আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা কে

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ঐতিহাসিক একটি রাজনৈতিক সংগঠন। বাংলাদেশ স্বাধীনতা যুদ্ধে এই রাজনৈতিক দলটির ভূমিকা ছিল অপারেশন। মুক্তিযোদ্ধা চলাকালীন রাজনৈতিক দলটির নাম ছিল মুসলিম লীগ পরে এটাকে পরিবর্তন করে আওয়ামী লীগ করা হয়। বর্তমানে রাজনৈতিক দল হিসেবে আওয়ামী লীগের প্রভাব অনেক বেশি। তাই আপনারা আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা কে এ বিষয়টি সম্পর্কে জেনে নিতে বেশি আগ্রহী। তাই আপনাদের সুবিধার জন্য আমরা আপনাদের আজকে জানিয়ে দেবো এই বিষয়টি সম্পর্কে। আপনারা যারা এই বিষয়টি সম্পর্কে জেনে নিতে চান আমাদের ওয়েবসাইটে থাকা আর্টিকেলটি আপনাকে সম্পূর্ণ শুরু থেকে শেষ অব্দি মনোযোগ সহকারে আর্টিকেলটি পড়তে হবে। আর এ প্রশ্নের সঠিক উত্তরটি জেনে নেয়ার জন্য আপনাকে সর্বপ্রথম আমাদের ওয়েবসাইটটি সিলেক্ট করতে হবে। চলুন তাহলে দেরি না করে এ বিষয়টি সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেয়া যাক।

আওয়ামী লীগ বাংলাদেশের অন্যান্য রাজনৈতিক দল‌ গুলো র মধ্যে অন্যতম। দেশের সবচেয়ে পুরাতন ও সর্ববৃহৎ রাজনৈতিক দল গুলোর মধ্যে অন্যতম দল হল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। বাংলাদেশের মুক্তিযোদ্ধার ক্ষেত্রে এ দলটির সরাসরি অবদান বিশেষ এক সহায়ক ভূমিকা পালন করে। পাকিস্তান শাসন আমলে আওয়ামী মুসলিম লীগ প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়ে দলটির গোড়াপত্তন ঘটে। পরবর্তীতে এটি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ নাম ধারণ করা হয়। পূর্ব পাকিস্তা নে আওয়ামী লীগই ছিল প্রথম বিরোধী দল। দলটি জন্ম লগ্নেই প্রাদেশিক স্বায়ত্তশাসনের দাবির উপর ভিত্তি করে চলছিল। স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও জাতীয় ঐক্যের রূপকার বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ বাঙালি জাতির স্বতন্ত্র জাতি-রাষ্ট্র ও আত্মপরিচয় প্রতিষ্ঠার সুমহান ঐতিহ্যের প্রতীক এটি।

জন্মলগ্ন থেকে এই রাজনৈতিক দলটির নাম ছিল পূর্ব পাকিস্তানের আওয়ামী মুসলিম লীগ। বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনে এই দলটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে তাই, ২৫ শে মার্চের কালরাতে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী কর্তৃক ইতিহাসের নৃশংসতম গণহত্যার পর ২৬ শে মার্চের প্রথম প্রহরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কর্তৃক বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণার মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে বাঙালি জাতি স্বাধীন জাতি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে। অবশেষে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে দীর্ঘ ৯ মাসের এক রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে ৩০ লাখ শহীদের রক্ত আর দুই লাখ মা-বোনের ইজ্জতের বিনিময়ে অভ্যুদয় ঘটে স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের।

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উদ্যোগে মাতৃভাষা বাংলা আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। তাছাড়া বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের শাসন আমলে ২১শে ফেব্রুয়ারি ঘোষিত হয় জাতীয় ছুটির দিন ও শহীদ দিবস‌ হিসেবে । আওয়ামী লীগ সরকারের উদ্যোগেই কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের নির্মাণ কাজ এর উদ্যোগ নেয়া হয় ও পরে এটা প্রায় সম্পন্ন হয়। আওয়ামী লীগের সময়ে প্রতিষ্ঠিত হয় বাংলা একাডেমি। মাত্র বিশ মাসের রাষ্ট্র পরিচালনার সুযোগ পেয়ে চরম খাদ্য অভাব ও দুর্ভিক্ষ থেকে বাঙালি জাতিকে রক্ষা করাসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে আওয়ামী লীগ সরকার যে সফলতা অর্জন করে তাতে জনগণের কাছে আওয়ামী লীগের জনপ্রিয়তা বহু গুণ বেড়ে যায়। বর্তমানে এই আওয়ামী লীগ সরকার মানুষের কল্যাণে সবসময় নিজেকে নিয়োজিত রেখেছেন।

বাংলাদেশে দীর্ঘ নয় মাস যুদ্ধের পরে এদেশের স্বাধীনতা অর্জন হয়েছে। আর এদেশের স্বাধীনতা অর্জনের পর এদেশের অর্থনৈতিক অবস্থা খুব খারাপ ছিল আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন বঙ্গবন্ধুর সরকার স্বাধীনতার মাত্র সাড়ে তিন বছরের মাথায় যুদ্ধ-বিধ্বস্ত বাংলাদেশকে অর্থনৈতিক হবে আবার ফিরিয়ে নিয়ে আসতে সক্ষম হয়। তবে আবুল হাশেম এবং হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর নেতৃত্বাধীন তৎকালীন বঙ্গীয় প্রাদেশিক মুসলিম লীগের পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগ প্রতিষ্ঠিত হয়। তবে আওয়ামী লীগের ইতিহাস বাঙালি জাতির গৌরবোজ্জ্বল অর্জন ও সংগ্রামের ইতিহাস। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠাসহ বাঙালি জাতির যা কিছু শ্রেষ্ঠ অর্জন, তার মূলে রয়েছে জনগণের এই দলটির নেতৃত্ব।

আশা করছি আমরা আমাদের আজকের এই আর্টিকেলটির মাধ্যমে আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা কে এই বিষয়টি সম্পর্কে সঠিক তথ্য প্রদান করতে পেরেছি‌। আপনারা আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করে এই বিষয়টি সম্পর্কে আরো ভালো ধারণা নিতে পারেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *