবে কালো হওয়ার কারণে যাদেরকে সহ্য করতে হতো সীমাহীন অত্যাচার, মানুষ হয়েও যাদের কাটাতে হতো পশুর চেয়েও হীন জীবন, তাদের জন্য বিলিয়ে দিলিয়েছিলেন আফ্রিকার এই গান্ধী নিজের টগবগে যৌবন। আফ্রিকার এই গান্ধী সম্পর্কে আপনাদের অনেক তথ্য জানিয়ে দিলাম। এবার তাহলে জানা যাক আফ্রিকার এই গান্ধী কে ছিলেন। নেলসন ম্যান্ডেলা ছিলেন আফ্রিকার গান্ধী। পড়াশোনায় তুমুল মেধাবী ম্যান্ডেলা সারা বিশ্বের কাছে অন্যায়ের বিরুদ্ধে আজন্ম প্রতিবাদী ও সংগ্রামের প্রতীক হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছেন। তার সেই প্রতিবাদী স্বভাবের শুরুটা শেশব কৈশোর থেকেই ছিলেন। তিনি সারাটি জীবন বর্ণবাদী মানুষের জন্য সংগ্রাম করে গিয়েছেন।