বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও বিজয় অর্জনের জন্য বাঙালি জাতিকে অনেক ত্যাগ স্বীকার করতে হয়েছে। আর যারা বাংলাদেশে স্বাধীনতা যুদ্ধে অবদান রেখেছে তাদের মধ্যে থেকে বাংলাদেশ সরকার বিভিন্ন জনকে তাদের কাজের অবদানের ভিত্তিতে বিভিন্ন ধরনের খেতাব প্রদান করেন। আর খেতাব গুলোর মধ্যে অন্যতম খেতাব হল বীর প্রতীক খেতাব। আর এই বীর প্রতীক খেতাবটি বাংলাদেশের জন্য চতুর্থ সর্বোচ্চ খেতাব। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় অসম সাহসী ও নিজেদের দক্ষতা দেখিয়ে বাংলাদেশের বিজয় অর্জনের জন্য বিশেষ এই খেতাব প্রদান করে বাংলাদেশ সরকার। তাই বীর প্রতীক খেতাব প্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা কে কে এই সম্পর্কিত তথ্য আপনারা অনেকে জেনে নিতে চান। আর এই তথ্য আপনারা জেনে নিতে পারবেন আজকের এই আর্টিকেলটির মাধ্যমে। আমরা আপনাদের জন্য প্রতিনিয়ত আমাদের ওয়েবসাইটে এই ধরনের ছোট ছোট প্রশ্নের উত্তর গুলো প্রকাশিত করি। তাই আপনারা প্রতিনিয়ত আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করে জেনে নিবেন প্রশ্নের উত্তর গুলো।
এক সাগর রক্তের বিনিময়ে বাংলাদেশের বিজয় ও স্বাধীনতা অর্জন হয়েছিল। ৩০ লক্ষ শহীদের বিনিময়ে এদেশের স্বাধীনতা। আর এই স্বাধীনতার কে অর্জন করার জন্য প্রতিনিয়ত লড়াই করতে হয়েছে বাঙালি জাতিকে। আর বাঙালি জাতির নিজেদের এক করে নয় মাস যুদ্ধ করে এ দেশকে শত্রুমুক্ত করে ছিল। আর সত্যি মুক্ত করার জন্য নারী পুরুষ কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে শত্রুদের বিরুদ্ধে মোকাবেলা করেছে। আর এই মুক্তিযোদ্ধার ক্ষেত্রে যারা বিশেষ ভূমিকা পালন করেছে তাদের জন্য প্রতিনিয়ত বাংলাদেশ সরকার নানান ধরনের পদে তাদের ভূষিত করেছেন। বিভিন্নভাবে তাদের সম্মান প্রদর্শিত করেছে। আর এই সম্মান গুলোর মধ্যে অন্যতম সম্মান হল বীর প্রতীক খেতাব। মুক্তিযোদ্ধার পরবর্তী সময়ে এই খেতাবটি অনেকে মুক্তিযোদ্ধাই পেয়েছে।
স্বাধীনতার ঘোষক জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে এদেশের মানুষ দেশের শত্রু মুক্ত করার জন্য যুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়ে। আর তাই বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে সাহসী ভূমিকার জন্য চারটি খেতাব নির্ধারণ করে বাংলাদেশ সরকার। সেগুলো হচ্ছে বীরশ্রেষ্ঠ, বীরউত্তম, বীর বিক্রম এবং বীর প্রতীক। কিন্তু পরিসংখ্যান বিবেচনা করলে দেখা যায় সামরিক ও আধা সামরিক বাহিনীর সদস্যদের আধিক্য এখানে বেশি। সাধারণ মানুষের সংখ্যা খুবই কম রয়েছে এই খেতাব গুলো পাওয়ার ক্ষেত্রে। তাই আপনারা যারা জেনে নিতে চান বীর প্রতীক খেতাব প্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা কে কে তাদের জন্য বলছি বীর প্রতীক চতুর্থ সর্বোচ্চ উপাধি। মোট চারশত ছাব্বিশ জনকে এই উপাধিতে ভূষিত করা হয়। মুক্তিযোদ্ধার ক্ষেত্রে তাদের বিশেষ অবদানের জন্য তাদের এই বীর প্রতীক খেতাব টি দেওয়া হয়।