জাতিসংঘের প্রতিষ্ঠাতা কে

জাতিসংঘ বিশ্বের স্বাধীন দেশগুলোর সংগঠিত একটি আন্তর্জাতিক সংগঠন। জাতিসংঘ একটি বহুপক্ষীয় চুক্তির মাধ্যমে সৃষ্টি হয়েছে এবং এর সদস্য রাষ্ট্র সমূহের অধিকার এবং বাধ্যবাধকতা এর সনদে অর্ন্তভূক্ত রয়েছে। আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তা প্রণয়নে এ সংগঠনটি প্রতিষ্ঠিত করা হয়। তাই আমার অনেক সময় জাতিসংঘের বিষয়ে জেনে নিতে অনেকেই আগ্রহী কারণ অনেক সময় অনেক জায়গায় বিভিন্ন পরীক্ষায় জাতিসংঘের প্রতিষ্ঠাতা কে এই প্রশ্নটি সম্মুখীন হতে হয়। তাই আপনারা এ প্রশ্নটির উত্তর জেনে নিতে অনেকেই বেশ আগ্রহী।

তাই আপনাদের জন্য আমরা আমাদের আজকের আর্টিকেলটিতে এই প্রসঙ্গে জানিয়ে দিব তাছাড়া আপনি আমাদের ওয়েবসাইট থেকে সকল শ্রেণীর শিক্ষা সংক্রান্ত সকল ধরনের প্রয়োজনীয় প্রশ্নের উত্তর গুলো জেনে নিতে পারবেন কারণ আমরা প্রতিনিয়ত এ ধরনের প্রশ্নের উত্তর গুলো আমাদের ওয়েব সাইটে প্রকাশিত করি। আপনারা যে কোন ধরনের প্রশ্ন জানার জন্য গুগলে সার্চ করার সাথে সাথে আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করে জেনে নিতে পারবেন।

জাতিসংঘ আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানটি বিশেষ কিছু কারণের ভিত্তিতে গড়ে ওঠে তার মধ্যে উল্লেখ যোগ্য কারণ গুলো হল যে কোন বিষয়ে শান্তিপূর্ণ সমাধান, যুদ্ধ প্রতিরোধ এবং যুদ্ধনীতি প্রণয়নের উদ্দেশ্যে সর্বপ্রথম এই জাতিসংঘ প্রতিষ্ঠানটি প্রতিষ্ঠিত করা হয়। তবে ১৯২০ সালের ১০ই জানুয়ারি আন্তর্জাতিক সহযোগিতা শান্তি এবং নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে লীগ অব নেশন্স প্রতিষ্ঠিত হয়। এই প্রতিষ্ঠান টি সর্বপ্রথম আঠানো টি রাষ্ট্র নিয়ে গঠিত হয়েছিল। প্রথমে এই সংগঠনটির কার্যকরী ভূমিকাটি ছিল অপরীসিম এবং বেশ সফলতার সঙ্গে সংগঠনটি কাজ করে যাচ্ছিল। পরবর্তীতে জার্মানি ইতালি ও জার্মানির মতো দেশগুলোর মধ্যে যুদ্ধের সৃষ্টি হয় এবং এটা দ্বিতীয় যুদ্ধে পরিণত হয়। তখন বলে যাই এই সংগঠনটি বিশ্ব শান্তি রক্ষার ক্ষেত্রে পুরো ব্যর্থ হয়েছে।

লীগ অব নেশন্স ব্যর্থ হলেও বর্তমানে জাতিসংঘ তার কাজে অতি নিষ্ঠা সঙ্গে ও বিশ্ব শান্তি পরিচালনার ক্ষেত্রে বেশ ভূমিকা পালন করে চলেছে। তাই বর্তমানে জাতিসংঘের সদস্য সংখ্যা ১৯৩ টি এবং জাতিসংঘের কর্মপরিধি বিশ্বব্যাপি বিস্তৃত। জাতিসংঘ প্রতিষ্ঠার প্রধান উদ্দেশ্য হলো আন্তর্জাতি ক অঙ্গনে ন্যায়বিচার নীতির উপর ভিত্তি করে শান্তি, উন্নয়ন, মানবাধিকার এবং সকল মানুষের কল্যাণের জন্য পারস্পরি ক সহযোগিতা বৃদ্ধি করা। আন্তর্জাতিক সংকট মুহূর্তে এই সংগঠন জাতীয় স্বার্থ রক্ষায় রাষ্ট্র সমূহের মধ্যে পরস্পরের উপর নির্ভরশীলতা তৈরি করে ভারসাম্য বজায় রাখে। তাছাড়া এই সংগঠনের বিশেষ বিশেষ অবদান গুলোর মধ্যে আরো রয়েছে সেগুলো হল সন্ত্রাসবাদ দমন, পারমানবিক অস্ত্র বিস্তার রোধ, গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা, মানবাধিকার, শাসন ব্যবস্থা, ইত্যাদি নানান ক্ষেত্রে এ সংগঠনটির কার্যকরিতা ভূমিকা অনেক।

১৯৪৩ সালের অগাস্টে যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রিটেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা একটি ঘোষণাপত্রের খসড়ার বিষয়ে একমত হন যাতে সব সার্বভৌম দেশের সমতার ওপর ভিত্তি করে একটি সাধারণ আন্তর্জাতিক সংস্থার আহবান অন্তর্ভুক্ত করা। এরপর ১৯৪৫ সালের এপ্রিল-জুন সময়ের মধ্যে ৫০ জাতির প্রতিনিধিরা জাতিসংঘ সনদ চূড়ান্ত করতে বৈঠকে বসেন। আর এসবের পিছনে মূলে ছিলেন যিনি তিনি হলেন ফ্রাঙ্কলিন ডি রুজভে ল্ট। জাতিসংঘ প্রতিষ্ঠা করার মূলে ছিলেন এই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট। তাই জাতিসংঘের প্রতিষ্ঠাতা হিসাবে ফ্রাঙ্কলিন ডি রুজভেল্ট স্বীকৃতি প্রদান করা হয়। তার অবদা নের কৃতিত্বের ফলেই আজ গোটা বিশ্ব শান্তি বিরাজমান।

আপনারা যারা আপনাদের এই ধরনের কাঙ্খিত প্রশ্নের উত্তরটি জেনে নিতে আগ্রহী তাদের জন্য আমরা আমাদের আজকের ওয়েবসাইটে এই বিষয়টি সম্পর্কে জানিয়ে দিলাম তাছাড়া আপনাদের এ ধরনের গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নের উত্তরগুলো জেনে নিতে আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করুন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *