পদাবলী হলেন শ্রীকৃষ্ণ ও শ্রীচৈতন্যের লীলাকথা নিয়ে গান করার জন্য রচিত কমনীয় কবিতাকে বুঝায়। দ্বাদশ শতকে এই কবিতাটি লেখা হয়েছিল। পদাবলীর বৈষভ্য ধর্ম তত্ত্বের রসভাষ্য নামে খ্যাত এক শ্রেণীর ধর্মসঙ্গীত সংগ্রহ। এটা সাধারণত হিন্দু ধর্মলম্বী মানুষদের জন্য অন্যতম একটি যুগ। যদিও দশ শতকে এটা উন্মোচিত হয়েছিল তার পরেও ষোড়শ শতকে এই সাহিত্যের বিকাশ হয়। বৈষ্ণব পদাবলীর প্রধান অবলম্বন রাধা কৃষ্ণের প্রেমলীলা। বৈষ্ণব পদাবলী পুস্তকটি সংগ্রহ করেছেন বাবা আউল মনোহর দাস। তাই আপনারা অনেকেই জেনে নিতে চান পদাবলীর প্রথম কবি কে। তাই আপনাদের সুবিধার জন্য আমরা আমাদের আজকের আর্টিকেলটি তে এ প্রশ্নের সঠিক উত্তরটি সম্পর্কে জানিয়ে দেব। তাছাড়া আমরা আপনাদের জন্য এ ধরনের ছোট ছোট প্রশ্নের উত্তর গুলো প্রতিনিয়ত আমাদের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত করে। তাই আপনারা প্রতিনিয়ত আপনাদের প্রয়োজনীয় যে কোন প্রশ্নের উত্তর জানার জন্য আমাদের ওয়েবসাইটে বারবার ভিজিট করুন।
বৈষ্ণব কবিতার মূল বিষয় রাধা ও কৃষ্ণের ভালোবাসা।তাঁরা একে অপরকে প্রতিনিয়ত চাওয়া পাওয়ার আকুলতা প্রকাশ করে।কিন্তু তাঁদের মিলনের মাঝে পাহাড়সম বাঁধা।এই বাঁধা সরাতে চেয়েছেন কবিরা। শ্রীকৃষ্ণ হল সৎ চিৎ মূর্তিমান পরম একটি আত্মা। রাধা তারই প্রকাশাত্মিকা শক্তিরূপ জীবাত্মা।
তাই রাধা কৃষ্ণের এই কবিতা থেকে এসে দেখা যায় মনের রাজত্ব,যেনো মন আর তার আকুলতা ছাড়া বিশ্বের সব কিছু মিথ্যে।বৈষ্ণব কবিরা তাঁদের কবিতায় ঘর সংসার সমাজ বিশ্ব সকল কিছুকে মিথ্যে বলে ঘোষণা করেছেন। একমাত্র সত্যি বলে দেখিয়েছেন হৃদয় কে। তাই বৈষ্ণব কবিতার সর্বত্র দেখা যায় হৃদয়ের জয়। প্রতিনিয়ত এই কবিতাই কবি সব কিছুর উর্ধ্বে হৃদয় মন এটাই বোঝাতে চেয়েছেন।
পদাবলীর পদ কর্তাদের বা কবিদের কে দুটি যুগে ভাগ করা হয়ে থাকে। প্রথমটি হল চৈতন্য সমকালীন পদাবলিকার যুগ ও চৈতৎন্যোত্তর বৈষ্ণব পদাবলিকার যুগ। বাংলার বৈষ্ণব পদাবলী মধ্যযুগীয় বাংলা সাহিত্যকে গতানুগতিক বেশ জনপ্রিয় তার সৃষ্টি করেছিলেন। বাংলা সাহিত্যের এক মহা মূল্য সম্পদ পদাবলীর যুগ। বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসে বৈষ্ণব পদাবলি সাহিত্য একটি অন্যতম যুগ হিসেবে পরিচিত। তাই আপনারা অনেকে পদাবলীর প্রথম কবি কে এ সম্পর্কে জেনে নিতে চান তাদের জন্য বলছি বাংলা ভাষায় বৈষ্ণব পদাবলীর প্রথম কবি বিদ্যাপতি। তিনি বাংলা সাহিত্য জন্য ছিলেন অসম্ভব জ্ঞান সম্পূর্ণ একজন মানুষ। তিনি বাংলার পাদাবলি রং প্রথম কবি। সংস্কৃতি ভাষায় প্রথম এই পদাবলী লিখে তিনি বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছিলেন। বাংলা সাহিত্যে তার অবদান প্রশংসনীয়।